একদিন একরাতের অন্ধকারে একএকা অচেনা এক পথে ধরে হাটতে হাটতে পথ পারিয়ে ঢুকে পরি এক গভীর অরণ্যে। অরণ্য মানে গণজঙ্গল। না আমাদের সুন্দরবনের মতো সুন্দর জঙ্গল নয়, কিংবা সিলেট শ্রীমঙ্গল বা আমাদের পার্বত্য অঞ্চলের মতো মন জোরানো বনবাদার নয়। এ এক ভংকর বন জঙ্গল। বনে ছোট ছোট দুব্রা ঘাসগুলিকে দেখে মনে হয় মানুষ খেকো। আর ছোট ছোট গাছগুলিকে মনে হয় মানুষ খেকো দানব। এমন ক্ষনে, এমন জায়গায় আমি বুঝতে পারছিনা আমি বেচে আছি নাকি মরে গেছি। আমি বুঝতে পারছিনা এটা কি পৃথিবীর জঙ্গল, নাকি নরকের জঙ্গল? ভয়ে ভয়ে গায়ে চিমটি কাড়লাম। কিন্তু না ব্যথা পেলামনা। ব্যথা না পাওয়ায় আরো ভয় পেয়ে গেলাম। তবে কি আমি বেছে নেই। ভয়ে ভয়ে আবার চিমটি কাটলাম কিন্তু না এবারো ব্যথা পেলাম না...চলবে...
কবিতা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
কবিতা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২১
শুক্রবার, ৯ এপ্রিল, ২০২১
জানো সুরঞ্জনা আজ তোমাকে হারানোর প্রায় ১১ বছরের কাছাকাছি। অথচ তোমার প্রেমিক মাতাল ঠিক ১১ বছরের আগের মতো আছে। এখন তোমার প্রেমের আরাধনা করে। তোমাকেই ভালবাসে।
সুরঞ্জনা আমি জানি তোমার ব্যস্ত জীবনে এখন আর আমাকে মনে পরেনা। মনে পরার কথা নয়। কারণ সাবেক প্রেমিককে মনা রাখার মতো বোকা তুমি নও। তারপর আবার তুমি অন্য কারো ঘরের ঘরণী। অন্য কারো সন্তানের জননী। তোমার আমাকে মনে পরা একেবারে উচিত নয়। আমিও চাইনা তুমি আর কোনদিন আমাকে মনে করো কষ্ট পাও। বলো কোন প্রেমিক কি তার প্রিয়তমা কষ্ট পাক এটা চায়?
জানো সুরঞ্জনা আমি না এখনো বিয়ে করিনি। কারণ জীবনে চলার পথে যদি কোনদিন তোমার সাথে দেখা হয়ে যায় তখন যদি তুমি প্রশ্ন করো প্রেমিক মাতাল তোমার বউ কেমন আছে। তখন যদি বলে দেই হ্যা অনেক ভাল আছে। তখন তুমি অনেক কষ্ট পাবে। তোমাকে তো আর আমি কষ্ট দিতে পারিনা। বলো ভালবাসার মানুষটাকে কি কষ্ট দেওয়া যায়? তাই আর বিয়ে করা হয়ে উঠেনা আমার? যদিও আমি তো আর তোমার মতো স্বার্থপর নই যে, তোমার সাথে সংসার গড়ার স্বপ্ন নিয়ে অন্য কোন মেয়েকে ঘরের বউ করে নিয়ে আসবো।
জানো সুরঞ্জনা মা বোন আত্মীয় স্বজন পাড়া প্রতিবেশিরা আমার বিয়ে নিয়ে মাথা ব্যথা উঠেছে। সবাই আমাকে বিয়ে নিয়ে চাপ দিচ্ছে। কিন্তু আমি এক চিমটিও পাত্তা দিচ্ছিনা। কারণ আমি মাকে বলে দিয়েছি আমি বিয়ে করবোনা। জানি মা জানে কেন আমি বিয়ে করবোনা। কারণ মায়ের তো
আর অজানা নয়, তোমার আমার প্রেম কাহিনী।
বিয়ের চাপ মুক্ত থাকার জন্য আমি একটা বুদ্ধি খাটিয়েছি। কি বুদ্ধি সেটা জানলে তুমি হাসবে। কারণ তুমি কোন বিপদে পড়লে আমার থেকে বুদ্ধি নিতে। সেই বুদ্ধি ১০০ ভাগ কার্যকর হতো। তাই তুমি আমার বুদ্ধির প্রশংসা করতে। কিন্তু আমার এই বুদ্ধির কথা শুনতে তুমি আমাকে এখন আর বুদ্ধিমান নয় বোকা ভাববে। তাই বলতে লজ্জা হচ্ছে। তবুও বলে দেই। কারণ তোমাকে তো আমার কোন কিছু লুকিয়ে রাখিনা। বলতে গিয়ে আমার হাসি পাচ্ছে। আমি বিয়ের চাপ মুক্ত থাকার জন্য বেকার থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কি হাসছো?
না হেসে শুনো এই বুদ্ধি কিন্তু ১০০ ভাগ কার্যকর। কারণ মা তো আর বেকার ছেলেকে বিয়ে করাবেনা। আর বেকার ছেলেকে তো কেউ আর বউ দেবে। বিশ্বাস করো এই বুদ্ধি কাজে দিচ্ছে অনেক বছর যাবত। তবে মাঝে মাঝে জামেলা হয়। জানো আমি সরকারি চাকরিজীবী মায়ের একমাত্র ছেলে। তাই অনেক লোভী মেয়ের মায়েরা বেকার আমার কাছে মেয়ে বিয়ে দিতে লোক পাঠায়। খুব খিদা লাগছে এই বিশয়ে অন্য দিন না হয় বলবো। এখন একটু খেয়ে নেই কেমন।
জানী এই উড়োচিটি তোমার নজরে পড়বেনা কিন্তু হাজার হাজার পাঠক এই চিটি পড়ে কাদবে। আবার কেউ তোমাকে বকবে। আবার কেউ কেউ আমাকে বোকা ভেবে বকবে কিংবা উপদেশ দেবে।
যাই হোক সুরঞ্জনা ভাল থেকে। এবং পরের উড়োচিটির অপেক্ষায় থেকে। ভাল থেকে সুখে থেকে তুমি তোমার ভূবনে তোমার মতো করে-- ইতি তোমার প্রেমের কাঙ্গাল প্রেমিক মাতাল
Labels:
উড়ো চিঠি,
উপন্যাস,
কবিতা,
গল্প,
পাগলের প্রলাপ,
প্রেমিক মাতল,
সুরঞ্জনা
সোমবার, ২২ জুন, ২০২০
গীতিকাব্যঃ আমি মরি মরি
আমি মরি মরি মরি সখি গো মরি, তরি প্রেমও জ্বালাতনে
আমি বাচি বাচি বাচি সখি গো, বাচি তরি প্রেমও ছায়াতনে
বাচি মরি, মরি বাচি, সখি গো বলো কি এখন করি
সখি বুঝিনা আছি কি বাচি নাকি গেছি অকালে মরি?
তরি প্রেমের ডরে সখি গো, সখি নরকে যাইতে না ডরাই
তরি প্রেমের সুখে সখি গো, সখি স্বর্গ যাওয়ার ইচ্ছা আমার নাই।
প্রেমে বাচি, প্রেমে মরি, সখি গো প্রেমে ডুব সাতার করি
সখি বুঝিনা আছি কি বাচি নাকি গেছি অকালে মরি?
প্রেম মায়া বড় মায়া সখি গো, সখি ছাড়তে নাহি পারি
প্রেম জ্বালা বড় জ্বালা সখি গো, সখি সইতে নাহি পারি।
প্রেমিক মাতাল, প্রেমে মাতাল সখি গো কারে খুইলা বলি
সখি বুঝিনা আছি কি বাচি নাকি গেছি অকালে মরি?
আমি মরি মরি মরি সখি গো মরি, তরি প্রেমও জ্বালাতনে
আমি বাচি বাচি বাচি সখি গো, বাচি তরি প্রেমও ছায়াতনে
বাচি মরি, মরি বাচি, সখি গো বলো কি এখন করি
সখি বুঝিনা আছি কি বাচি নাকি গেছি অকালে মরি?
তরি প্রেমের ডরে সখি গো, সখি নরকে যাইতে না ডরাই
তরি প্রেমের সুখে সখি গো, সখি স্বর্গ যাওয়ার ইচ্ছা আমার নাই।
প্রেমে বাচি, প্রেমে মরি, সখি গো প্রেমে ডুব সাতার করি
সখি বুঝিনা আছি কি বাচি নাকি গেছি অকালে মরি?
প্রেম মায়া বড় মায়া সখি গো, সখি ছাড়তে নাহি পারি
প্রেম জ্বালা বড় জ্বালা সখি গো, সখি সইতে নাহি পারি।
প্রেমিক মাতাল, প্রেমে মাতাল সখি গো কারে খুইলা বলি
সখি বুঝিনা আছি কি বাচি নাকি গেছি অকালে মরি?
সোমবার, ১৫ জুন, ২০২০
কে রাখিয়াছে খোকা তোমার নাম রফিকুল ইসলাম?তুমি তো জানোনা খোকা কে তোমার মা? কি তোমার বাবার নাম?
তুমি তো বলিলে জাননা তোমার কোথায় জন্ম?কোথায় বাড়ি ঘর? চিননা তুমি কে তোমার আপন? কে তোমার পর?
জাননা তুমি তোমার পিতা মাতা হিন্ধু মুসলিম নাকি খ্রিষ্টান? বল খোকা বল তুমি কোথায় পেলে এতো সুন্দর মুসলমানের নাম?
শুন সেবার আমি গিয়েছিলাম কলকাতা শহরে কি জানি কি কাজে? তোমার মতো মাতাপিতার পরিচয় না জানা ছেলে দেখতে পেলাম স্টেশনের মাঝে। জিগ্যেসিলাম কে তোমার পিতামাতা? কি তোমার নাম? কোথায় বাড়ি ঘর?
ফিঙলে হাসিতে বলিল খোকা, বাবু না জানি বাবা মা, না জানি বাড়ি ঘর। স্টেশনেই থাকি বাবু স্টেশনেই আপন পর। নাম খানা আমার বড় সোহাগের রাখিয়াছি নিজে। আমার নাম আমার সাথে বাবু বিষণ সাজে।
বলিলাম উল্লাসে বলো খোকা বল কি তোমার নাম?আমার যে আর তর সইছেনা জানিতে তোমার নাম।
খুকা হাসিয়া বলিল চাইছিলাম রাখিতে নায়কের নাম শাহরুক খান। ভাবিয়া দেখিলাম হিন্দুর দেশে মুসলমানের নাম বড্ড বেমানান।
কি করি ভেবে ভেবে মরি কি রাখি নিজের নাম? হিন্দু দেশে জন্ম আমার রাখিতে হবে হিন্দুজাতীয় নাম।
লোকে বলে আমি অমৃত মিষ্টি কথা বলি। চেহারাটাও টকটকে মিষ্টি লাল। ভাবিয়া দেখি অমৃত লাল সুন্দর একটি নাম। এই নাম রাখিয়া হাহাহা বাবু পরিলাম মহাবিপদে। স্টেশন মাস্টারের নাম যে অমৃত লাল কে জানিত আগে?
জিগ্যেশিলাম খুকা তুমি জানিলে কি করে তুমি হিন্দু না মুসলমান? বলিল খুকা হেসে বাবুজি যে কি বলেন হিন্দুদের দেশে? আমি কি করে হই কন মুসলমান?
জানেন বাবু কিভাবে জানি, জানিল স্টেশন মাস্টার আমার নাম অমৃত লাল। ডাকিয়া আমার কান মলিয়া কহিল নামখানা আমার চুরি করেছিস তুই, কত্ত বড় সাহস তোর? আমার লাটির আগাতে এইবার তুই মর একেবারেই মর।
মাস্টার মশাইরে ধাক্কা দিয়া ছুটিয়া দিলাম দৌড় তেরে। আসিলাম চিরতরে সেই স্টেশন আজীবনের মতো ছেড়ে। চেনা ঠিকানা বদলে ফেলিলাম বাবু নাম খানার দায়ে। এই ইস্টেশনে আছি বাবু চৌদ্দ বছর ধরে, সখের নাম আমৃত লাল লয়ে।
কি খুকা তোমার নাম কি সেই কলকাতার ছেলেটির মতো নিজেই নিজে রাখা? মুসলমানের দেশে জন্ম বলেই মুসলমানের নামই রাখা?
কাপিয়া উঠিল স্টেশন, বাজিয়া উঠিল হরণ, আসিয়া পরিল রেলগাড়ি, দৌড় দিল রফিকুল ইসলাম।হয়তো করবে কুলি গিরি, কয়টা টাকা কামাই করি, অন্ন কিনিবে খুদা মিঠাতে এটাই তার রোজকার কাম।
আমার আর কি করা, ট্রেনটা ছাড়িছাড়ি, উঠিয়া পড়িয়া সিলেট থেকে ঢাকার পথে চড়িলাম। জানিয়ে পারিলাম না কে রেখে তার মুসলমানের নাম রফিকুল ইসলাম।
আমি বিশ্বাস করিনি এ পৃথিবী আমার নয়,
অথচ সেদিনও পৃথিবী আমার দাবী করেছি।
আজ যখন পৃথিবী তার মালিকানা ফিরিয়ে নিচ্চে
সাথে নিয়ে যাচ্ছে মানুষরুপি আমাকেও।
আজ জানলাম পৃথিবী আমার নয়, আমি পৃথিবীর
আজ জানলাম পৃথিবীর মালিক মানুষজাতি নয়,
মানবজাতির মালিক বরঞ্চ বহুকাল পৃথিবী।
আজ দেখলাম পৃথিবী তাকে মানুষের থেকে মুক্ত করে
নিজেকে সাজাচ্ছে যেমনটা ছিল, মানব দখলের আগে।
কিছু মানুষ তাতে ধংস হচ্ছে ক্ষতি কি তাতে পৃথিবীর?
সে তো ফুল পাখি দিয়ে সাজাবে তার প্রকৃতি, মানুষের কি দরকার?
কিছু মানুষ ঠিকিয়ে রাখবে পৃথিবী মানুষকে শিক্ষা দেবার
নতুনা মানুষ বুঝবে কি করে কি ক্ষতি করেছে নিজেরার।