পাগলের প্রলাপ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
পাগলের প্রলাপ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২১

আমি কি বেচে আছি নাকি মরে গেছি, জানিনা

প্রেমিক মাতাল

একদিন একরাতের অন্ধকারে একএকা অচেনা এক পথে ধরে হাটতে হাটতে পথ পারিয়ে ঢুকে পরি এক গভীর অরণ্যে।  অরণ্য মানে গণজঙ্গল। না আমাদের সুন্দরবনের মতো সুন্দর জঙ্গল নয়, কিংবা সিলেট শ্রীমঙ্গল বা আমাদের পার্বত্য অঞ্চলের মতো মন জোরানো বনবাদার নয়। এ এক ভংকর বন জঙ্গল। বনে ছোট ছোট দুব্রা ঘাসগুলিকে দেখে মনে হয় মানুষ খেকো। আর ছোট ছোট গাছগুলিকে মনে হয় মানুষ খেকো দানব। এমন ক্ষনে, এমন জায়গায় আমি বুঝতে পারছিনা আমি বেচে আছি নাকি মরে গেছি। আমি বুঝতে পারছিনা এটা কি পৃথিবীর জঙ্গল, নাকি নরকের জঙ্গল? ভয়ে ভয়ে গায়ে চিমটি কাড়লাম। কিন্তু না ব্যথা পেলামনা। ব্যথা না পাওয়ায় আরো ভয় পেয়ে গেলাম। তবে কি আমি বেছে নেই। ভয়ে ভয়ে আবার চিমটি কাটলাম কিন্তু না এবারো ব্যথা পেলাম না...চলবে...

শুক্রবার, ৯ এপ্রিল, ২০২১

সুরঞ্জনা তোমার জন্য উড়োচিঠি - প্রেমিক মাতাল

সুরঞ্জনা তোমার জন্য উড়োচিঠি - প্রেমিক মাতাল


জানো সুরঞ্জনা সারাদেশে রটে গেছে প্রেমিক মাতাল সুরঞ্জনা প্রেম কাহিনী। অথচ কেউ জানেনা চিনেনা কে প্রেমিক মাতাল কে সুরঞ্জনা? সবার মধ্যে কতো আগ্রহ প্রেমিক মাতালকে দেখার জন্য। তাদের মধ্যে ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের হার বেশী। জানো সুরঞ্জনা এই দশ বছরে তোমার আমার প্রেমের গল্প জেনে কয়েক হাজার মেয়ে আমার প্রেমে পড়েছিল। অথচ কেউ মাকে কোনদিন দেখেনি। কেন দেখেনি জানো কারণ আমি ফেইসবুকে কোন ছবি শেয়ার করিনা এবং কাউকে ছবি দেইনা। আমার ইনবক্সে প্রতিদিন আপনার একটা ছবি দিন এই ম্যাসেজটা সব চেয়ে বেশি আসে। সবাই মনে করে প্রেমিক মাতাল একটি রহস্যের নাম। জানোই তো আমি রসহ্য করতে আগেও খুব ভালবাসতাম। যদিও তাতে তুমি প্রায় সময় রেগে গিয়ে আমাকে বকাজকা করতে। আসলে এখন আর সে রকম রহস্য করিনা। কারণ সেই তুমি তো আর এখন এই তুমি নও। 

জানো সুরঞ্জনা আজ তোমাকে হারানোর প্রায় ১১ বছরের কাছাকাছি। অথচ তোমার প্রেমিক মাতাল ঠিক ১১ বছরের আগের মতো আছে। এখন তোমার প্রেমের আরাধনা করে। তোমাকেই ভালবাসে।

সুরঞ্জনা আমি জানি তোমার ব্যস্ত জীবনে এখন আর আমাকে মনে পরেনা। মনে পরার কথা নয়। কারণ সাবেক প্রেমিককে মনা রাখার মতো বোকা তুমি নও। তারপর আবার তুমি অন্য কারো ঘরের ঘরণী। অন্য কারো সন্তানের জননী। তোমার আমাকে মনে পরা একেবারে উচিত নয়। আমিও চাইনা তুমি আর কোনদিন আমাকে মনে করো কষ্ট পাও। বলো কোন প্রেমিক কি তার প্রিয়তমা কষ্ট পাক এটা চায়?

জানো সুরঞ্জনা আমি না এখনো বিয়ে করিনি। কারণ জীবনে চলার পথে যদি কোনদিন তোমার সাথে দেখা হয়ে যায় তখন যদি তুমি প্রশ্ন করো প্রেমিক মাতাল তোমার বউ কেমন আছে। তখন যদি বলে দেই হ্যা অনেক ভাল আছে। তখন তুমি অনেক কষ্ট পাবে। তোমাকে তো আর আমি কষ্ট দিতে পারিনা। বলো ভালবাসার মানুষটাকে কি কষ্ট দেওয়া যায়? তাই আর বিয়ে করা হয়ে উঠেনা আমার? যদিও আমি তো আর তোমার মতো স্বার্থপর নই যে, তোমার সাথে সংসার গড়ার স্বপ্ন নিয়ে অন্য কোন মেয়েকে ঘরের বউ করে নিয়ে আসবো।

জানো সুরঞ্জনা মা বোন আত্মীয় স্বজন পাড়া প্রতিবেশিরা আমার বিয়ে নিয়ে মাথা ব্যথা উঠেছে। সবাই আমাকে বিয়ে নিয়ে চাপ দিচ্ছে। কিন্তু আমি এক চিমটিও পাত্তা দিচ্ছিনা। কারণ আমি মাকে বলে দিয়েছি আমি বিয়ে করবোনা। জানি মা জানে কেন আমি বিয়ে করবোনা। কারণ মায়ের তো
 আর অজানা নয়, তোমার আমার প্রেম কাহিনী।

বিয়ের চাপ মুক্ত থাকার জন্য আমি একটা বুদ্ধি খাটিয়েছি। কি বুদ্ধি সেটা জানলে তুমি হাসবে। কারণ তুমি কোন বিপদে পড়লে আমার থেকে বুদ্ধি নিতে। সেই বুদ্ধি ১০০ ভাগ কার্যকর হতো। তাই তুমি আমার বুদ্ধির প্রশংসা করতে। কিন্তু আমার এই বুদ্ধির কথা শুনতে তুমি আমাকে এখন আর বুদ্ধিমান নয় বোকা ভাববে। তাই বলতে লজ্জা হচ্ছে। তবুও বলে দেই। কারণ তোমাকে তো আমার কোন কিছু লুকিয়ে রাখিনা। বলতে গিয়ে আমার হাসি পাচ্ছে। আমি বিয়ের চাপ মুক্ত থাকার জন্য বেকার থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কি হাসছো?

না হেসে শুনো এই বুদ্ধি কিন্তু ১০০ ভাগ কার্যকর। কারণ মা তো আর বেকার ছেলেকে বিয়ে করাবেনা। আর বেকার ছেলেকে তো কেউ আর বউ দেবে। বিশ্বাস করো এই বুদ্ধি কাজে দিচ্ছে অনেক বছর যাবত। তবে মাঝে মাঝে জামেলা হয়। জানো আমি সরকারি চাকরিজীবী মায়ের একমাত্র ছেলে। তাই অনেক লোভী মেয়ের মায়েরা বেকার আমার কাছে মেয়ে বিয়ে দিতে লোক পাঠায়। খুব খিদা লাগছে এই বিশয়ে অন্য দিন না হয় বলবো। এখন একটু খেয়ে নেই কেমন।

জানী এই উড়োচিটি তোমার নজরে পড়বেনা কিন্তু হাজার হাজার পাঠক এই চিটি পড়ে কাদবে। আবার কেউ তোমাকে বকবে। আবার কেউ কেউ আমাকে বোকা ভেবে বকবে কিংবা উপদেশ দেবে।

যাই হোক সুরঞ্জনা ভাল থেকে। এবং পরের উড়োচিটির অপেক্ষায় থেকে। ভাল থেকে সুখে থেকে তুমি তোমার ভূবনে তোমার মতো করে-- ইতি তোমার প্রেমের কাঙ্গাল প্রেমিক মাতাল

রবিবার, ১৪ জুন, ২০২০

রাজধানী ঢাকার ইতিহাস, ঐতিহ্য সংস্কৃতি

রাজধানী ঢাকার ইতিহাস, ঐতিহ্য সংস্কৃতি
রাজধানী ঢাকার ইতিহাস, ঐতিহ্য সংস্কৃতি
ঢাকা জেলারঐতিহ্য
 ঢাকার নামকরণের সঠিক ইতিহাস নিয়ে ব্যাপক মতভেদ রয়েছে। কথিত আছে যে, সেন বংশের রাজা বল্লাল সেন বুড়িগঙ্গা নদীর তীরবর্তী এলাকায় ভ্রমণকালে সন্নিহিত জঙ্গলে হিন্দু দেবী দুর্গার একটি বিগ্রহ খুঁজে পান। দেবী দুর্গার প্রতি শ্রদ্ধাস্বরূপ রাজা বল্লাল সেন ঐ এলাকায় একটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। যেহেতু দেবীর বিগ্রহ ঢাকা বা গুপ্ত অবস্থায় খুঁজে পাওয়া গিয়েছিলো, তাই রাজা, মন্দিরের নাম রাখেন ঢাকেশ্বরী মন্দির। মন্দিরের নাম থেকেই কালক্রমে স্থানটির নাম ঢাকা হিসেবে গড়ে ওঠে।      

আবার অনেক ঐতিহাসিকের মতে, মোঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর যখন ঢাকাকে সুবা বাংলার রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করেন; তখন সুবাদার ইসলাম খান আনন্দের বহিঃপ্রকাশস্বরূপ শহরে 'ঢাক' বাজানোর নির্দেশ দেন। এই ঢাক বাজানোর কাহিনী লোকমুখে কিংবদন্তির রূপ নেয় এবং তা থেকেই শহরের নাম ঢাকা হয়ে যায়। এখানে উল্লেখ্য যে, মোঘল সাম্রাজ্যের বেশ কিছু সময় ঢাকা সম্রাট জাহাঙ্গীরের প্রতি সম্মান জানিয়ে জাহাঙ্গীরনগর নামে পরিচিত ছিলো।     

ঢাকা নগরীকে বর্তমানে বর্তমানে দুইভাগে বিভক্ত করা হয়েছে - ঢাকা দক্ষিণ ও ঢাকা উত্তর। ঢাকা দক্ষিণই মূলতঃ মূল নগরী। ঢাকা উত্তর ঢাকার নবীন বর্ধিত উপশহরগুলো নিয়ে গঠিত।      

ধারণা করা হয় কালের পরিক্রমায় ঢাকা প্রথমে সমতট, পরে বঙ্গ ও গৌড় প্রভৃতি রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিলো। খ্রিস্টীয় ১৩শ শতাব্দীর শেষের দিকে মুসলমানেরা ঢাকা অধিকার করে। মোঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের ফরমান অনুযায়ী ১৬ জুলাই ১৬১০ খ্রিস্টাব্দে ঢাকাকে সুবা বাংলার রাজধানী ঘোষণা করা হয়। সম্রাট জাহাঙ্গীর-এর নাম অনুসারে রাজধানীর নাম জাহাঙ্গীরনগর রাখা হয়। সম্রাট জাহাঙ্গীরের জীবিতকাল পর্যন্ত এ নাম বজায় ছিলো।     এর আগে সম্রাট আকবরের আমলে বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার প্রাদেশিক রাজধানী ছিলো বিহারের রাজমহল। সুবা বাংলায় তখন চলছিলো মোঘলবিরোধী স্বাধীন বারো ভূইঁয়াদের রাজত্ব। বারো ভূইয়ার নিয়ন্ত্রণ থেকে বাংলাকে করতলগত করতে ১৫৭৬ থেকে ১৬০৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বারবার চেষ্টা চালানো হয়। এরপর সম্রাট জাহাঙ্গীরের শাসনামলে ১৬০৮ খ্রিস্টাব্দে ইসলাম খান চিশতীকে রাজমহলের সুবেদার নিযুক্ত করেন। তিনি ১৬১০ খ্রিস্টাব্দে বাংলার ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনা করে রাজধানী রাজমহল থেকে সরিয়ে ঢাকায় স্থানান্তর করেন।    

সুবেদার ইসলাম খান চিশতী দায়িত্ব নেবার মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যে বারো ভূইয়ার পতন ঘটে ও বর্তমান চট্টগ্রামের কিছু অংশ বাদে পুরো সুবে বাংলা মোগল সাম্রাজ্যের অধীনে আসে।    

১৬১০ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা সুবা বাংলার রাজধানী হলেও সুবা বাংলার রাজধানী বারবার পরিবর্তন করা হয়েছে। ১৬৫০ খ্রিস্টাব্দে সুবেদার শাহ সুজা রাজধানী আবার রাজমহলে স্থানান্তর করেছিলেন। শাহ সুজা'র পতনের পর ১৬৬০ খ্রিস্টাব্দে সুবেদার মীর জুমলা আবার রাজধানী ঢাকায় স্থানান্তর করেন। এরপর বেশ কিছুকাল ঢাকা নির্বিঘ্নে রাজধানীর মর্যাদা ভোগ করার পর ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে সুবেদার মুর্শিদ কুলি খান রাজধানী মুর্শিদাবাদে স্থানান্তর করেন। এরপর ঢাকায় মোঘল শাসনামলে চলতো নায়েবে নাজিমদের শাসন। ব্রিটিশ শাসনের আগে পর্যন্ত এভাবেই চলছিলো। ব্রিটিশরা রাজধানী হিসেবে কলকাতাকে নির্বাচিত করলে ঢাকার গুরুত্ব আবারো কমতে থাকে। এরপর দীর্ঘকাল পর ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা আবার তার গুরুত্ব ফিরে পায়। বঙ্গভঙ্গের পর ১৯০৫ সালে ঢাকাকে আসামও বাংলার রাজধানী করা হয়। কংগ্রেসের বাধার মুখে ব্রিটিশ রাজ আবার ১৯১১ সালে রাজধানী কলকাতায় ফিরিয়ে নিয়ে যায়।

সূত্রঃ ঢাকা জেলা তথ্য বাতায়ন

পথের মাঝে হারিয়ে গেছে আমার ভালবাসা

পথের মাঝে  হারিয়ে গেছে  আমার ভালবাসা

আমি পথের মানুষ পথেই থাকি, পথেই ঘর বাড়ি
পথের মাঝে ফুটে আবার, পথের মাঝেই ঝরি।
পথের মাঝে স্বপ্ন আমার, পথেই মাঝেই আশা
পথের মাঝে হারিয়ে গেছে, আমার ভালবাসা।

আমি পথের মাঝে সুখ খুজে পাই, শত দুঃখ ভুলে
পথের মাঝে পথ ভুলে যাই, নতুন পথ খুজার ছলে।
পথের মাঝে সুখে হাসি আমি, পথের দুঃখে কাদি
পথের মাঝে আমার হারিয়ে যাওয়া, ভালবাসা খুজি।

আমি পথের মাঝে পিতা খুজি, পথের মাঝেই মাতা
পথের মাঝে বুনি আমি আমার, নতুন কাব্যকথা
পথের মাঝে আমি দূরে সরে যাই, পথেই ফিরে আসা
পথের মাঝে খুজে পাবো আমি, আমার ভালবাসা।

আমি পথের সাথে সখ্যতা গড়ে, জীবনের গ্লানি টানি
পথের মাঝে  আমাতে আমি, পথেই আমায় চিনি।
পথের মাঝে যুগ ধরে বাচি আমি, পথেই যাবো মরে
পথের মাঝে ভালবাসার আশায়, আছি বারোটি বছর ধরে।

মঙ্গলবার, ২ জুন, ২০২০

অশ্লীলতার সমতুল্য খারাপ কাজ মুখস্ত বিদ্যা

অশ্লীলতার সমতুল্য খারাপ কাজ মুখস্ত বিদ্যা

মুখুস্ত বিদ্যা আমাদের চিন্তা শক্তিকে অকেজ করে দেয়। মুখস্ত বিদ্যা আমাদের ভাবতে শেখাকে ভুলিয়ে দেয়। মুখস্ত বিদ্যা এতোটাই ভয়ানক যে এক সময় আমাদের চিন্তা শক্তি ও ভাবনা শক্তিকে গলা চেপে মেরে ফেলে। আমরা হয়ে যাই তখন গতানুগতিক গতির যান। ঠিক এরকম ঢাকা টু সিলেট / সিলেট টু ঢাকা অথবা ঢাকা টু চট্টগ্রাম / চট্টগ্রাম টু ঢাকা।

এবার বুঝোন মুখস্ত বিদ্যা কতোটা খারাপ।আমাদের একজন শিক্ষক, জনপ্রিয় লেখক, শিক্ষাবিদ মুখস্ত বিদ্যাকে অশ্লীলতার সাথে তুলনা করেছিলেন। কেন করছিলেন নিশ্চয়ই আমাদের বুঝতে সমস্যা হবার কথা নয়।উনি বুঝাতে চেয়েছেন অশ্লীলতা যতোটা খারাপ মুখস্ত বিদ্যা ঠিক ততোটাই খারাপ।

মুখস্ত বিদ্যা দিয়ে নিশ্চয়ই ভালো সার্টিফিকেট অর্জন করা যায় কিন্তু মেধাবী বা বুদ্ধিমান হওয়া যায়না। মুখস্ত বিদ্যা আমাদের অজান্তেই খুব গুপনে আমাদের মেধা ও বুদ্ধিমত্তাকে ধংষ করে দেয়। হয়তো এক সময় আমরা এই মুখস্ত বিদ্যায় অনেক ভালো ভালো সার্টিফিকেটদারী হই। যেই সার্টিফিকেট আমাদেরকে একটা ভাল চাকরী দিতে পারে। কিন্তু সেই সার্টিফিকেট আমাদেরকে উদ্যেগতা বা উদ্ভাবক হিসেবে গড়ে তুলতে পারেনা। কারণ আমাদের মুখস্ত বিদ্যা অতিতেই আমাদের চিন্তা শক্তি ভাবনা শক্তিকে গলা চেপে মেরে ফেলেছে। চিন্তা শক্তি ভাবনা শক্তি ছাড়া কোন দিন উদ্যেগতা বা উদ্ভাবক হওয়া সম্ভব নয়।

আমরা মুখস্ত বিদ্যায় ভালো সার্টিফিকেট অর্জন করে হয়ে পড়ি চাকরী নির্ভর। আমাদের দেশে কর্মসংস্থানের বড়ই অভাব। তাই চাকরী আমাদের দেশে সোনার হরিণ নামেই পরিচিত। সোনার হরিণ পাওয়া তো আর এতো সোজা নয়। সরকারী চাকরী নামের সোনার হরিণ ধরতে আমাদেরকে গুনতে হয় লক্ষ লক্ষ টাকা। কেন গুনতে হয় তা নিশ্চয়ই আমাদের কারো অজানা নয়। কারন ঘুষবিহীন সরকারী চাকরী পাওয়ার নজীর আমাদের দেশে নেই বললেই চলে।

আর প্রাইভেট ফার্মের চাকুরী নামের সোনার হরিণ ধরতে লাগে বাবা মামা চাচা ইত্যাদি।যাদের বাবা মামা চাচা ইত্যাদি নেই তাদের চাকরীও নেই প্রাইভেট ফার্ম গুলিতে।যদিও এখন নাকী প্রাইভেট ফার্ম গুলিতেও সরকারী চাকরীর মতো ঘুষের প্রচলন শুরু হয়ে গেছে।

আমরা যারা মুখস্ত বিদ্যায় শিক্ষিত হয়ে ভালো ভালো সার্টিফিকেট অর্জন করেছি বা করবো তারা কি চাকরী নামের সোনারা হরিণ ধরতে পারছি বা পারবো। অনেকেই বলবেন জানী হ্যা পেরেছি বা পারবো। তারা কারা যানেন? তারা হলেন সেই ব্যক্তিগণ যারা টাকার জোরে সরকারী আর বাবা মামা চাচার জোরে বেসরকারী চাকরী পেয়ে গিয়েছেন বা পাবেন। কিন্তু আমাদের মতো হত দরিদ্র অথবা বাবা চাচা মামা বিহীন অথবা ঘুষ দিয়ে চাকরী নিতে অনুচ্ছুকগণ কি চাকরী নামের সোনার হরিণ ধরতে পেরেছি বা পারবো। নিশ্চয়ই পারার কথা নয়। তখন আমরা হয়ে যাবো দেশের বোজা সমাজের বোজা পরিবারের বোজা। মূল্যহীন হয়ে যাবে আমাদের দীর্ঘ সময় আর পরিশ্রমের অর্জন শিক্ষা। মূল্যহীন হয়ে যাবে আমাদের সার্টিফিকেট। যা ইতি মধ্যে হয়ে গিয়েছেও বটে অনেকের জীবনে।

যেহেতু আমরা মুখস্ত বিদ্যায় শিক্ষিত সেহেতু আমাদের চিন্তা শক্তি ভাবনা শক্তি মৃত। তাই আমরা আর পারছিনা নিজের ইচ্ছেতে কিছু করতে। কারন চিন্তা শক্তি ভাবনা শক্তি বিহীন মানুষের ইচ্ছা শক্তিও থাকেনা।

আমরা যারা তরুন যুবক কিশোর বা শিশু আমাদের এখনো সময় আছে মুখস্ত বিদ্যা থেকে বেড়িয়ে আসার। এখনো সময় আছে আমাদের অশ্লীলতার সমতুল্য খারাপ মুখস্ত বিদ্যাকে ত্যাগ করার। এখনো সময় আছে আমাদের হাতে আমাদের চিন্তা শক্তি ভাবনা শক্তিকে বাচিয়ে রাখার। এখনো সময় আছে আমাদের শুধু চাকরী নির্ভর শিক্ষায় শিক্ষিত না হয়ে, মেধা ও বুদ্ধিমত্তাকে জাগ্রত করে নিজেদের ইচ্ছা শক্তিকে জন্ম দেওয়ার।

আসুন আমরা সবাই মুখস্ত বিদ্যা থেকে বের হয়ে এসে চিন্তা, ভাবনা, মেধা ও মুদ্ধুমত্তাকে কাজে লাগাই। চাকরী নির্ভর শিক্ষিত না হয়ে স্ব-শিক্ষিত হই চিন্তা, ভাবনা, মেধা ও মুদ্ধুমত্তার জোরে। যে শিক্ষা আমাদেরকে উদ্যেগতা বা উদ্ভাবক হতে শিখাবে। আমাদের অন্তরে সাহস জোগাবে। যেই উদ্যেগক বা উদ্ভাবনা আর সাহসিকতায় গড়ে তুলতে পারবো হাজার হাজার বেকারের কর্মক্ষেত্র। হ্রুদ করতে পারবো বেকারত্বের হার। দেশে সমাজ আর পরিবারের বোজা না হয়ে হবো দেশ সমাজ আর পরিবারের গর্বিত সন্তান। সবার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা।