একদিন একরাতের অন্ধকারে একএকা অচেনা এক পথে ধরে হাটতে হাটতে পথ পারিয়ে ঢুকে পরি এক গভীর অরণ্যে। অরণ্য মানে গণজঙ্গল। না আমাদের সুন্দরবনের মতো সুন্দর জঙ্গল নয়, কিংবা সিলেট শ্রীমঙ্গল বা আমাদের পার্বত্য অঞ্চলের মতো মন জোরানো বনবাদার নয়। এ এক ভংকর বন জঙ্গল। বনে ছোট ছোট দুব্রা ঘাসগুলিকে দেখে মনে হয় মানুষ খেকো। আর ছোট ছোট গাছগুলিকে মনে হয় মানুষ খেকো দানব। এমন ক্ষনে, এমন জায়গায় আমি বুঝতে পারছিনা আমি বেচে আছি নাকি মরে গেছি। আমি বুঝতে পারছিনা এটা কি পৃথিবীর জঙ্গল, নাকি নরকের জঙ্গল? ভয়ে ভয়ে গায়ে চিমটি কাড়লাম। কিন্তু না ব্যথা পেলামনা। ব্যথা না পাওয়ায় আরো ভয় পেয়ে গেলাম। তবে কি আমি বেছে নেই। ভয়ে ভয়ে আবার চিমটি কাটলাম কিন্তু না এবারো ব্যথা পেলাম না...চলবে...
পাগলের প্রলাপ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
পাগলের প্রলাপ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২১
শুক্রবার, ৯ এপ্রিল, ২০২১
জানো সুরঞ্জনা আজ তোমাকে হারানোর প্রায় ১১ বছরের কাছাকাছি। অথচ তোমার প্রেমিক মাতাল ঠিক ১১ বছরের আগের মতো আছে। এখন তোমার প্রেমের আরাধনা করে। তোমাকেই ভালবাসে।
সুরঞ্জনা আমি জানি তোমার ব্যস্ত জীবনে এখন আর আমাকে মনে পরেনা। মনে পরার কথা নয়। কারণ সাবেক প্রেমিককে মনা রাখার মতো বোকা তুমি নও। তারপর আবার তুমি অন্য কারো ঘরের ঘরণী। অন্য কারো সন্তানের জননী। তোমার আমাকে মনে পরা একেবারে উচিত নয়। আমিও চাইনা তুমি আর কোনদিন আমাকে মনে করো কষ্ট পাও। বলো কোন প্রেমিক কি তার প্রিয়তমা কষ্ট পাক এটা চায়?
জানো সুরঞ্জনা আমি না এখনো বিয়ে করিনি। কারণ জীবনে চলার পথে যদি কোনদিন তোমার সাথে দেখা হয়ে যায় তখন যদি তুমি প্রশ্ন করো প্রেমিক মাতাল তোমার বউ কেমন আছে। তখন যদি বলে দেই হ্যা অনেক ভাল আছে। তখন তুমি অনেক কষ্ট পাবে। তোমাকে তো আর আমি কষ্ট দিতে পারিনা। বলো ভালবাসার মানুষটাকে কি কষ্ট দেওয়া যায়? তাই আর বিয়ে করা হয়ে উঠেনা আমার? যদিও আমি তো আর তোমার মতো স্বার্থপর নই যে, তোমার সাথে সংসার গড়ার স্বপ্ন নিয়ে অন্য কোন মেয়েকে ঘরের বউ করে নিয়ে আসবো।
জানো সুরঞ্জনা মা বোন আত্মীয় স্বজন পাড়া প্রতিবেশিরা আমার বিয়ে নিয়ে মাথা ব্যথা উঠেছে। সবাই আমাকে বিয়ে নিয়ে চাপ দিচ্ছে। কিন্তু আমি এক চিমটিও পাত্তা দিচ্ছিনা। কারণ আমি মাকে বলে দিয়েছি আমি বিয়ে করবোনা। জানি মা জানে কেন আমি বিয়ে করবোনা। কারণ মায়ের তো
আর অজানা নয়, তোমার আমার প্রেম কাহিনী।
বিয়ের চাপ মুক্ত থাকার জন্য আমি একটা বুদ্ধি খাটিয়েছি। কি বুদ্ধি সেটা জানলে তুমি হাসবে। কারণ তুমি কোন বিপদে পড়লে আমার থেকে বুদ্ধি নিতে। সেই বুদ্ধি ১০০ ভাগ কার্যকর হতো। তাই তুমি আমার বুদ্ধির প্রশংসা করতে। কিন্তু আমার এই বুদ্ধির কথা শুনতে তুমি আমাকে এখন আর বুদ্ধিমান নয় বোকা ভাববে। তাই বলতে লজ্জা হচ্ছে। তবুও বলে দেই। কারণ তোমাকে তো আমার কোন কিছু লুকিয়ে রাখিনা। বলতে গিয়ে আমার হাসি পাচ্ছে। আমি বিয়ের চাপ মুক্ত থাকার জন্য বেকার থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কি হাসছো?
না হেসে শুনো এই বুদ্ধি কিন্তু ১০০ ভাগ কার্যকর। কারণ মা তো আর বেকার ছেলেকে বিয়ে করাবেনা। আর বেকার ছেলেকে তো কেউ আর বউ দেবে। বিশ্বাস করো এই বুদ্ধি কাজে দিচ্ছে অনেক বছর যাবত। তবে মাঝে মাঝে জামেলা হয়। জানো আমি সরকারি চাকরিজীবী মায়ের একমাত্র ছেলে। তাই অনেক লোভী মেয়ের মায়েরা বেকার আমার কাছে মেয়ে বিয়ে দিতে লোক পাঠায়। খুব খিদা লাগছে এই বিশয়ে অন্য দিন না হয় বলবো। এখন একটু খেয়ে নেই কেমন।
জানী এই উড়োচিটি তোমার নজরে পড়বেনা কিন্তু হাজার হাজার পাঠক এই চিটি পড়ে কাদবে। আবার কেউ তোমাকে বকবে। আবার কেউ কেউ আমাকে বোকা ভেবে বকবে কিংবা উপদেশ দেবে।
যাই হোক সুরঞ্জনা ভাল থেকে। এবং পরের উড়োচিটির অপেক্ষায় থেকে। ভাল থেকে সুখে থেকে তুমি তোমার ভূবনে তোমার মতো করে-- ইতি তোমার প্রেমের কাঙ্গাল প্রেমিক মাতাল
Labels:
উড়ো চিঠি,
উপন্যাস,
কবিতা,
গল্প,
পাগলের প্রলাপ,
প্রেমিক মাতল,
সুরঞ্জনা
রবিবার, ১৪ জুন, ২০২০
রাজধানী ঢাকার ইতিহাস, ঐতিহ্য সংস্কৃতি
ঢাকা জেলারঐতিহ্য
ঢাকার নামকরণের সঠিক ইতিহাস নিয়ে ব্যাপক মতভেদ রয়েছে। কথিত আছে যে, সেন বংশের রাজা বল্লাল সেন বুড়িগঙ্গা নদীর তীরবর্তী এলাকায় ভ্রমণকালে সন্নিহিত জঙ্গলে হিন্দু দেবী দুর্গার একটি বিগ্রহ খুঁজে পান। দেবী দুর্গার প্রতি শ্রদ্ধাস্বরূপ রাজা বল্লাল সেন ঐ এলাকায় একটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। যেহেতু দেবীর বিগ্রহ ঢাকা বা গুপ্ত অবস্থায় খুঁজে পাওয়া গিয়েছিলো, তাই রাজা, মন্দিরের নাম রাখেন ঢাকেশ্বরী মন্দির। মন্দিরের নাম থেকেই কালক্রমে স্থানটির নাম ঢাকা হিসেবে গড়ে ওঠে।
আবার অনেক ঐতিহাসিকের মতে, মোঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর যখন ঢাকাকে সুবা বাংলার রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করেন; তখন সুবাদার ইসলাম খান আনন্দের বহিঃপ্রকাশস্বরূপ শহরে 'ঢাক' বাজানোর নির্দেশ দেন। এই ঢাক বাজানোর কাহিনী লোকমুখে কিংবদন্তির রূপ নেয় এবং তা থেকেই শহরের নাম ঢাকা হয়ে যায়। এখানে উল্লেখ্য যে, মোঘল সাম্রাজ্যের বেশ কিছু সময় ঢাকা সম্রাট জাহাঙ্গীরের প্রতি সম্মান জানিয়ে জাহাঙ্গীরনগর নামে পরিচিত ছিলো।
ঢাকা নগরীকে বর্তমানে বর্তমানে দুইভাগে বিভক্ত করা হয়েছে - ঢাকা দক্ষিণ ও ঢাকা উত্তর। ঢাকা দক্ষিণই মূলতঃ মূল নগরী। ঢাকা উত্তর ঢাকার নবীন বর্ধিত উপশহরগুলো নিয়ে গঠিত।
ধারণা করা হয় কালের পরিক্রমায় ঢাকা প্রথমে সমতট, পরে বঙ্গ ও গৌড় প্রভৃতি রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিলো। খ্রিস্টীয় ১৩শ শতাব্দীর শেষের দিকে মুসলমানেরা ঢাকা অধিকার করে। মোঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের ফরমান অনুযায়ী ১৬ জুলাই ১৬১০ খ্রিস্টাব্দে ঢাকাকে সুবা বাংলার রাজধানী ঘোষণা করা হয়। সম্রাট জাহাঙ্গীর-এর নাম অনুসারে রাজধানীর নাম জাহাঙ্গীরনগর রাখা হয়। সম্রাট জাহাঙ্গীরের জীবিতকাল পর্যন্ত এ নাম বজায় ছিলো। এর আগে সম্রাট আকবরের আমলে বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার প্রাদেশিক রাজধানী ছিলো বিহারের রাজমহল। সুবা বাংলায় তখন চলছিলো মোঘলবিরোধী স্বাধীন বারো ভূইঁয়াদের রাজত্ব। বারো ভূইয়ার নিয়ন্ত্রণ থেকে বাংলাকে করতলগত করতে ১৫৭৬ থেকে ১৬০৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বারবার চেষ্টা চালানো হয়। এরপর সম্রাট জাহাঙ্গীরের শাসনামলে ১৬০৮ খ্রিস্টাব্দে ইসলাম খান চিশতীকে রাজমহলের সুবেদার নিযুক্ত করেন। তিনি ১৬১০ খ্রিস্টাব্দে বাংলার ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনা করে রাজধানী রাজমহল থেকে সরিয়ে ঢাকায় স্থানান্তর করেন।
সুবেদার ইসলাম খান চিশতী দায়িত্ব নেবার মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যে বারো ভূইয়ার পতন ঘটে ও বর্তমান চট্টগ্রামের কিছু অংশ বাদে পুরো সুবে বাংলা মোগল সাম্রাজ্যের অধীনে আসে।
১৬১০ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা সুবা বাংলার রাজধানী হলেও সুবা বাংলার রাজধানী বারবার পরিবর্তন করা হয়েছে। ১৬৫০ খ্রিস্টাব্দে সুবেদার শাহ সুজা রাজধানী আবার রাজমহলে স্থানান্তর করেছিলেন। শাহ সুজা'র পতনের পর ১৬৬০ খ্রিস্টাব্দে সুবেদার মীর জুমলা আবার রাজধানী ঢাকায় স্থানান্তর করেন। এরপর বেশ কিছুকাল ঢাকা নির্বিঘ্নে রাজধানীর মর্যাদা ভোগ করার পর ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে সুবেদার মুর্শিদ কুলি খান রাজধানী মুর্শিদাবাদে স্থানান্তর করেন। এরপর ঢাকায় মোঘল শাসনামলে চলতো নায়েবে নাজিমদের শাসন। ব্রিটিশ শাসনের আগে পর্যন্ত এভাবেই চলছিলো। ব্রিটিশরা রাজধানী হিসেবে কলকাতাকে নির্বাচিত করলে ঢাকার গুরুত্ব আবারো কমতে থাকে। এরপর দীর্ঘকাল পর ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা আবার তার গুরুত্ব ফিরে পায়। বঙ্গভঙ্গের পর ১৯০৫ সালে ঢাকাকে আসামও বাংলার রাজধানী করা হয়। কংগ্রেসের বাধার মুখে ব্রিটিশ রাজ আবার ১৯১১ সালে রাজধানী কলকাতায় ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
সূত্রঃ ঢাকা জেলা তথ্য বাতায়ন
ঢাকা জেলারঐতিহ্য
ঢাকার নামকরণের সঠিক ইতিহাস নিয়ে ব্যাপক মতভেদ রয়েছে। কথিত আছে যে, সেন বংশের রাজা বল্লাল সেন বুড়িগঙ্গা নদীর তীরবর্তী এলাকায় ভ্রমণকালে সন্নিহিত জঙ্গলে হিন্দু দেবী দুর্গার একটি বিগ্রহ খুঁজে পান। দেবী দুর্গার প্রতি শ্রদ্ধাস্বরূপ রাজা বল্লাল সেন ঐ এলাকায় একটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। যেহেতু দেবীর বিগ্রহ ঢাকা বা গুপ্ত অবস্থায় খুঁজে পাওয়া গিয়েছিলো, তাই রাজা, মন্দিরের নাম রাখেন ঢাকেশ্বরী মন্দির। মন্দিরের নাম থেকেই কালক্রমে স্থানটির নাম ঢাকা হিসেবে গড়ে ওঠে।
আবার অনেক ঐতিহাসিকের মতে, মোঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর যখন ঢাকাকে সুবা বাংলার রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করেন; তখন সুবাদার ইসলাম খান আনন্দের বহিঃপ্রকাশস্বরূপ শহরে 'ঢাক' বাজানোর নির্দেশ দেন। এই ঢাক বাজানোর কাহিনী লোকমুখে কিংবদন্তির রূপ নেয় এবং তা থেকেই শহরের নাম ঢাকা হয়ে যায়। এখানে উল্লেখ্য যে, মোঘল সাম্রাজ্যের বেশ কিছু সময় ঢাকা সম্রাট জাহাঙ্গীরের প্রতি সম্মান জানিয়ে জাহাঙ্গীরনগর নামে পরিচিত ছিলো।
ঢাকা নগরীকে বর্তমানে বর্তমানে দুইভাগে বিভক্ত করা হয়েছে - ঢাকা দক্ষিণ ও ঢাকা উত্তর। ঢাকা দক্ষিণই মূলতঃ মূল নগরী। ঢাকা উত্তর ঢাকার নবীন বর্ধিত উপশহরগুলো নিয়ে গঠিত।
ধারণা করা হয় কালের পরিক্রমায় ঢাকা প্রথমে সমতট, পরে বঙ্গ ও গৌড় প্রভৃতি রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিলো। খ্রিস্টীয় ১৩শ শতাব্দীর শেষের দিকে মুসলমানেরা ঢাকা অধিকার করে। মোঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের ফরমান অনুযায়ী ১৬ জুলাই ১৬১০ খ্রিস্টাব্দে ঢাকাকে সুবা বাংলার রাজধানী ঘোষণা করা হয়। সম্রাট জাহাঙ্গীর-এর নাম অনুসারে রাজধানীর নাম জাহাঙ্গীরনগর রাখা হয়। সম্রাট জাহাঙ্গীরের জীবিতকাল পর্যন্ত এ নাম বজায় ছিলো। এর আগে সম্রাট আকবরের আমলে বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার প্রাদেশিক রাজধানী ছিলো বিহারের রাজমহল। সুবা বাংলায় তখন চলছিলো মোঘলবিরোধী স্বাধীন বারো ভূইঁয়াদের রাজত্ব। বারো ভূইয়ার নিয়ন্ত্রণ থেকে বাংলাকে করতলগত করতে ১৫৭৬ থেকে ১৬০৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বারবার চেষ্টা চালানো হয়। এরপর সম্রাট জাহাঙ্গীরের শাসনামলে ১৬০৮ খ্রিস্টাব্দে ইসলাম খান চিশতীকে রাজমহলের সুবেদার নিযুক্ত করেন। তিনি ১৬১০ খ্রিস্টাব্দে বাংলার ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনা করে রাজধানী রাজমহল থেকে সরিয়ে ঢাকায় স্থানান্তর করেন।
সুবেদার ইসলাম খান চিশতী দায়িত্ব নেবার মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যে বারো ভূইয়ার পতন ঘটে ও বর্তমান চট্টগ্রামের কিছু অংশ বাদে পুরো সুবে বাংলা মোগল সাম্রাজ্যের অধীনে আসে।
১৬১০ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা সুবা বাংলার রাজধানী হলেও সুবা বাংলার রাজধানী বারবার পরিবর্তন করা হয়েছে। ১৬৫০ খ্রিস্টাব্দে সুবেদার শাহ সুজা রাজধানী আবার রাজমহলে স্থানান্তর করেছিলেন। শাহ সুজা'র পতনের পর ১৬৬০ খ্রিস্টাব্দে সুবেদার মীর জুমলা আবার রাজধানী ঢাকায় স্থানান্তর করেন। এরপর বেশ কিছুকাল ঢাকা নির্বিঘ্নে রাজধানীর মর্যাদা ভোগ করার পর ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে সুবেদার মুর্শিদ কুলি খান রাজধানী মুর্শিদাবাদে স্থানান্তর করেন। এরপর ঢাকায় মোঘল শাসনামলে চলতো নায়েবে নাজিমদের শাসন। ব্রিটিশ শাসনের আগে পর্যন্ত এভাবেই চলছিলো। ব্রিটিশরা রাজধানী হিসেবে কলকাতাকে নির্বাচিত করলে ঢাকার গুরুত্ব আবারো কমতে থাকে। এরপর দীর্ঘকাল পর ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা আবার তার গুরুত্ব ফিরে পায়। বঙ্গভঙ্গের পর ১৯০৫ সালে ঢাকাকে আসামও বাংলার রাজধানী করা হয়। কংগ্রেসের বাধার মুখে ব্রিটিশ রাজ আবার ১৯১১ সালে রাজধানী কলকাতায় ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
সূত্রঃ ঢাকা জেলা তথ্য বাতায়ন
আমি পথের মানুষ পথেই থাকি, পথেই ঘর বাড়ি
পথের মাঝে ফুটে আবার, পথের মাঝেই ঝরি।
পথের মাঝে স্বপ্ন আমার, পথেই মাঝেই আশা
পথের মাঝে হারিয়ে গেছে, আমার ভালবাসা।
আমি পথের মাঝে সুখ খুজে পাই, শত দুঃখ ভুলে
পথের মাঝে পথ ভুলে যাই, নতুন পথ খুজার ছলে।
পথের মাঝে সুখে হাসি আমি, পথের দুঃখে কাদি
পথের মাঝে আমার হারিয়ে যাওয়া, ভালবাসা খুজি।
আমি পথের মাঝে পিতা খুজি, পথের মাঝেই মাতা
পথের মাঝে বুনি আমি আমার, নতুন কাব্যকথা
পথের মাঝে আমি দূরে সরে যাই, পথেই ফিরে আসা
পথের মাঝে খুজে পাবো আমি, আমার ভালবাসা।
আমি পথের সাথে সখ্যতা গড়ে, জীবনের গ্লানি টানি
পথের মাঝে আমাতে আমি, পথেই আমায় চিনি।
পথের মাঝে যুগ ধরে বাচি আমি, পথেই যাবো মরে
পথের মাঝে ভালবাসার আশায়, আছি বারোটি বছর ধরে।
Labels:
কবিতা,
গান,
পাগলের প্রলাপ,
প্রেমিক মাতল,
সাহিত্য চর্চা,
সুরঞ্জনা
মঙ্গলবার, ২ জুন, ২০২০
এবার বুঝোন মুখস্ত বিদ্যা কতোটা খারাপ।আমাদের একজন শিক্ষক, জনপ্রিয় লেখক, শিক্ষাবিদ মুখস্ত বিদ্যাকে অশ্লীলতার সাথে তুলনা করেছিলেন। কেন করছিলেন নিশ্চয়ই আমাদের বুঝতে সমস্যা হবার কথা নয়।উনি বুঝাতে চেয়েছেন অশ্লীলতা যতোটা খারাপ মুখস্ত বিদ্যা ঠিক ততোটাই খারাপ।
মুখস্ত বিদ্যা দিয়ে নিশ্চয়ই ভালো সার্টিফিকেট অর্জন করা যায় কিন্তু মেধাবী বা বুদ্ধিমান হওয়া যায়না। মুখস্ত বিদ্যা আমাদের অজান্তেই খুব গুপনে আমাদের মেধা ও বুদ্ধিমত্তাকে ধংষ করে দেয়। হয়তো এক সময় আমরা এই মুখস্ত বিদ্যায় অনেক ভালো ভালো সার্টিফিকেটদারী হই। যেই সার্টিফিকেট আমাদেরকে একটা ভাল চাকরী দিতে পারে। কিন্তু সেই সার্টিফিকেট আমাদেরকে উদ্যেগতা বা উদ্ভাবক হিসেবে গড়ে তুলতে পারেনা। কারণ আমাদের মুখস্ত বিদ্যা অতিতেই আমাদের চিন্তা শক্তি ভাবনা শক্তিকে গলা চেপে মেরে ফেলেছে। চিন্তা শক্তি ভাবনা শক্তি ছাড়া কোন দিন উদ্যেগতা বা উদ্ভাবক হওয়া সম্ভব নয়।
আমরা মুখস্ত বিদ্যায় ভালো সার্টিফিকেট অর্জন করে হয়ে পড়ি চাকরী নির্ভর। আমাদের দেশে কর্মসংস্থানের বড়ই অভাব। তাই চাকরী আমাদের দেশে সোনার হরিণ নামেই পরিচিত। সোনার হরিণ পাওয়া তো আর এতো সোজা নয়। সরকারী চাকরী নামের সোনার হরিণ ধরতে আমাদেরকে গুনতে হয় লক্ষ লক্ষ টাকা। কেন গুনতে হয় তা নিশ্চয়ই আমাদের কারো অজানা নয়। কারন ঘুষবিহীন সরকারী চাকরী পাওয়ার নজীর আমাদের দেশে নেই বললেই চলে।
আর প্রাইভেট ফার্মের চাকুরী নামের সোনার হরিণ ধরতে লাগে বাবা মামা চাচা ইত্যাদি।যাদের বাবা মামা চাচা ইত্যাদি নেই তাদের চাকরীও নেই প্রাইভেট ফার্ম গুলিতে।যদিও এখন নাকী প্রাইভেট ফার্ম গুলিতেও সরকারী চাকরীর মতো ঘুষের প্রচলন শুরু হয়ে গেছে।
আমরা যারা মুখস্ত বিদ্যায় শিক্ষিত হয়ে ভালো ভালো সার্টিফিকেট অর্জন করেছি বা করবো তারা কি চাকরী নামের সোনারা হরিণ ধরতে পারছি বা পারবো। অনেকেই বলবেন জানী হ্যা পেরেছি বা পারবো। তারা কারা যানেন? তারা হলেন সেই ব্যক্তিগণ যারা টাকার জোরে সরকারী আর বাবা মামা চাচার জোরে বেসরকারী চাকরী পেয়ে গিয়েছেন বা পাবেন। কিন্তু আমাদের মতো হত দরিদ্র অথবা বাবা চাচা মামা বিহীন অথবা ঘুষ দিয়ে চাকরী নিতে অনুচ্ছুকগণ কি চাকরী নামের সোনার হরিণ ধরতে পেরেছি বা পারবো। নিশ্চয়ই পারার কথা নয়। তখন আমরা হয়ে যাবো দেশের বোজা সমাজের বোজা পরিবারের বোজা। মূল্যহীন হয়ে যাবে আমাদের দীর্ঘ সময় আর পরিশ্রমের অর্জন শিক্ষা। মূল্যহীন হয়ে যাবে আমাদের সার্টিফিকেট। যা ইতি মধ্যে হয়ে গিয়েছেও বটে অনেকের জীবনে।
যেহেতু আমরা মুখস্ত বিদ্যায় শিক্ষিত সেহেতু আমাদের চিন্তা শক্তি ভাবনা শক্তি মৃত। তাই আমরা আর পারছিনা নিজের ইচ্ছেতে কিছু করতে। কারন চিন্তা শক্তি ভাবনা শক্তি বিহীন মানুষের ইচ্ছা শক্তিও থাকেনা।
আমরা যারা তরুন যুবক কিশোর বা শিশু আমাদের এখনো সময় আছে মুখস্ত বিদ্যা থেকে বেড়িয়ে আসার। এখনো সময় আছে আমাদের অশ্লীলতার সমতুল্য খারাপ মুখস্ত বিদ্যাকে ত্যাগ করার। এখনো সময় আছে আমাদের হাতে আমাদের চিন্তা শক্তি ভাবনা শক্তিকে বাচিয়ে রাখার। এখনো সময় আছে আমাদের শুধু চাকরী নির্ভর শিক্ষায় শিক্ষিত না হয়ে, মেধা ও বুদ্ধিমত্তাকে জাগ্রত করে নিজেদের ইচ্ছা শক্তিকে জন্ম দেওয়ার।
আসুন আমরা সবাই মুখস্ত বিদ্যা থেকে বের হয়ে এসে চিন্তা, ভাবনা, মেধা ও মুদ্ধুমত্তাকে কাজে লাগাই। চাকরী নির্ভর শিক্ষিত না হয়ে স্ব-শিক্ষিত হই চিন্তা, ভাবনা, মেধা ও মুদ্ধুমত্তার জোরে। যে শিক্ষা আমাদেরকে উদ্যেগতা বা উদ্ভাবক হতে শিখাবে। আমাদের অন্তরে সাহস জোগাবে। যেই উদ্যেগক বা উদ্ভাবনা আর সাহসিকতায় গড়ে তুলতে পারবো হাজার হাজার বেকারের কর্মক্ষেত্র। হ্রুদ করতে পারবো বেকারত্বের হার। দেশে সমাজ আর পরিবারের বোজা না হয়ে হবো দেশ সমাজ আর পরিবারের গর্বিত সন্তান। সবার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা।
Labels:
উপন্যাস,
কবিতা,
গল্প,
পাগলের প্রলাপ,
প্রেমিক মাতল,
সুরঞ্জনা
সোমবার, ১৮ মে, ২০২০
তবে কি করোনা নামক ভয়ানক অনুজীব এই অসভ্য সমাজনীতিকে সভ্য সমাজে পরিনত করতে ব্যর্থ? নাকী সমাজের প্রতি করোনার কোন দ্বায়বদ্ধতা নেই বলে করোনা সমাজের অসভ্য বিধিবিধানকে পাত্তাই দিচ্ছে না? তবে কি করোনা নয়, মানুষের গড়া অসভ্য সমাজনীতিকে মানুষই সভ্য সমাজে পরিনত বা পুনঃগঠন করে তুলতে হবে?
করোনা না হয় সমাজের প্রতি তার দ্বায়বদ্ধতা নেই বলে অসভ্য সমাজনীতির পরিবর্তনের দ্বায় এড়িয়ে গেল। সমাজ বিজ্ঞানীরা কিসের দোহাই দিয়ে এই দ্বায় এড়িয়ে যাবেন। অসভ্য সমাজনীতির সামাজীক জীব হিসেবে যেমন সমাজ বিজ্ঞানীদের দ্বায় আছে। দ্বায় তেমন একজন সমাজ বিজ্ঞানী হিসেবে তার উপর উক্ত দায় বর্তায়। নাকী সমাজ বিজ্ঞানীরাই এই অসভ্য সমাজনীতির সমাজের শিক্ষা নিয়ে বিজ্ঞানমনস্ক না হয়ে, সমাজিক কুসংস্কার কিংবা সামাজিক সংস্কৃতি নামের অপসংস্কৃতির শিক্ষায় নিজেরাই নিজেদের সমাজে পরিচিত?
দুঃখিত আমি লিখবোনা বলে পণ করেছি। অথচ মনের ভুলে প্রায় সময় লিখে ফেলে। আশা করি ক্ষমা করবেন আমার উক্ত লেখাটি লেখার জন্য। আবার দুঃখিত ইচ্ছে পুর্বক লেখাটি পুর্নাঙ্গ করিনি বলে। থাকনা লেখাটা অসমাপ্ত। পুর্নাঙ্গ বা সমাপ্ত করলে এই লেখা কিবা উপকার দেবে এই অসভ্য সমাজনীতির পরিবর্তনে। লিখবেন তো তারা যারা সমাজে বড়, রাষ্টে বড় মানুষের পরিচয় নিয়ে গর্ব করে নিজের অবস্থান শক্তপোক্ত করে ধরে রেখেছেন। আমার মতো একজন সুইপারের সন্তানের লিখনিতে অসভ্য সমাজনীতি বা অপসংস্কৃতির সমাজের কোন পরিবর্তন হবে। না আর লিখবোনা এই কানে ধরলাম।
নিজের বোনকে যখন তার স্বামী মেরে পিটিয়ে তাড়িয়ে ভাইয়ের বাড়ি পাটিয়ে দেয় তখন পিচাশের বাচ্চারা বোনের স্বামীকে জানোয়ারের বাচ্চা বলে গালি দেয়। কিন্তু পিশাসের বাচ্চারা যখন নিজের বউকে পিটায় তখন নিজের প্রকাশ্য জানোয়ার রুপটা দেখেনা। ভাবেনা তার বউ অন্য কারো বোন। ভাবেনা তার বোনের জানোয়ারের বাচ্চা স্বামী যে ভাবে তার বোনকে পিটিয়েছে ঠিক সেভাবে সেও কোন ভাইর বোনের জানোয়ারের বাচ্চা স্বামী হয়ে আপন বউকে পিটাচ্ছে। কেন ভাবেনা জানেন? কারন সে শুধু জানোয়ারের বাচ্চা নয়, একটা পিশাচ। সেই পিশাচের ঘরের সন্তানদের বাবা নামক পিশাচের প্রতি ভালবাসা তো দূরের কথা সামান্য সম্মানবোধ ও থাকেনা। এবং কি বাবা হিসেবে পরিচয় দিতেও লজ্জা পায়। বাবা বলে ডাকতে ঘৃনা করে। যদিও পিশাচের ঘরের সব সন্তানরা পিচাশ হয়না। পিশাচের মতোও হয়।
যাকাত না দেয়ার ফন্দি হিসেবে সম্পদের হিসেব না কষে করোনা কালে গরিব অসহায়দের মাঝে সল্প সংখ্যক খাদ্যদ্রব্য বিতরনে ব্যস্ত অধিকাংশ যাকাত দেওয়ার উপযুক্ত ধনীরা। অথচ তা যাকাত নয়, গরিবের মাঝে অনুদান দান/করুনা/ভালবাসা মাত্র। কিন্তু যাকাত কোন দান/অনুদান/করুনা/ভালবাসা নয়,যাকাত গরিবের হক। তাই গরিবের হক না দিয়ে বড়লোকের এখন দান/অনুদান/করুনা নামের ভালবাসা বিলাতে ব্যস্ত।
যদিও আমি দান/অনুদান/করুনা/ভালবাসা এবং যাকাত দেওয়ার উপযুক্ত নয়। তবে ঐসব পাওয়ার উপযুক্ত নয় যে তা অনুভব করতে পারি।
রবিবার, ১০ মে, ২০২০
একদিন আমিও মানুষ ছিলাম, ছিল মানুষের মতো জীবন স্বপ্নময়
একদিন আমিও প্রেমিক ছিলাম, ছিল প্রেমিকাকে হারাবার ভয়।
একদিন আমিও পথিক ছিলাম, স্বপ্নের মতো জীবন গড়ার পথে
একদিন আমিও বৃষ্টিকে ভালবেসে ছিলাম, কোন এক মেঘ কালো রাতে।
একদিন আমিও মায়ের লক্ষি ছেলে ছিলাম, টাকার নেষায় মেতে
একদিন আমিও সমাজের ছিলাম, সমাজের দ্বায়বদ্ধতা থেকে।
আজ আমি অন্য মানুষ, অন্য কোন পথের, অন্য কোন নদীর ঘাটে
অন্য ভাবেই কাটছে জীবন, জীবনের শেষ হিসেব নিকেশ কষে।
বেচে আছি মরবো বলে, মরার তরে, জীবনের শেষ মোহনায়
অমানুষের কবি'র মৃত্যুতে কে আছে কাদার ছলে করে হায়হায়।
ঐ পথশিশু তোদের চোখে কান্নার জল দেখে আমার পৌষাশিক আনন্দ জাগে
আমি যে অমানুষের কবি।
হে প্রিয়া তোমার চোখের জন আমার কাছে হেয়ালি লাগে
আমি যে অমানুষের কবি।
পথের শিশু দুইটা টাকা দেন যখন খুজে, আমার মাঝে তখনি পশুত্ব জাগে
আমি যে অমানুষের কবি।
কান দুইটা মলে দিয়ে কাজ করে খা বলে আমার হৃদয় মহামানবী সাজে
আমি যে অমানুষের কবি।
খাদ্য বস্ত শিক্ষা চিকিৎসার দাবীতে যখন গণমানুষ জাগে, আমার কাছে ওদেরকে বেকুবের দল লাগে
আমি যে অমানুষের কবি।
অধিকার চাই অধিকার চাই আর্থনাদ করা ওরা আমার মনে হয় যেন এই ফরলো ফাদে
আমি যে অমানুষের কবি।
মায়ের চিল্লান আর কতো কাল খাবি আমার ঘারের উপড় পরে, এ যেন মিষ্টি কাব্যের সুন্দর কথা মালা ঝরে
আমি যে অমানুষের কবি।
ভাবি দুইটা টাকা কামাই করে দিতে পারলে যেন মায়ের পরাণ যাবে ভরে
আমি যে অমানুষের কবি।
আমি অমানুষের কবি
মায়ের ডাকে ঘুম ভেঙ্গে দুপুর দুইটা বাজে শুনি।
আমি অমানুষের কবি
রাত জেগে ফুটপাথে ঘুমিয়ে থাকা অমানুষদের গুনি।
আমি অমানুষের কবি
মানুষের মাঝে অমানুষ খুঁজে তাদের নিয়ে নতুন কাব্য বুনি
আমি অমানুষের কবি
পশুর মাঝে মানুষের মহানগুণ মনুষ্যত্বই আমার কাব্য লেখার পুজি।
আমি অমানুষের কবি
অমানুষের নিয়ে লিখবোনা আর, পণ করেও লিখে ফেলে দুই কলম রোজই।
আমি অমানুষের কবি
গণমানুষের মানুষের কথা না ভেবে, অমানুষের কথা ভাবি।
আমি যে অমানুষের কবি......
শনিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২০
কতো দুপুর না খেয়ে কাটিয়েছি টাকার অভাবে।সেই অভাবের মাঝেই কতো দুপুরে খুদার্থ অসহায় কিংবা পথশিশুদেরকে নিজের দুপুরের খাবার খাওয়ার টাকা বিলিয়ে দিয়েছি হাসি মুখে শুধুমাত্র #মানুষ_হওয়ার_বিশাল_আকাংখায়। পেয়ে কতো শত স্বর্গীয় হাসি উপহার। যা অনায়াসে স্বর্গের স্বাদ মিঠায়।
হাহাহাহা আজ আমার টাকার অভাব নেই। খাবারের অভাব নেই।সব অভাব কেটে গেছে। অথচ আজ আমার অভাব পরেছে আমার মধ্যে থাকা সেদিনের আবেগ বিবেক ভালবাসার। না এখন আর আমার চোখ পথশিশুর দেখা পায়না। দেখেনা কোন খুদার্থ অসহায়ের।
না আমি মানুষ হতে পারিনি অল্প কিছু কাগজের নোটের নেষায়। টাকার নেষা আমার মানুষ হওয়ার নেষাটাকে মেরে ফেলেছে।মেরে ফেলেছে আমার আবেগ বিবেক ভালবাসাকে।
এক সময় আমি বলতাম যার মাঝে আবেগ নেই, বিবেক নেই, ভালবাসা নেই সে মানুষ হতে পারেনা। অথচ আজ আমি মানুষ নই। টাকার নেষা আমাকে অমানুষ করে দিয়েছে। পৃথিবীতে টাকার নেষার চেয়ে খারাপ নেষা কি আর থাকতে পারে।
Labels:
অপ্রিয় সত্য,
পাগলের প্রলাপ,
প্রেমিক মাতল,
সুরঞ্জনা
মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৯
আপনার সন্তানকে যে ভাবে যে আদর্শে গড়ে তুলতে চান ঠিক ভাবে সেই আদর্শে নিজের জীবন পরিচালনা করুন। কারণ প্রতিটি পিতামাতার প্রথম অনুসারী বা ফ্লোয়ার তাদের আপন সন্তানরা। আপনার আদর্শেই গড়ে উঠুক আপনার সন্তান। গড়ে তুলুন সুন্দর শান্তির ভুবন।
টাগ সমুহঃ পিতার আদর্শ,আদর্শ বাবার গুণের কথা জেনে নিন,আমার পরিবার,আদর্শ সন্তান গঠনে মাতা-পিতার করণীয়,মোঃ মোস্তফা জামান,জাতির পিতার আদর্শ ধারণ ও চর্চার আহ্বান,জাতির পিতার আদর্শ থেকে শিক্ষা নিতে হবে,জাতির পিতার আদর্শ থেকে শিক্ষা নিতে হবে,একজন আদর্শ পিতার ১১টি উপদেশ,'জাতির পিতার আদর্শ বাস্তবায়নে সবাইকে এক হতে হবে,আমার পিতা, আমার আদর্শ,সুন্তানের আদর্শ,আমার অন্তর পুইরা কালাগো,তোমার বিহনে,মুফতি গিয়াস উদ্দিন আত,পিতা মাতার হক্ব,প্রবল শক্তি নিয়ে জেগে উঠলো ঘুমন্ত বি এনপি!! আর কোন ভুল নয়,প্রেমিক মাতাল,নুর ইসলাম রফিক,নূর ইসলাম রফিক,nur islam rafiq,pramik matal,premik matal,noor islam rafiq,প্রেমিক মাতাল,নুর ইসলাম রফিক এর বাংলা ব্লগ
সোমবার, ২২ জুলাই, ২০১৯
ভাদ্র মাসে যে ভাবে সাড়াশি দিয়ে শহরের বেওয়ারিশ কুকুর গুলিকে গলা টিপে হত্যা করা হয় ঠিক সে ভাবে যদিও সমাজের বা পাড়ার কুত্তা গুলিকে সাড়াশি দিয়ে হত্যা করা হতো তবে শহরের বেওয়ারিশ কুকুরের মতো সমাজ বা পাড়ার কুত্তা গুলিও নিয়ন্ত্রনে থাকতো। অবশ্যই তার আগে পাড়া বা সমাজের কুত্তাগুলিকে মানুষ হিসেবে নাগরিত্ব দেওয়া পরিচয়পত্র বাতিল করে কুত্তা হিসেবে পরিচয়পত্র দিতে হবে। নতুবা আবার মানুষ রুপি কুকুরদের পক্ষে মানবাদিকার সংগঠন গুলি দাঁড়িয়ে যাবে মানুষ রুপি কুকুরগুলির মানবাদিকারের দোহাই দিয়ে।
বুধবার, ৩ জুলাই, ২০১৯
আপনার প্রেমিকাকে অন্য কেউ বিয়ে করলে আপনি কি সেটা মেনে নেবেন?
তবে কেন আপনি অন্যের প্রেমিকাকে বিয়ে করবেন?
তাই অবশ্যই বিয়ে করার আগে যাচাই করুন আপনার হবু বউ অন্যের প্রেমিকা কিনা?
বিয়ের আগে এইচআইবি এইডস যাচাই করা যতোটা জরুরী তার চেয়ে বেশী জরুরী কারো প্রেমিকাকে কি বিয়ে করছেন সেটা যাচাই করা।
এইচআইবি এইডস নিয়ন্ত্রণ করা যায় চিকিৎসায়। কিন্তু চ্যাকা খাওয়া খুদার্ত কুকুরের কামড়কে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
কেন আপনার হবু বউর জন্ম দেওয়া খুদার্ত কুকুরের কামড় আপনি খাবেন?
পুরাতন ছেড়া জুতা আর পুরাতন জামা কাপড় পরে চলাফেরা করি বলে ভাববেন না আমি ফকিন্নি কিংবা কিপ্টুস।
মনে রাখবেন আমি শিক্ষিত নই, সু-শিক্ষিত নই, জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে স্ব-শিক্ষা অর্জনে ব্যস্ত।
যে শিক্ষা অহংকার সৃষ্টি করেনা বরং ধংস করে, যে শিক্ষা পোশাক আশাকে নয় বরং আচরণে প্রকাশ পায়, যে শিক্ষা অসত পথে টাকা আয়ের নেষা নয় বরং সৎ পথে ব্যয়ের শিক্ষা দেয় আমি সেই শিক্ষাই নিচ্ছি আমার জীবন থেকে।
মনে রাখবেন মায়ের মুখে হাতিমতাই গালি খাবার মতো সু-ভাগ্যবান সন্তান তেমন একটা জন্মায়না। আমি সেই সু-ভাগ্য নিয়ে জন্মেছি।
মনে রাখবেন আমি শিক্ষিত নই, সু-শিক্ষিত নই, জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে স্ব-শিক্ষা অর্জনে ব্যস্ত।
যে শিক্ষা অহংকার সৃষ্টি করেনা বরং ধংস করে, যে শিক্ষা পোশাক আশাকে নয় বরং আচরণে প্রকাশ পায়, যে শিক্ষা অসত পথে টাকা আয়ের নেষা নয় বরং সৎ পথে ব্যয়ের শিক্ষা দেয় আমি সেই শিক্ষাই নিচ্ছি আমার জীবন থেকে।
মনে রাখবেন মায়ের মুখে হাতিমতাই গালি খাবার মতো সু-ভাগ্যবান সন্তান তেমন একটা জন্মায়না। আমি সেই সু-ভাগ্য নিয়ে জন্মেছি।
সোমবার, ১ জুলাই, ২০১৯
বাবার কষ্টের জমানো টাকা ছেলের ভবিষ্যতের জন্য নয়, মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার জন্যই হয় অধিকাংশ। আর ছেলে তো পুরুষ মানুষ। সে তার ভবিষ্যৎ নিজেই গড়ে নিতে পারবে।
তাই তো সমাজে বিবাহ উপযুক্ত ছেলের সংখ্যা নেহায়েত কম বিবাহ উপযুক্ত মেয়েদের তুলনায়।
ছেলেদের বিয়ের প্রধান যোগ্যতা চাকরি ব্যবসা বা আয়। যা মেয়েদের বেলা নিঃপ্রয়োজন।
তাইতো ছেলেদের বিয়ে করতে করতে অনেক বয়স হয়ে যায়। যেই বয়সে মেয়েরা সাধারণত অবিবাহিত থাকেনা। তাই ছেলেরা বিয়ে করতে হয় তাদের থেকে অনেক কম বয়সী মেয়েকে। যেহেতু সাধারণত যার যতো বেশি বয়স তার ততো আগে মৃত্যু ঘটে। এই ধারাবাহিকতায় স্বামীর মৃত্যু স্ত্রীর মৃত্যুর অনেক আগেই ঘটে থাকে। আর এর ফলে এ দেশে বিধবার হার এতো বেশি।
হয়তো অনেকেই ভাবেন গড় আয়ু পুরুষের তুলনায় নারীর বেশি। কিন্তু না এমন কোন রিপোর্ট এদেশে আজ পর্যন্ত হয়নি।
বিঃদ্রঃ- এটা সামান্য মাত্র বিশ্লেষণ। ফেইসবুক এ এর চেয়ে বেশি বিশ্লেষণের উপযুক্ত প্লাটফর্ম বলে আমি মনে করিনা।
>>>>>>>>>অপ্রিয় সত্য
রবিবার, ২২ জানুয়ারী, ২০১৭
২০১৭ সালে সরকারের বিনামুল্যে বিতরণকৃত ১ম শ্রেণির পাঠ্য বইতে ও-তে ওড়না চাই দেওয়া নিয়ে কেন এতো আলোচনা সমালোচনা? ওড়না তো কোন ধর্মীয় পোশাক নয়। ওড়না মেয়েদের শালীন পোশাক। নিশ্চয়ই শালীনতা শিক্ষা খারাপ কিছু নয়। যারা এই শালীন শিক্ষা নিয়ে এতো তর্ক বিতর্ক সৃষ্টি করছেন উনাদের বিকৃত চিন্তা ও মানষিকতা কি উনাদেরকে অন্তত একবার উনাদের বিবেকের কাঠগড়ায় দাড় করায়নি? নাকি উনাদের বিবেক এখানে অকার্যকর?