শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

ফুল ধরে রেখ ঐ জ্বলজ্বল তাঁরার দিকে


আমি যদি হাড়িয়ে যাই ঐ দূর নীল আকাশে তরে,
তবে কি আমায় খুজবে তোমরা নীল ধ্রুব তারার ভিড়ে?
জানী খুজবে না, হাজার ভুলার মাঝে আমি একটি ভুল হবো।
খুব স্বাভাবিক ভাবেই ভুলে যাবে তোমরা আমায়।



গুধুলি শেষে সন্ধার জন্ম লগ্নে পুবের আকাশের একটি ঝলমল তাঁরা ঊঠে
আমি তারপাশে নতুন একটি তাঁরা হয়ে উঠবো
জ্বলজ্বল করে তাকিয়ে থাকবো পৃথিবীর পানে
খুজবো তোমাদের প্রিয়, হাজার লোকের ভিড়ে।
তোমরা সেই গুধুলি শেষে সন্ধার জন্ম লগ্নে তাকিয়ে থেক পুবের
আকাশের সেই ঝলমল তাঁরার পাশের  জ্বলজ্বল তাঁরা'র পানে।
আমি তোমাদের খুজে নেব, আমি তোমাদের চিনে নেব, আমার পানে তোমাদের চাহনি দেখে।

মা বাল্য কালে বলতো মানুষ নাকী মারা গেলে ঐ দূর নীল আকাশের তাঁরা হয়ে যায়
বাবাও নাকী তাঁরা হয়ে গেছেন সেই কবে থেকেই।
মা গুধুলি শেষে সন্ধার জন্ম লগ্নে তর্জনী উর্দ করে পূব আকাশের পানে তাক করে
ঐ ঝলমল তাঁরা দেখিয়ে বলতেন ঐ দেখ খোকা তোর বাবা তোকে ডাকছে ঝলমল করে।
আমি মাকে বলেছিলাম, মা আমি যদি মরে যাই তবে কি আমিও তাঁরা হবো বাবার পাশে?
মা আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বলেছিলেন খোকা তোর আগে তো আমি যাবো তোর বাবার পাশে।
আমি জিদ ধরে বলেছিলাম না মা, আমি আগেই যাবো বাবার পাশে তাঁরা হতে।

আসছে ফাগুনে আমিও ঐ দূর নীল আকাশের তাঁরা হবো,
বাবার পাশে থেকেও হে প্রিয়গন তোমাদের তোমাদের শূন্যতা বোধ করবো।
হে প্রিয়গন তোমরা ফাগুনের ফুল দিতে এসোনা আমার সমাধিতে
গুধুলি শেষে সন্ধার জন্ম লগ্নে ফুল ধরে রেখ ঐ জ্বলজ্বল তাঁরার দিকে
আমি আসবো আবার তোমাদের কাছে ফাগুনের ফুলের সৌরভ নিতে।

কোন মন্তব্য নেই: