রবিবার, ২২ জানুয়ারী, ২০১৭

সিগারেট টানতে টানটে তামাক বিরোধী র‍্যালিতে যাওয়া কি এক নয়?


গ্রামীণ ফোন যে হারামীর ফোন তা কারোরই অজানা নয়।
আমি হারামীর ফোন ব্যবহার বাধ দিয়ে দিছি বহু আগেই।
তাই আমি আর গ্রামিনফোনের হারামীগিরির ভূক্তভুগী নই।
আমার মতো অনেকেই এখন এসবের ভুক্তভুগী নন।
কারণ উনারা গ্রামিনফোন ফেলে দিয়েছেন ডাস্টবিনে।



কিন্তু যারা অতিতে গ্রামীনফোন ব্যবহার করে গর্ব অহংকারে বুক ফাটিয়ে ফেলতেন,
নিজেরে গ্রামীন ফোনের গর্বিত সদস্য মনে করতেন। এখন গ্রামীনফোন তাদেরই রক্ত চুসে খাচ্ছে।
এখন আর তাদের গর্ব অহংকার যুক্ত বাচন ভঙ্গী চোখে পরেনা।
এখন শুনতে পাই তাদের আর্তনাদ।
সেই আর্তনাদ আমাকেও ব্যতিত করে।

মাঝে টেলিটক সিম অল্পদিন ব্যবহার করেছিলাম।
দুর্দশার কথা কি বলবো?
টেলিটক দুর্দশা নিশ্চয়ই কারো অজানা নয়।
এদের সার্ভিস বিশেষ করে নেটওয়ার্ক প্রফার এলাকাতেও দুর্বিষহ।
এদের নেটওয়ার্ক পাওয়া অনেকটা সোনার হরিণ পাওয়ার মতোই।

কিন্তু এই সীমের জন্য অতিতে মানুষ পুলিশের কতো লাথিগুতা খেয়েছে।
না বুজে বেহুদাই সেই লাথিগুতা খেয়েছিল মানুষগুলি।
এখন বুঝ হয়েছে। তাই কেউ আর তার ধারে কাছে নাই।
টেলিটক আমাদেরকে বদলাতে শ্লগান দেয় "আমাদের ফোন"।
আমি বলি টেলিটককে আগে আপনারা বদলান, তারপর আমাদেরকে বদলে দিন।
দেখবেন আমরা বদলে যাবো। টেলিটক হবে তখন দেশ ও দশের ফোন।
আর আমি আমরা হবো তার গর্বিত সদস্য।

যারা গ্রামীণ ফোনের হারামীফোন সার্ভিস পেয়ে গ্রামীন ফোন বন্ধের প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তাদেরকে বলছি ।
আগে আপনারা নিজেরা আমার মতো গ্রামীনফোন ব্যবহার করা বন্দ করে দিন। তারপর অন্যকে উৎসাহিত করুন। তারপর যৌথ্য উদ্যেগে আন্দলনে নামুন। নিশ্চিত সফল হবেন।
নিজের মোবাইলে গ্রামিনফোনে কথা বলতে বলতে গ্রামিনফোন বন্দের প্রতিবাদ মিছিলে যাওয়া আর
সিগারেট টানতে টানটে তামাক বিরোধী র‍্যালিতে যাওয়া কি এক নয়?

কোন মন্তব্য নেই: