একদিন একরাতের অন্ধকারে একএকা অচেনা এক পথে ধরে হাটতে হাটতে পথ পারিয়ে ঢুকে পরি এক গভীর অরণ্যে। অরণ্য মানে গণজঙ্গল। না আমাদের সুন্দরবনের মতো সুন্দর জঙ্গল নয়, কিংবা সিলেট শ্রীমঙ্গল বা আমাদের পার্বত্য অঞ্চলের মতো মন জোরানো বনবাদার নয়। এ এক ভংকর বন জঙ্গল। বনে ছোট ছোট দুব্রা ঘাসগুলিকে দেখে মনে হয় মানুষ খেকো। আর ছোট ছোট গাছগুলিকে মনে হয় মানুষ খেকো দানব। এমন ক্ষনে, এমন জায়গায় আমি বুঝতে পারছিনা আমি বেচে আছি নাকি মরে গেছি। আমি বুঝতে পারছিনা এটা কি পৃথিবীর জঙ্গল, নাকি নরকের জঙ্গল? ভয়ে ভয়ে গায়ে চিমটি কাড়লাম। কিন্তু না ব্যথা পেলামনা। ব্যথা না পাওয়ায় আরো ভয় পেয়ে গেলাম। তবে কি আমি বেছে নেই। ভয়ে ভয়ে আবার চিমটি কাটলাম কিন্তু না এবারো ব্যথা পেলাম না...চলবে...
কবিতা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
কবিতা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২১
শুক্রবার, ৯ এপ্রিল, ২০২১
জানো সুরঞ্জনা আজ তোমাকে হারানোর প্রায় ১১ বছরের কাছাকাছি। অথচ তোমার প্রেমিক মাতাল ঠিক ১১ বছরের আগের মতো আছে। এখন তোমার প্রেমের আরাধনা করে। তোমাকেই ভালবাসে।
সুরঞ্জনা আমি জানি তোমার ব্যস্ত জীবনে এখন আর আমাকে মনে পরেনা। মনে পরার কথা নয়। কারণ সাবেক প্রেমিককে মনা রাখার মতো বোকা তুমি নও। তারপর আবার তুমি অন্য কারো ঘরের ঘরণী। অন্য কারো সন্তানের জননী। তোমার আমাকে মনে পরা একেবারে উচিত নয়। আমিও চাইনা তুমি আর কোনদিন আমাকে মনে করো কষ্ট পাও। বলো কোন প্রেমিক কি তার প্রিয়তমা কষ্ট পাক এটা চায়?
জানো সুরঞ্জনা আমি না এখনো বিয়ে করিনি। কারণ জীবনে চলার পথে যদি কোনদিন তোমার সাথে দেখা হয়ে যায় তখন যদি তুমি প্রশ্ন করো প্রেমিক মাতাল তোমার বউ কেমন আছে। তখন যদি বলে দেই হ্যা অনেক ভাল আছে। তখন তুমি অনেক কষ্ট পাবে। তোমাকে তো আর আমি কষ্ট দিতে পারিনা। বলো ভালবাসার মানুষটাকে কি কষ্ট দেওয়া যায়? তাই আর বিয়ে করা হয়ে উঠেনা আমার? যদিও আমি তো আর তোমার মতো স্বার্থপর নই যে, তোমার সাথে সংসার গড়ার স্বপ্ন নিয়ে অন্য কোন মেয়েকে ঘরের বউ করে নিয়ে আসবো।
জানো সুরঞ্জনা মা বোন আত্মীয় স্বজন পাড়া প্রতিবেশিরা আমার বিয়ে নিয়ে মাথা ব্যথা উঠেছে। সবাই আমাকে বিয়ে নিয়ে চাপ দিচ্ছে। কিন্তু আমি এক চিমটিও পাত্তা দিচ্ছিনা। কারণ আমি মাকে বলে দিয়েছি আমি বিয়ে করবোনা। জানি মা জানে কেন আমি বিয়ে করবোনা। কারণ মায়ের তো
আর অজানা নয়, তোমার আমার প্রেম কাহিনী।
বিয়ের চাপ মুক্ত থাকার জন্য আমি একটা বুদ্ধি খাটিয়েছি। কি বুদ্ধি সেটা জানলে তুমি হাসবে। কারণ তুমি কোন বিপদে পড়লে আমার থেকে বুদ্ধি নিতে। সেই বুদ্ধি ১০০ ভাগ কার্যকর হতো। তাই তুমি আমার বুদ্ধির প্রশংসা করতে। কিন্তু আমার এই বুদ্ধির কথা শুনতে তুমি আমাকে এখন আর বুদ্ধিমান নয় বোকা ভাববে। তাই বলতে লজ্জা হচ্ছে। তবুও বলে দেই। কারণ তোমাকে তো আমার কোন কিছু লুকিয়ে রাখিনা। বলতে গিয়ে আমার হাসি পাচ্ছে। আমি বিয়ের চাপ মুক্ত থাকার জন্য বেকার থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কি হাসছো?
না হেসে শুনো এই বুদ্ধি কিন্তু ১০০ ভাগ কার্যকর। কারণ মা তো আর বেকার ছেলেকে বিয়ে করাবেনা। আর বেকার ছেলেকে তো কেউ আর বউ দেবে। বিশ্বাস করো এই বুদ্ধি কাজে দিচ্ছে অনেক বছর যাবত। তবে মাঝে মাঝে জামেলা হয়। জানো আমি সরকারি চাকরিজীবী মায়ের একমাত্র ছেলে। তাই অনেক লোভী মেয়ের মায়েরা বেকার আমার কাছে মেয়ে বিয়ে দিতে লোক পাঠায়। খুব খিদা লাগছে এই বিশয়ে অন্য দিন না হয় বলবো। এখন একটু খেয়ে নেই কেমন।
জানী এই উড়োচিটি তোমার নজরে পড়বেনা কিন্তু হাজার হাজার পাঠক এই চিটি পড়ে কাদবে। আবার কেউ তোমাকে বকবে। আবার কেউ কেউ আমাকে বোকা ভেবে বকবে কিংবা উপদেশ দেবে।
যাই হোক সুরঞ্জনা ভাল থেকে। এবং পরের উড়োচিটির অপেক্ষায় থেকে। ভাল থেকে সুখে থেকে তুমি তোমার ভূবনে তোমার মতো করে-- ইতি তোমার প্রেমের কাঙ্গাল প্রেমিক মাতাল
Labels:
উড়ো চিঠি,
উপন্যাস,
কবিতা,
গল্প,
পাগলের প্রলাপ,
প্রেমিক মাতল,
সুরঞ্জনা
সোমবার, ২২ জুন, ২০২০
গীতিকাব্যঃ আমি মরি মরি
আমি মরি মরি মরি সখি গো মরি, তরি প্রেমও জ্বালাতনে
আমি বাচি বাচি বাচি সখি গো, বাচি তরি প্রেমও ছায়াতনে
বাচি মরি, মরি বাচি, সখি গো বলো কি এখন করি
সখি বুঝিনা আছি কি বাচি নাকি গেছি অকালে মরি?
তরি প্রেমের ডরে সখি গো, সখি নরকে যাইতে না ডরাই
তরি প্রেমের সুখে সখি গো, সখি স্বর্গ যাওয়ার ইচ্ছা আমার নাই।
প্রেমে বাচি, প্রেমে মরি, সখি গো প্রেমে ডুব সাতার করি
সখি বুঝিনা আছি কি বাচি নাকি গেছি অকালে মরি?
প্রেম মায়া বড় মায়া সখি গো, সখি ছাড়তে নাহি পারি
প্রেম জ্বালা বড় জ্বালা সখি গো, সখি সইতে নাহি পারি।
প্রেমিক মাতাল, প্রেমে মাতাল সখি গো কারে খুইলা বলি
সখি বুঝিনা আছি কি বাচি নাকি গেছি অকালে মরি?
আমি মরি মরি মরি সখি গো মরি, তরি প্রেমও জ্বালাতনে
আমি বাচি বাচি বাচি সখি গো, বাচি তরি প্রেমও ছায়াতনে
বাচি মরি, মরি বাচি, সখি গো বলো কি এখন করি
সখি বুঝিনা আছি কি বাচি নাকি গেছি অকালে মরি?
তরি প্রেমের ডরে সখি গো, সখি নরকে যাইতে না ডরাই
তরি প্রেমের সুখে সখি গো, সখি স্বর্গ যাওয়ার ইচ্ছা আমার নাই।
প্রেমে বাচি, প্রেমে মরি, সখি গো প্রেমে ডুব সাতার করি
সখি বুঝিনা আছি কি বাচি নাকি গেছি অকালে মরি?
প্রেম মায়া বড় মায়া সখি গো, সখি ছাড়তে নাহি পারি
প্রেম জ্বালা বড় জ্বালা সখি গো, সখি সইতে নাহি পারি।
প্রেমিক মাতাল, প্রেমে মাতাল সখি গো কারে খুইলা বলি
সখি বুঝিনা আছি কি বাচি নাকি গেছি অকালে মরি?
সোমবার, ১৫ জুন, ২০২০
কে রাখিয়াছে খোকা তোমার নাম রফিকুল ইসলাম?তুমি তো জানোনা খোকা কে তোমার মা? কি তোমার বাবার নাম?
তুমি তো বলিলে জাননা তোমার কোথায় জন্ম?কোথায় বাড়ি ঘর? চিননা তুমি কে তোমার আপন? কে তোমার পর?
জাননা তুমি তোমার পিতা মাতা হিন্ধু মুসলিম নাকি খ্রিষ্টান? বল খোকা বল তুমি কোথায় পেলে এতো সুন্দর মুসলমানের নাম?
শুন সেবার আমি গিয়েছিলাম কলকাতা শহরে কি জানি কি কাজে? তোমার মতো মাতাপিতার পরিচয় না জানা ছেলে দেখতে পেলাম স্টেশনের মাঝে। জিগ্যেসিলাম কে তোমার পিতামাতা? কি তোমার নাম? কোথায় বাড়ি ঘর?
ফিঙলে হাসিতে বলিল খোকা, বাবু না জানি বাবা মা, না জানি বাড়ি ঘর। স্টেশনেই থাকি বাবু স্টেশনেই আপন পর। নাম খানা আমার বড় সোহাগের রাখিয়াছি নিজে। আমার নাম আমার সাথে বাবু বিষণ সাজে।
বলিলাম উল্লাসে বলো খোকা বল কি তোমার নাম?আমার যে আর তর সইছেনা জানিতে তোমার নাম।
খুকা হাসিয়া বলিল চাইছিলাম রাখিতে নায়কের নাম শাহরুক খান। ভাবিয়া দেখিলাম হিন্দুর দেশে মুসলমানের নাম বড্ড বেমানান।
কি করি ভেবে ভেবে মরি কি রাখি নিজের নাম? হিন্দু দেশে জন্ম আমার রাখিতে হবে হিন্দুজাতীয় নাম।
লোকে বলে আমি অমৃত মিষ্টি কথা বলি। চেহারাটাও টকটকে মিষ্টি লাল। ভাবিয়া দেখি অমৃত লাল সুন্দর একটি নাম। এই নাম রাখিয়া হাহাহা বাবু পরিলাম মহাবিপদে। স্টেশন মাস্টারের নাম যে অমৃত লাল কে জানিত আগে?
জিগ্যেশিলাম খুকা তুমি জানিলে কি করে তুমি হিন্দু না মুসলমান? বলিল খুকা হেসে বাবুজি যে কি বলেন হিন্দুদের দেশে? আমি কি করে হই কন মুসলমান?
জানেন বাবু কিভাবে জানি, জানিল স্টেশন মাস্টার আমার নাম অমৃত লাল। ডাকিয়া আমার কান মলিয়া কহিল নামখানা আমার চুরি করেছিস তুই, কত্ত বড় সাহস তোর? আমার লাটির আগাতে এইবার তুই মর একেবারেই মর।
মাস্টার মশাইরে ধাক্কা দিয়া ছুটিয়া দিলাম দৌড় তেরে। আসিলাম চিরতরে সেই স্টেশন আজীবনের মতো ছেড়ে। চেনা ঠিকানা বদলে ফেলিলাম বাবু নাম খানার দায়ে। এই ইস্টেশনে আছি বাবু চৌদ্দ বছর ধরে, সখের নাম আমৃত লাল লয়ে।
কি খুকা তোমার নাম কি সেই কলকাতার ছেলেটির মতো নিজেই নিজে রাখা? মুসলমানের দেশে জন্ম বলেই মুসলমানের নামই রাখা?
কাপিয়া উঠিল স্টেশন, বাজিয়া উঠিল হরণ, আসিয়া পরিল রেলগাড়ি, দৌড় দিল রফিকুল ইসলাম।হয়তো করবে কুলি গিরি, কয়টা টাকা কামাই করি, অন্ন কিনিবে খুদা মিঠাতে এটাই তার রোজকার কাম।
আমার আর কি করা, ট্রেনটা ছাড়িছাড়ি, উঠিয়া পড়িয়া সিলেট থেকে ঢাকার পথে চড়িলাম। জানিয়ে পারিলাম না কে রেখে তার মুসলমানের নাম রফিকুল ইসলাম।
আমি বিশ্বাস করিনি এ পৃথিবী আমার নয়,
অথচ সেদিনও পৃথিবী আমার দাবী করেছি।
আজ যখন পৃথিবী তার মালিকানা ফিরিয়ে নিচ্চে
সাথে নিয়ে যাচ্ছে মানুষরুপি আমাকেও।
আজ জানলাম পৃথিবী আমার নয়, আমি পৃথিবীর
আজ জানলাম পৃথিবীর মালিক মানুষজাতি নয়,
মানবজাতির মালিক বরঞ্চ বহুকাল পৃথিবী।
আজ দেখলাম পৃথিবী তাকে মানুষের থেকে মুক্ত করে
নিজেকে সাজাচ্ছে যেমনটা ছিল, মানব দখলের আগে।
কিছু মানুষ তাতে ধংস হচ্ছে ক্ষতি কি তাতে পৃথিবীর?
সে তো ফুল পাখি দিয়ে সাজাবে তার প্রকৃতি, মানুষের কি দরকার?
কিছু মানুষ ঠিকিয়ে রাখবে পৃথিবী মানুষকে শিক্ষা দেবার
নতুনা মানুষ বুঝবে কি করে কি ক্ষতি করেছে নিজেরার।
সুখের যে আজ হয়েছে মহা অসুখ
গবেষণা বলে এ জটিল ছোয়াছে রোগ
সুখ কাঙ্গালের দল তাই গেছে পালায়।
অসুখি কি আর পায় অসুখের ভয়
সুখকে যতনে অসুখ ছাড়াতেই হয়
অসুখি বুঝে অসুখ কতো জ্বালাময়।
অসুখির যতনে আজ সুখ জঠিল রোগ মুক্ত
ধন্যবাদ ছাড়া কি আর অসুখী থাকে পাপ্প
সুখ ছুটেছে আবার সুখ কাঙ্গালের দলের পিছু।
সুখ কাঙ্গালের দল দেয়না আর সুখকে ঠাই
জটিল ছোয়াছে রোগ ওরা বড্ড ভয় পায়
অসহায় সুখ নিল তাই অসুখির ঘরে ঠাই।
জানিনা স্বরবর্ণ ব্যঞ্জনবর্ণ অ আ ইর পরে কি?
জানিনা পাচঁ কলিমা আর কি কি ইসলামের খুটি?
ভাবখানা মোর এমন যেন বিক্ষাত ইসলামিক পন্ডিত
নামাজ তো পড়তেই জানিনা, সুরা পাঠ যে বেঠিক।
পথে ঘাটে যেথায়ই থাকি, পাপ নাপাকে সব মানুষের তরে
কোরআন হাদিসের বর্ননায় দেই ফতুয়া একশো ভাগ সঠিক
আমি যেন খুব জান্তা বিশাল জ্ঞানী ইসলামিক পন্ডিত
মুফতি বেডা যাই বলুক মিয়া ভাই আমারটাই এক্কেবারে ঠিক।
হেই মিয়ারা ধর্ম শিইক্ষা ধর্ম দিয়া করে লাখ লাখ টাকা কামাই
আমি কিন্তু নিজের খাইয়া নিজের পইরা ফ্রিতে ধর্মের বাণী বিলাই।
আমি কিন্তু শিক্ষা বিহীন মুর্খ মানুষ ধন সম্পদও নাই
আমার আগে তাগো হিসাব দিয়া বেহেস্তে যাওয়া এতো সোজা নায়।
রবিবার, ১৪ জুন, ২০২০
আমি পথের মানুষ পথেই থাকি, পথেই ঘর বাড়ি
পথের মাঝে ফুটে আবার, পথের মাঝেই ঝরি।
পথের মাঝে স্বপ্ন আমার, পথেই মাঝেই আশা
পথের মাঝে হারিয়ে গেছে, আমার ভালবাসা।
আমি পথের মাঝে সুখ খুজে পাই, শত দুঃখ ভুলে
পথের মাঝে পথ ভুলে যাই, নতুন পথ খুজার ছলে।
পথের মাঝে সুখে হাসি আমি, পথের দুঃখে কাদি
পথের মাঝে আমার হারিয়ে যাওয়া, ভালবাসা খুজি।
আমি পথের মাঝে পিতা খুজি, পথের মাঝেই মাতা
পথের মাঝে বুনি আমি আমার, নতুন কাব্যকথা
পথের মাঝে আমি দূরে সরে যাই, পথেই ফিরে আসা
পথের মাঝে খুজে পাবো আমি, আমার ভালবাসা।
আমি পথের সাথে সখ্যতা গড়ে, জীবনের গ্লানি টানি
পথের মাঝে আমাতে আমি, পথেই আমায় চিনি।
পথের মাঝে যুগ ধরে বাচি আমি, পথেই যাবো মরে
পথের মাঝে ভালবাসার আশায়, আছি বারোটি বছর ধরে।
Labels:
কবিতা,
গান,
পাগলের প্রলাপ,
প্রেমিক মাতল,
সাহিত্য চর্চা,
সুরঞ্জনা
মঙ্গলবার, ২ জুন, ২০২০
এবার বুঝোন মুখস্ত বিদ্যা কতোটা খারাপ।আমাদের একজন শিক্ষক, জনপ্রিয় লেখক, শিক্ষাবিদ মুখস্ত বিদ্যাকে অশ্লীলতার সাথে তুলনা করেছিলেন। কেন করছিলেন নিশ্চয়ই আমাদের বুঝতে সমস্যা হবার কথা নয়।উনি বুঝাতে চেয়েছেন অশ্লীলতা যতোটা খারাপ মুখস্ত বিদ্যা ঠিক ততোটাই খারাপ।
মুখস্ত বিদ্যা দিয়ে নিশ্চয়ই ভালো সার্টিফিকেট অর্জন করা যায় কিন্তু মেধাবী বা বুদ্ধিমান হওয়া যায়না। মুখস্ত বিদ্যা আমাদের অজান্তেই খুব গুপনে আমাদের মেধা ও বুদ্ধিমত্তাকে ধংষ করে দেয়। হয়তো এক সময় আমরা এই মুখস্ত বিদ্যায় অনেক ভালো ভালো সার্টিফিকেটদারী হই। যেই সার্টিফিকেট আমাদেরকে একটা ভাল চাকরী দিতে পারে। কিন্তু সেই সার্টিফিকেট আমাদেরকে উদ্যেগতা বা উদ্ভাবক হিসেবে গড়ে তুলতে পারেনা। কারণ আমাদের মুখস্ত বিদ্যা অতিতেই আমাদের চিন্তা শক্তি ভাবনা শক্তিকে গলা চেপে মেরে ফেলেছে। চিন্তা শক্তি ভাবনা শক্তি ছাড়া কোন দিন উদ্যেগতা বা উদ্ভাবক হওয়া সম্ভব নয়।
আমরা মুখস্ত বিদ্যায় ভালো সার্টিফিকেট অর্জন করে হয়ে পড়ি চাকরী নির্ভর। আমাদের দেশে কর্মসংস্থানের বড়ই অভাব। তাই চাকরী আমাদের দেশে সোনার হরিণ নামেই পরিচিত। সোনার হরিণ পাওয়া তো আর এতো সোজা নয়। সরকারী চাকরী নামের সোনার হরিণ ধরতে আমাদেরকে গুনতে হয় লক্ষ লক্ষ টাকা। কেন গুনতে হয় তা নিশ্চয়ই আমাদের কারো অজানা নয়। কারন ঘুষবিহীন সরকারী চাকরী পাওয়ার নজীর আমাদের দেশে নেই বললেই চলে।
আর প্রাইভেট ফার্মের চাকুরী নামের সোনার হরিণ ধরতে লাগে বাবা মামা চাচা ইত্যাদি।যাদের বাবা মামা চাচা ইত্যাদি নেই তাদের চাকরীও নেই প্রাইভেট ফার্ম গুলিতে।যদিও এখন নাকী প্রাইভেট ফার্ম গুলিতেও সরকারী চাকরীর মতো ঘুষের প্রচলন শুরু হয়ে গেছে।
আমরা যারা মুখস্ত বিদ্যায় শিক্ষিত হয়ে ভালো ভালো সার্টিফিকেট অর্জন করেছি বা করবো তারা কি চাকরী নামের সোনারা হরিণ ধরতে পারছি বা পারবো। অনেকেই বলবেন জানী হ্যা পেরেছি বা পারবো। তারা কারা যানেন? তারা হলেন সেই ব্যক্তিগণ যারা টাকার জোরে সরকারী আর বাবা মামা চাচার জোরে বেসরকারী চাকরী পেয়ে গিয়েছেন বা পাবেন। কিন্তু আমাদের মতো হত দরিদ্র অথবা বাবা চাচা মামা বিহীন অথবা ঘুষ দিয়ে চাকরী নিতে অনুচ্ছুকগণ কি চাকরী নামের সোনার হরিণ ধরতে পেরেছি বা পারবো। নিশ্চয়ই পারার কথা নয়। তখন আমরা হয়ে যাবো দেশের বোজা সমাজের বোজা পরিবারের বোজা। মূল্যহীন হয়ে যাবে আমাদের দীর্ঘ সময় আর পরিশ্রমের অর্জন শিক্ষা। মূল্যহীন হয়ে যাবে আমাদের সার্টিফিকেট। যা ইতি মধ্যে হয়ে গিয়েছেও বটে অনেকের জীবনে।
যেহেতু আমরা মুখস্ত বিদ্যায় শিক্ষিত সেহেতু আমাদের চিন্তা শক্তি ভাবনা শক্তি মৃত। তাই আমরা আর পারছিনা নিজের ইচ্ছেতে কিছু করতে। কারন চিন্তা শক্তি ভাবনা শক্তি বিহীন মানুষের ইচ্ছা শক্তিও থাকেনা।
আমরা যারা তরুন যুবক কিশোর বা শিশু আমাদের এখনো সময় আছে মুখস্ত বিদ্যা থেকে বেড়িয়ে আসার। এখনো সময় আছে আমাদের অশ্লীলতার সমতুল্য খারাপ মুখস্ত বিদ্যাকে ত্যাগ করার। এখনো সময় আছে আমাদের হাতে আমাদের চিন্তা শক্তি ভাবনা শক্তিকে বাচিয়ে রাখার। এখনো সময় আছে আমাদের শুধু চাকরী নির্ভর শিক্ষায় শিক্ষিত না হয়ে, মেধা ও বুদ্ধিমত্তাকে জাগ্রত করে নিজেদের ইচ্ছা শক্তিকে জন্ম দেওয়ার।
আসুন আমরা সবাই মুখস্ত বিদ্যা থেকে বের হয়ে এসে চিন্তা, ভাবনা, মেধা ও মুদ্ধুমত্তাকে কাজে লাগাই। চাকরী নির্ভর শিক্ষিত না হয়ে স্ব-শিক্ষিত হই চিন্তা, ভাবনা, মেধা ও মুদ্ধুমত্তার জোরে। যে শিক্ষা আমাদেরকে উদ্যেগতা বা উদ্ভাবক হতে শিখাবে। আমাদের অন্তরে সাহস জোগাবে। যেই উদ্যেগক বা উদ্ভাবনা আর সাহসিকতায় গড়ে তুলতে পারবো হাজার হাজার বেকারের কর্মক্ষেত্র। হ্রুদ করতে পারবো বেকারত্বের হার। দেশে সমাজ আর পরিবারের বোজা না হয়ে হবো দেশ সমাজ আর পরিবারের গর্বিত সন্তান। সবার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা।
Labels:
উপন্যাস,
কবিতা,
গল্প,
পাগলের প্রলাপ,
প্রেমিক মাতল,
সুরঞ্জনা
শনিবার, ১৬ মে, ২০২০
বৃষ্টির সাথে আমার সখ্যতা দেখে
ঈর্ষানিত হয় রাতের তাঁরা
টিপটিপ বৃষ্টির ঝড়াঝড়া দেখে
রাতের তাঁরাগুলি ঈর্ষায় জ্বলেপুড়ে
মেঘের আড়ালে মুখ ঢাকে।
শ্রাবণের রাতে ভাসাডুবা প্লাবনে
আমার দুখের স্নান দেখে
তাঁরারা মিটিমিটি হাসে।
বৃষ্টির কানে কানে বলে আড়ালে
আমায় কেন এতো ভালবাসে?
একফালি মেঘ এসে ঢেকে দেয় তাঁরাদের
বৃষ্টি ঝড়িয়ে আমায় ভিজিয়ে দেয় ভালবেসে।
বুধবার, ১৩ মে, ২০২০
ভয়ে থেমে যাক, প্রতিবাদী কাব্য সৃজন
থমকে যাক, প্রতিবাদী ভাষার উচ্চারণ।
পথ ভুলা হোক সাহসী, বীরপুরুষের দল
উজ্জীবিত হোক, মাথানত কাপুরুষের বল।
কারার ভয়ে কলম, লিখনি কাপেঁ থরতর
জেল জুলুম হুলিয়া, ভড়িয়া উঠিল জড়সড়।
মুক্তি পাক, শান্তি পাক শতশত অপরাধির দল
অপরাধ মুক্তি পাক, নিপাক যাক প্রতিবাদীর দল।
কালা কানুন কলমের নয়, চোরের পক্ষে কথা কয়
চোরেরা যেন চোর নয়, সাধু বেসে সাধু সেজে রয়।
লিখনির জোরে চোরের সাজা যদি রুপকথার গল্প হয়
কবিও কলিকালের রুপকথার কাব্য রচনায় পাবে ভয়।
কালা কানুনের ভয়ে, গড়েছে কবির মনে বিস্বাদ সিন্ধু
কলম কবির শত্রু, প্রতিবাদী ভুলা নিরবতা বিশাল বন্ধু।
গনমানুষের কবি আজ, অমানুষের কবিতে হোক পরিণয়
ভয়ে ভয়ে শুধু ভয়ে, হোকনা তবু ঐ কালাকানুনের জয়।
মঙ্গলবার, ১২ মে, ২০২০
আরেকটা কবিতা লিখবো তোমায় নিয়ে, না সে কবিতায় তুমি থাকবেনা
থাকবে তোমার বদলে তোমার নামের, তোমার শূন্যস্থান পূরণে অন্য কেউ।
আরেকবার তোমার প্রেমে পড়বো আমি, না সে প্রেমের নাইকা তুমি নও
তোমার মতো দেখতে হয়তো, তবে তোমার মতো প্রতারক কেউ নয়।
আরেকবার জীবন গড়বো আমি, না তোমার ভালবাসার মায়ায় নয়
তোমার মতো অন্য কেউ হয়তো, তবে তোমার অতো অমানুষ নয়।
আরেকবার করবো তোমায় সুরঞ্জনা সোনায় খাচায় বন্দি, তবে তুমি নও
আরেকবার ভাঙ্গবে তুমি আমার সেই ভাঙ্গা নীড়, না সেও তুমি নও।
আরেকবার আমি স্বপ্নের পিঠে বয়ে নিয়ে আসা দুঃস্বপ্নের ফাদে পড়বো
আরেকবার আমি ঘুরেফিরে আবার নতুন করে তোমার প্রেমেই পড়বো।
কল্পনায় এমন দিন গুনেগুনে কেটে গেছে পনেরটি বছর, একযুগের উপর
যাকনা জীবন এভাবেই কেটে তুমি বিহীন একলা দহনে, পরজনমের পর।
ভালবাসি সুরঞ্জনা আজো ভালবাসি যতোদিন হয়না, তোমার জানা
আমি অন্ধের মতো ভালবেসে যাবো ভয় না করে, পরজনমের দহনেহানা।
স্বর্গের মায়া ছাড়া প্রেমিক মাতাল আমি, নরকের কি ডর ভয় পাই
তোমার মায়ায় কাটবে জীবন মরণ, পাবেনা নতুন করে কেউ ঠাই।
রবিবার, ১০ মে, ২০২০
একদিন আমিও মানুষ ছিলাম, ছিল মানুষের মতো জীবন স্বপ্নময়
একদিন আমিও প্রেমিক ছিলাম, ছিল প্রেমিকাকে হারাবার ভয়।
একদিন আমিও পথিক ছিলাম, স্বপ্নের মতো জীবন গড়ার পথে
একদিন আমিও বৃষ্টিকে ভালবেসে ছিলাম, কোন এক মেঘ কালো রাতে।
একদিন আমিও মায়ের লক্ষি ছেলে ছিলাম, টাকার নেষায় মেতে
একদিন আমিও সমাজের ছিলাম, সমাজের দ্বায়বদ্ধতা থেকে।
আজ আমি অন্য মানুষ, অন্য কোন পথের, অন্য কোন নদীর ঘাটে
অন্য ভাবেই কাটছে জীবন, জীবনের শেষ হিসেব নিকেশ কষে।
বেচে আছি মরবো বলে, মরার তরে, জীবনের শেষ মোহনায়
অমানুষের কবি'র মৃত্যুতে কে আছে কাদার ছলে করে হায়হায়।
ঐ পথশিশু তোদের চোখে কান্নার জল দেখে আমার পৌষাশিক আনন্দ জাগে
আমি যে অমানুষের কবি।
হে প্রিয়া তোমার চোখের জন আমার কাছে হেয়ালি লাগে
আমি যে অমানুষের কবি।
পথের শিশু দুইটা টাকা দেন যখন খুজে, আমার মাঝে তখনি পশুত্ব জাগে
আমি যে অমানুষের কবি।
কান দুইটা মলে দিয়ে কাজ করে খা বলে আমার হৃদয় মহামানবী সাজে
আমি যে অমানুষের কবি।
খাদ্য বস্ত শিক্ষা চিকিৎসার দাবীতে যখন গণমানুষ জাগে, আমার কাছে ওদেরকে বেকুবের দল লাগে
আমি যে অমানুষের কবি।
অধিকার চাই অধিকার চাই আর্থনাদ করা ওরা আমার মনে হয় যেন এই ফরলো ফাদে
আমি যে অমানুষের কবি।
মায়ের চিল্লান আর কতো কাল খাবি আমার ঘারের উপড় পরে, এ যেন মিষ্টি কাব্যের সুন্দর কথা মালা ঝরে
আমি যে অমানুষের কবি।
ভাবি দুইটা টাকা কামাই করে দিতে পারলে যেন মায়ের পরাণ যাবে ভরে
আমি যে অমানুষের কবি।
আমি অমানুষের কবি
মায়ের ডাকে ঘুম ভেঙ্গে দুপুর দুইটা বাজে শুনি।
আমি অমানুষের কবি
রাত জেগে ফুটপাথে ঘুমিয়ে থাকা অমানুষদের গুনি।
আমি অমানুষের কবি
মানুষের মাঝে অমানুষ খুঁজে তাদের নিয়ে নতুন কাব্য বুনি
আমি অমানুষের কবি
পশুর মাঝে মানুষের মহানগুণ মনুষ্যত্বই আমার কাব্য লেখার পুজি।
আমি অমানুষের কবি
অমানুষের নিয়ে লিখবোনা আর, পণ করেও লিখে ফেলে দুই কলম রোজই।
আমি অমানুষের কবি
গণমানুষের মানুষের কথা না ভেবে, অমানুষের কথা ভাবি।
আমি যে অমানুষের কবি......
মঙ্গলবার, ৩১ মার্চ, ২০২০
এক চিলতে বৃষ্টি ঝরেছিল আজ, আমার দুচোখে
কিন্তু মেঘ জমা ছিলনা বিন্দুমাত্র, মনের আকাশে।
আজ ফাগুনের আগুন পুড়িয়েছিল মন, খুব গোপনে
কিন্তু তখন বৃষ্টি ঝরেনি চোখে, সে আগুন নেভাতে।
না আর কবিতা লিখবোনা, তোমার বিরহের যাতনায়
তুমি তো কবির প্রেমে পরনি, পরেছিলে কবিতার।
কবিতা আমার সৃষ্টি, তাই করে ছিলে আরাধনা আমার
আমি তো ভেবে ছিলাম, এ যেন কবির জীবনে এলো প্রেমের জোয়ার।
প্রাণহীন মৃতদেহ লুঠায়ে পরিলে একদিন মাটিতে
শুয়ায়ে রাখিবে যখন লোকে শিতল পাটিতে।
হয় তো আসিবে সেদিন তুমি শেষ দেখা দেখিতে
অথচ আমি জানবোনা পেরেছ কি তুমি কাদিতে?
বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০১৯
জেগে ওঠো বন্ধু সময়ের জোয়ারে
দাঁড়িয়ে জাগরণ তোমার মনের দুয়ারে
তুমি জাগলেই জাগবে দেশ ও জাতী
নিমিষেই ফুরাবে নিকষ কালো তিমির রাতি।
মেঘ দেখে আকাশে ভয় তুমি পেওনা
পেছনে কেউ নেই ভেবে ভীতু তুমি হয়না
তোমার সাহসী চিৎকারে থমকে যাবে অন্যায় অবিচার
পেছনে তাকিয়ে দেখ ষোল কোটি অনুসারী তোমার।
পাহাড়ের উচ্চতা দেখে ভয় তুমি পেওয়া
ষোল কোটি মানুষ তোমার সাহসের পেরনা
তুমি মাথা উচু করে দাড়ালে নিচু হবে সব ক্ষমতাধর
তোমার পাজরে জুরে যাবে ষোল কোটি নাগরিকের পাজর।
সাগরের বিশালতার গর্জনে কেঁপে তুমি উঠো না
নিজের অর্জিত আত্নবিশ্বাসে দুর্বল তুমি হওয়া
তুমি গর্জে উঠলে গর্জে উঠবে ষোল কোটি জনতা
তোমার ভাগ্য রেখায় ষোল কোটির ভাগ্যের সমতা।
পণ করেও আমার লিখনিকে থামাতে পারিনা। আমি তো আর লিখতে চাইনা। তবুও কেন লেখা ঘুরপাক খায় আমার মনের মাঝে। তবে কি আমার জন্মের এক বছর পরে মায়ের নেওয়া পরিক্ষায় কলম তুলে নিয়ে ছিলাম লেখালেখিটাকে ছাড়তে পারছি? না না আমি আর লিখতে চাইনা। লেখালেখি আমার মতো মুর্খের কাজ। লেখালেখিত শিক্ষিতদের কাজ। আমি তো গণ্ডমূর্খ।
মঙ্গলবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৮
কবিতা তুমি সস্তা কলমের কয়েক ফোটা কালিতে
সস্তা দামের সাদা কাগজে অপেশাদার পদবিহীন কবির সৃষ্টি।
তাই বলে তুমি সস্তা নও কবিতা তোমার সৃষ্টিকর্তার কাছে।
তাই বলে যে তুমি খুব দামি তোমার সৃষ্টিকর্তার কাছে, তাও নও কবিতা।
তুমি তোমার সৃষ্টিকর্তার কাছে এক অমূল্য সম্পদ।
তোমার সৃষ্টিকর্তা অপেশাদার পদবিহীন কবি বলে।
তোমার সৃষ্টিকর্তা যদি পেশাদার পদওয়ালা কবি হতো
তবে তোমায় কবেই বেচে দিত কোন একটা মূল্য আদায় করে।
তুমি গর্বিত কবিতা কোন এক অপেশাদার পদবিহীন কবির সৃষ্টি বলে।
সে সৃষ্টি বিক্রি করে আহার কিংবা বিলাসীতা করেনা বলে।
তুমি অমূল্য কবিতা কোন অপেশাদার পদবিহীন কবির সৃষ্টি বলে।
সস্তা দামের সাদা কাগজে অপেশাদার পদবিহীন কবির সৃষ্টি।
তাই বলে তুমি সস্তা নও কবিতা তোমার সৃষ্টিকর্তার কাছে।
তাই বলে যে তুমি খুব দামি তোমার সৃষ্টিকর্তার কাছে, তাও নও কবিতা।
তুমি তোমার সৃষ্টিকর্তার কাছে এক অমূল্য সম্পদ।
তোমার সৃষ্টিকর্তা অপেশাদার পদবিহীন কবি বলে।
তোমার সৃষ্টিকর্তা যদি পেশাদার পদওয়ালা কবি হতো
তবে তোমায় কবেই বেচে দিত কোন একটা মূল্য আদায় করে।
তুমি গর্বিত কবিতা কোন এক অপেশাদার পদবিহীন কবির সৃষ্টি বলে।
সে সৃষ্টি বিক্রি করে আহার কিংবা বিলাসীতা করেনা বলে।
তুমি অমূল্য কবিতা কোন অপেশাদার পদবিহীন কবির সৃষ্টি বলে।
পূর্ণিমার চাঁদের মতো কলঙ্কিনী তুমি রাঁধে আমি কৃষ্ণ কালা
তোমার আমার মিলন হলে রাঁধে মিটতো মনের জ্বালা
ও রাঁধে একলা কি আর কাটতো আমার এমনি এ বেলা...
রাঁধে গো আকাশ কালো হলে পরে বৃষ্টি অঝর ঝড়ে
কালো মেঘ না জমিলে, বৃষ্টি কি আর ঝড়ে?
বলো রাঁধে বৃষ্টি কি আর ঝড়ে
আমি কালো বলে যদি করতে না আর হেলা
ও রাঁধে একলা কি আর কাটতো আমার এমনি এ বেলা...
বাঁধে গো লাল গোলাপ সাদা গোলাপ পেতে পারো সব বাগিচায় ধরে
কালো গোলাপ পাবে কি আর সেতো সব বাগিচায় নাহি ধরে?
বলো রাঁধে সব বাগিচায় কি আর ধরে?
আমি কালো বলে যদি হতনা তোমার মনো জ্বালা
ও রাঁধে একলা কি আর কাটতো আমার এমনি এ বেলা...