পাগলি আমার গভীর ঘুমে অন্য কারো বুকে মাথা গুজে
স্বপ্নে সে আমায় দেখে, আমি আছি তার অপেক্ষায় জেগে।
অপেক্ষা যখন তিক্ত হয় অশ্রু ঝরে আমার দু-চোখে
পাগলি আমার অশ্রু মুছে দেয়, স্পর্শ করে তার স্বামীর মুখে।

তুমি আমার গদ্য কবিতা হবে, কাব্যিক  নয়
বাস্তবতার আগাতে ধংষত্বক বাস্তব জীবনে?
তুমি আমার ছন্দ কবিতা হবে, কাব্যিক নয়
বাস্তবতার আগাতে ছন্দবিহীন বাস্তব জীবনে?

আজ বৃষ্টি আসুক, ফের আসুক আবার
মাতবো দুজন আবার প্রেমলিলায়
লোকালয় ছেড়ে চক্ষু আড়ালে
সবুজ অরণ্যের গভিরে
পাহাড়ের পাদদেশে
একান্ত আমি আর বৃষ্টি।

আমি যদি হাড়িয়ে যাই ঐ দূর নীল আকাশে তরে,
তবে কি আমায় খুজবে তোমরা নীল ধ্রুব তারার ভিড়ে?
জানী খুজবে না, হাজার ভুলার মাঝে আমি একটি ভুল হবো।
খুব স্বাভাবিক ভাবেই ভুলে যাবে তোমরা আমায়।

স্বার্থপর পৃথিবীতে নিঃস্বার্থ মানুষ খুজি
আমি অন্ধ তাই পাইনা খুজে
বুঝেছি এখন আগে সারাতে হবে আমার অন্ধত্বের জীবন।

ললাটে মোর বিধির লিখন তুমিবিহীন একলা জীবন
দোষ কি আর হয় তোমার, এ যে নিয়তির নিহিত জীবন।
অমানুষ যখন ছিলাম আমি, মানুষ করতে এলে তুমি
আমি ঠিকি মানুষ হলাম, আর তুমি হাহাহা এ যে বিদাতার লিখন ।
দোষ কি আর হয় তোমার, এ যে নিয়তির নিহিত জীবন।

আমি বৃষ্টিকে ভালবাসি, অনেক ভালবাসি
তাই সে এসেছে আজ এই পৌষের রাতে
আমার ভালবাসার পরীক্ষা নিতে।
আমি পারিনি আজ বৃষ্টিতে গাঁ বেজাতে
পারিনি আমার ভালবাসার পরীক্ষা দিতে।
আমি এক অকৃতকার্য প্রেমিক
আমি এক ব্যর্থ প্রেমিক
আমি এক প্রেমিক মাতাল।

আমি না হয় অন্ধ ছিলাম তোমার মনের দৃষ্টিতে
বিশ্বাস আমার অঠুট ছিল পাওনি তুমি তা দেখতে
অন্ধ আমি ছিলাম ঠিকি তোমার প্রতি বিশ্বাসে
তোমার মনটা অন্ধ বলেই বুঝতে পারনি এই আমাকে।

শকুন কুড়েকুড়ে করছে গ্রাস স্বাধীনতার স্বাদ
দানবের হিংস্র থাবায় টুকরো টুকরো সুখগুলি হয়েছে বিস্বাদ
আজ অন্যায়ের প্রতিবাদী হয় ক্ষনিকেই লাশ
তাই বাকরুদ্র, প্রশাসন অন্ধ, চারিদিকে আতংক আর ত্রাস।
হায়নার থাবাকে হার মানায় রাষ্টের নীতিবাজ
নোংরা রাজনীতির বিষের কাছে হার মানে কাল সাপ
উঠ পাখির মতো মাথা গুজে আজ প্রতিবাদির দল
কেউ আবার প্রতিবাদি নয়, করেছে প্রতিবাদের ছল।

যদি একটি পথশিশুর আর্থনাদে, ঝর ঝর ঝরে পরতো সংসদ ভবন
যদি আরো একটি পথশিশুর আর্থনাদে, ঝর ঝর ঝরে পরতো বঙ্গ ভবন
তবে আর একটি পথশিশুকে কাদতে দেওয়া হতোনা বাচাতে বঙ্গ ভবন।

খুব পথ হারাতে ইচ্ছে করে কোন এক অচেনা পথে
যে পথের পরে নেই কোন কোলাহল, নেই কোন লোকালয়।
রয়েছে সবুজের আবরনে ঢাকা, হাজার রঙের পাখির গান
আর শান্ত নদীর শান্ত ঢেউয়ের শান্ত কলতান।

তোমার বিলাসি জীবন,
আমার ভিখারীর ভুজন
কোন কালে কি হবে
তোমার আমার মিলন?

আমি ছন্যছাড়া, বন্য বেসে
তুমি চোখ সাজাও মাসকারাতে।
আমার ভুখা পেট, অন্ন বিহীন
তোমার এক পোশাকে, এক দিন।

তোর ছলচাতুরী প্রেম লিলায় আজ আমি ক্লান্ত
দু-চোখ ভরা জল ছলছল তবুও আমি শান্ত।
তোর হৃদয় জুড়ে প্রেমের ক্ষুদা, এক মনে নয় তৃপ্ত
হাজার জনে মন বিলায়েও তুই তবুও অতৃপ্ত।

দুই বোন আর মা বাবার সংসারে আমি ছিলাম একা
আমার একমাত্র আয়েই চলতো ছোট্ট সংসারটা
অভাব অনটনের মাঝেও সুখ ছিল কানায় কানায়
সেই সুখের মাঝেই আগমন হল তোমার এই হৃদয় সীমায়।
তোমার রুপ আর তোমার বাবার টাকার নেশায়
মাতোয়ারা হয়ে পালিয়ে গেলাম কোন এক অজানায়।
মা বাবা দুই লক্ষি বোনকে করে অন্নহারা।
আজ তুমি কোথায় আমি কোথায়,কোথায় আমার বাবা মা বোন?

আমার যখন খিদার জ্বালায় বুক আর পেট জ্বলে
বুঝতে পারি পথ শিশুটা কেন কাদে মায়ের কোলে।

আমার যখন খিদার জ্বালায় খুব বেশি কান্না পায়
তখন দেখি পথ শিশুটা কাদতে কাদতে মায়ের কোলে ঘুমিয়ে যায়।

আমি যখন রোজ দুপুরে পেট পুরে খেতে বসি
বুঝতে পারি পথশিশুটা কেন করে উকাউকি।

আমি না হয় মূর্খ মানুষ শিক্ষা জ্ঞানের নাই বুলি
পেটের দায়ে মাঝে মাঝে করি মসজিদেরি জোতা চুরি।
উনারা তো  আমার মতো অজ্ঞ আর মূর্খ নয়
শিক্ষা জ্ঞান বেজায় বহুত তবু কেন করেন চুরি?

আজ নতুন আরেকটা জীবনে দিচ্ছ পা
বধলে নিচ্ছ তোমার জীবন রেখা।

লাল শাড়ি পরে বধু বেসে তুমি
নিয়ন আলো জ্বলছে তোমার বাড়িতে।

বধলে গেলে কি করে তুমি
কি করে চলে যাচ্ছ দূরে
অভাগা আমি কাদছি কতো দুঃখে
আর তুমি অন্যের বাসর ঘরে।

কেন বুঝনা কি চায় এই মন
চোখে আঁকা কতো স্বপ্নরাশি
ঠোটে না বলা গোপন কথা
গলা শুকানো ত্বিষনারতা
চোখের চাওয়ায় না পাওয়ার বিষন্যতা।

পৌষের রাতে কনকন শীতে
আকাশের নীচে বসে কাদে এক প্রেমিক মাতাল
কুয়াশা ডাকা, চাঁদ যায়না দেখা
রাত দিয়েছে গায়ে আঁধারের কাঁথা
থরথর কাপে,জল ঝরে চোখে
কি ব্যথা শীতে?
তার চেয়ে ব্যাথা প্রেমিক মাতালের অন্তরেতে।