সেবার ছিল ২০০৯ সাল।
ঠিক এই দিন রাতেই আমি আমার পাশের বাসার বন্ধু সুলভ বড় ভাইর সাথে ঘুমাতে যাই।
বড় ভাইটা জানতো আমি কাল সকালে ঢাকা যাব তাই দুই হাজার টাকা
আমার হাতে দিয়ে বললো এগুলি আমার কাছে থাকলে খরচ করে ফেলবো।
বরং তোর কাছে রেখেদে।
লাগলে খরচ করিস।
আমি আমার মানিব্যাগে টাকা গুলি রেখে দিলাম।
বড় ভাইটা ঘুমিয়ে পরলো।
এই রাতেই সুরঞ্জনার সাথে মোবাইলে অনেক ক্ষণ কথা হল।
তখন আমি একটা প্রাইভেট ফার্মে কাজ করতাম।
আগামি কাল অফিসে অনেক জরুরি কাজ আছে তাই সুরঞ্জনা আর আমি
সিদ্ধান্ত নিলাম আগামি কাল অর্থাৎ ১লা বৈশাখে সুরঞ্জনার সাথে দেখা
করতে ঢাকা যাবনা।
ঐ রাতেই অনেক ঝড় তোফান শুরু হলো।
তাই মোবাইল ফোনে কথা বলতে শুনতে সমস্যা হওয়ায়
আমরা লাইন কেটে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।
সকাল ৬টায় ঘুম থেকে উঠে তৈরি হয়ে অফিসের উদ্দ্যেশ্যে ছুটলাম।
বাসা থেকে অফিসে হেটে যেতে ১৫ মিনিট লাগতো।
তাই হেটেই যেতাম।
ঘর থেকে বের হতেই সুরঞ্জনাকে খুব মিস করতে শুরু করলাম।
কারণ প্রতিবারই ১লা বৈশাখের আগের রাতেই রওয়ানা দেই ঢাকার উদ্দ্যেশ্যে।
অর্থাৎ সুরঞ্জনার সাথে দেখা করার জন্য।
এই সকাল বেলাতেই দাঁড়িয়ে থাকতাম
সুরঞ্জনার আশে পাশের এলাকায় ওর অপেক্ষায়।
কিন্তু আজ ছুটছি অফিসে।
খুব মিস করছিলাম তাই ওকে কল দিলাম।
ওর সাথে কথা বললাম অফিসের গেইটে পৌছা পর্যন্ত।
অফিসে ঢুকতেই কয়েক জন কলিগ এসে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন।
জাহিদ সাহেব ও রবিউল সাহেব বলে উঠলেন আপনি আজ কিভাবে অফিসে আসলেন?
আজ তো আপনার অফিসে আসার কথা আমরা চিন্তাই করিনি।
আমি মনমরা হয়ে বললাম না এসে পারলাম না ভাই।
রবিউল সাহেব বললেন কিন্তু কেউ এক জন যে খুব মিস করছেন আপনাকে।
আমি উত্তর দিতে যাবো এমন সময় জাহিদ সাহেব হাজিরা খাতা হাতে নিয়ে এসে বললেন
এসে যখন পরেছেন তাহলে সাইনটা করে নেন।
আমি হাজিরা খাতাটা হাতে নিতেই রবিউল সাহেব মজা করে খাতাটা আমার হাত থেকে কেড়ে নিয়ে বললেন,
আপনার সাইন করা লাগবেনা।
আপনি এখনি ঢাকা চলে যান।
এই মাত্র ঢাকা শব্দটা শুনে আমার বুকের মাঝে মুচড় দিয়ে উঠল।
আমি এক মিনিটের জন্য কোথায় হারিয়ে গেলাম।
জাহিদ সাহেব আমার ঘাড়ে হাত রেখে ঝাঁকি দিয়ে বললেন কি কোথায় হারিয়ে গেলেন।
আমি বর্তমানে ফিরে এলাম।
জাহিদ সাহেব আবার বললেন সাইন করে নিন।
আমি সাইন করবোনা,বলেই জোরে জোরে হাটতে শুরু করলাম।
রবিউল সাহেব পিছন থেকে বললেন কোথায় যাচ্ছেন?
আমি পিছনে তাকিয়ে চিৎকার দিয়ে বললাম
কেউ এক জন আমায় খুব মিস করছে তো তাই চলে যাচ্ছি তার কাছে।
গেইট থেকে বের হতে গিয়ে কিসে লেগে আমার শার্টের হাতের উপরের অংশ অনেকটা ছিড়ে গেল।
ঠিক এই দিন রাতেই আমি আমার পাশের বাসার বন্ধু সুলভ বড় ভাইর সাথে ঘুমাতে যাই।
বড় ভাইটা জানতো আমি কাল সকালে ঢাকা যাব তাই দুই হাজার টাকা
আমার হাতে দিয়ে বললো এগুলি আমার কাছে থাকলে খরচ করে ফেলবো।
বরং তোর কাছে রেখেদে।
লাগলে খরচ করিস।
আমি আমার মানিব্যাগে টাকা গুলি রেখে দিলাম।
বড় ভাইটা ঘুমিয়ে পরলো।
এই রাতেই সুরঞ্জনার সাথে মোবাইলে অনেক ক্ষণ কথা হল।
তখন আমি একটা প্রাইভেট ফার্মে কাজ করতাম।
আগামি কাল অফিসে অনেক জরুরি কাজ আছে তাই সুরঞ্জনা আর আমি
সিদ্ধান্ত নিলাম আগামি কাল অর্থাৎ ১লা বৈশাখে সুরঞ্জনার সাথে দেখা
করতে ঢাকা যাবনা।
ঐ রাতেই অনেক ঝড় তোফান শুরু হলো।
তাই মোবাইল ফোনে কথা বলতে শুনতে সমস্যা হওয়ায়
আমরা লাইন কেটে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।
সকাল ৬টায় ঘুম থেকে উঠে তৈরি হয়ে অফিসের উদ্দ্যেশ্যে ছুটলাম।
বাসা থেকে অফিসে হেটে যেতে ১৫ মিনিট লাগতো।
তাই হেটেই যেতাম।
ঘর থেকে বের হতেই সুরঞ্জনাকে খুব মিস করতে শুরু করলাম।
কারণ প্রতিবারই ১লা বৈশাখের আগের রাতেই রওয়ানা দেই ঢাকার উদ্দ্যেশ্যে।
অর্থাৎ সুরঞ্জনার সাথে দেখা করার জন্য।
এই সকাল বেলাতেই দাঁড়িয়ে থাকতাম
সুরঞ্জনার আশে পাশের এলাকায় ওর অপেক্ষায়।
কিন্তু আজ ছুটছি অফিসে।
খুব মিস করছিলাম তাই ওকে কল দিলাম।
ওর সাথে কথা বললাম অফিসের গেইটে পৌছা পর্যন্ত।
অফিসে ঢুকতেই কয়েক জন কলিগ এসে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন।
জাহিদ সাহেব ও রবিউল সাহেব বলে উঠলেন আপনি আজ কিভাবে অফিসে আসলেন?
আজ তো আপনার অফিসে আসার কথা আমরা চিন্তাই করিনি।
আমি মনমরা হয়ে বললাম না এসে পারলাম না ভাই।
রবিউল সাহেব বললেন কিন্তু কেউ এক জন যে খুব মিস করছেন আপনাকে।
আমি উত্তর দিতে যাবো এমন সময় জাহিদ সাহেব হাজিরা খাতা হাতে নিয়ে এসে বললেন
এসে যখন পরেছেন তাহলে সাইনটা করে নেন।
আমি হাজিরা খাতাটা হাতে নিতেই রবিউল সাহেব মজা করে খাতাটা আমার হাত থেকে কেড়ে নিয়ে বললেন,
আপনার সাইন করা লাগবেনা।
আপনি এখনি ঢাকা চলে যান।
এই মাত্র ঢাকা শব্দটা শুনে আমার বুকের মাঝে মুচড় দিয়ে উঠল।
আমি এক মিনিটের জন্য কোথায় হারিয়ে গেলাম।
জাহিদ সাহেব আমার ঘাড়ে হাত রেখে ঝাঁকি দিয়ে বললেন কি কোথায় হারিয়ে গেলেন।
আমি বর্তমানে ফিরে এলাম।
জাহিদ সাহেব আবার বললেন সাইন করে নিন।
আমি সাইন করবোনা,বলেই জোরে জোরে হাটতে শুরু করলাম।
রবিউল সাহেব পিছন থেকে বললেন কোথায় যাচ্ছেন?
আমি পিছনে তাকিয়ে চিৎকার দিয়ে বললাম
কেউ এক জন আমায় খুব মিস করছে তো তাই চলে যাচ্ছি তার কাছে।
গেইট থেকে বের হতে গিয়ে কিসে লেগে আমার শার্টের হাতের উপরের অংশ অনেকটা ছিড়ে গেল।