মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৪

"প্রেমিক মাতাল"

একে একে সবাই তোকে ভুলে যাবে "প্রেমিক মাতাল"।
তুই বোকার মতোই তাদের মনে রাখবি শুধু।
তুই কি তোর পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিতে পারিসনা?

রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৪

পথশিশু

(১)
আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে
কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে ?
সেই বাল্যকালের "আদর্শ ছেলে" কবিতা খানা কিছুদিন যাবত
আমাকে বিবেকের কাঠগড়ায় দাড় করিয়ে রেখেছে।
আমি কিছুতেই মুক্তি পাচ্ছিনা নিজ বিবেকের কাঠগড়া থেকে।
কি করে পাবো আমি মুক্তি। আমি যে  কাজে বড় না হয়ে কথায় বড় হয়ে গেছি।

সুরঞ্জনা

সুরঞ্জনা তুমি বুড়িগঙ্গার তীরে একা আনমনে হাঁটতে যেওনা
তবে হয়তো মনের ভুলে আমাকেই পাশে খুজবে
ভুল করে আমাকেই মনে পড়ে যাবে

বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৪

সামুর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি

আমি এক নগন্য মানুষ,তবে জগন্য নয় কিন্তু।

লেখা লেখির অভ্যাস বা বদভ্যাসটা আমার সেই কৈশোর থেকেই।
তবুও লেখক হতে পারলাম না জীবনের প্রায় অর্ধেক আয়ু শেষ করেও।হাহাহাহা..................

কৈশোরে লিখতাম মাগনা পাওয়া ঔষধ কোম্পানির পেডবুকে।
খাতা বা ডাইরিতে লিখার ক্ষমতা আমার পক্ষে সম্ভব ছিলনা।
খাতাতে লিখলে মা অনেক বকা দিতেন, মাঝে মাঝে বেপক প্রহার ও করতেন।
কারণ অহরত খাতা কলম কিনে দেওয়ার ক্ষমতা আমার মায়ের ছিলনা।
আর ডাইরি কেনা তো সে সময় আমার মায়ের জন্য ছিল এক বিশাল
কষ্ট সাধ্য বেপার, প্রায় অসাধ্য বলাই চলে।

শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৪

তুই ফিরে আসিস


তুই ফিরে আসিস তোর আঙ্গিনায় জোছনার প্লাবন এলে
তুই ফিরে আসিস  তোর আঁধার কেটে ভোর হলে
তুই ফিরে আসিস তোর গগণে সূর্য দেখা দিলে
তুই ফিরে আসিস  আরো একবার নতুন করে কাঁদবো বলে।

বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৪

"SURONJONA" I miss you all the time

এই কানে ধরলাম আর রাত জাগবো না
বিশ্বাস করো তোমার মাথা ছুয়ে বলছি
লক্ষিটি এবার রাগ ভাঙ্গ প্লিজ।
একটু হাসনা প্লিজ,
জানো তোমাকে রাগলেনা পেতণীর মতো লাগে,
বলতেই এক গাল হাসি দিয়েই বলতে,
ফাজলামু করোনাতো।

মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৪

পিরিতির কি ফল

জলের বুকে পদ্দ ফুঠে
ফুটে শাপলা শালুক
সেই জলেতেই থাকে আবার
সাপ কিংবা জুক।
প্রেম তেমনি এক জল
ফুঠায় স্বপ্ন রাশী রাশী
আবার পোষা সাপ মারে বিষাক্ত ছুবল
প্রেমে পড়লে বুঝবেরে
পিড়িতির কি ফল?

সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৪

১৫ ডিসেম্বর ১৯৭১

১৫ ডিসেম্বর। একাত্তরের এই দিনে শত্রুমুক্ত হয় নারায়ণগঞ্জ,
খাগড়াছড়ি ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা। মিত্রবাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর
যৌথ অভিযানে বিজয়ের আগের দিন হানাদার মুক্ত হয়েছিলো এসব এলাকা।

মানুষ – কাজী নজরুল ইসলাম

গাহি সাম্যের গান-
মানুষের চেয়ে কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান,
নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি,
সব দেশে, সল কালে, ঘরে-ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।
‘পূজারী, দুয়ার খোল,
ক্ষুদার ঠাকুর দাঁড়ায়ে দুয়ারে পূজার সময় হলো!’
স্বপ্ন দেখিয়া আকুল পূজারী খুলিল ভজনালয়
দেবতার বরে আজ রাজা-টাজা হ’য়ে যাবে নিশ্চয়!
জীর্ণ-বস্ত্র শীর্ণ-গাত্র, ক্ষুদায় কন্ঠ ক্ষীণ
ডাকিল পান্থ, ‘দ্বার খোল বাবা, খাইনি তো সাত দিন!’
সহসা বন্ধ হ’ল মন্দির, ভুখারী ফিরিয়া চলে,
তিমির রাত্রি, পথ জুড়ে তার ক্ষুদার মানিক জ্বলে!
ভুখারী ফুকারি’ কয়,
‘ঐ মন্দির পূজারীর, হায় দেবতা, তোমার নয়!’

রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৪

অভিশাপ - কাজী নজরুল ইসলাম

যেদিন আমি হারিয়ে যাব, বুঝবে সেদিন বুঝবে,
অস্তপারের সন্ধ্যাতারায় আমার খবর পুছবে -
          বুঝবে সেদিন বুঝবে!
     ছবি আমার বুকে বেঁধে
     পাগল হয়ে কেঁদে কেঁদে
     ফিরবে মরু কানন গিরি,
     সাগর আকাশ বাতাস চিরি'
          যেদিন আমায় খুঁজবে -
          বুঝবে সেদিন বুঝবে!

১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১

১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১, দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হারানোর দিন। 
বাঙ্গালী জাতির সবচেয়ে বেদনাদায়ক দিন।

*শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা

শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৪

সাত জন বীরশ্রেষ্ঠের

(১) বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর ।
    ১৯৪৯ সালের ৭ মার্চ বরিশালের বাবুগঞ্জ থানার রহিমগঞ্জ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

   শাহাদাত বরণ করেন ১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১।

বিদ্রোহীঃ কাজী নজরুল ইসলাম

বল বীর-
বল উন্নত মম শির!
শির নেহারী' আমারি নতশির ওই শিখর হিমাদ্রীর!
বল বীর-
বল মহাবিশ্বের মহাকাশ ফাড়ি'
চন্দ্র সূর্য্য গ্রহ তারা ছাড়ি'
ভূলোক দ্যূলোক গোলোক ভেদিয়া
খোদার আসন ‘আরশ’ ছেদিয়া,
উঠিয়াছি চির-বিস্ময় আমি বিশ্ববিধাতৃর!
মম ললাটে রুদ্র ভগবান জ্বলে রাজ-রাজটীকা দীপ্ত জয়শ্রীর!
বল বীর-
আমি চির-উন্নত শির!
আমি চিরদুর্দম, দূর্বিনীত, নৃশংস,
মহাপ্রলয়ের আমি নটরাজ, আমি সাইক্লোন, আমি ধ্বংস!
আমি মহাভয়, আমি অভিশাপ পৃথ্বীর,
আমি দূর্বার,
আমি ভেঙে করি সব চুরমার!
আমি অনিয়ম উচ্ছৃঙ্খল,
আমি দ’লে যাই যত বন্ধন, যত নিয়ম কানুন শৃঙ্খল!
আমি মানি না কো কোন আইন,
আমি ভরা-তরী করি ভরা-ডুবি, আমি টর্পেডো, আমি ভীম ভাসমান মাইন!
আমি ধূর্জটী, আমি এলোকেশে ঝড় অকাল-বৈশাখীর
আমি বিদ্রোহী, আমি বিদ্রোহী-সুত বিশ্ব-বিধাতৃর!

১৩ ডিসেম্বর ১৯৭১

আজ ১৩ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে বগুড়া শহর পাকহানাদার মুক্ত হয়েছিল। ৩ দিন ভয়াবহ সম্মুখযুদ্ধের পর পাকবাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিল। এই স্মৃতিকে ধরে রাখতে পরবর্তী সময়ে শহরের ফুলবাড়ীতে ২০০৫ সালের ১৬ ডিসেম্বর উদ্বোধন করেন স্মৃতিস্তম্ভ ‘মুক্তির ফুলবাড়ী’।

বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৪

ছাত্রদলের গান- কাজী নজরুল ইসলাম

আমরা শক্তি আমরা বল
আমরা ছাত্রদল।
মোদের         পায়ের তলায় মূর্ছে তুফান
ঊর্ধ্বে বিমান ঝড়-বাদল।
আমরা ছাত্রদল।।

১১ ডিসেম্বর ১৯৭১

জাতিসংঘে আত্মসমর্পণের প্রস্তাব পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তার
একাত্তরের এদিন হিলি সীমান্তে যৌথবাহিনী প্রচণ্ড প্রতিরোধের মুখোমুখি পড়ে।
মার্কিন সপ্তম নৌবিহারের টাস্কফোর্স বঙ্গোপসাগর অভিমুখে।

বুধবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৪

১০ ডিসেম্বর ১৯৭১

১০ ডিসেম্বর ১৯৭১  হানাদাররা বহু নিরীহ মানুষ হত্যা করে
এদিন রাজধানী ঢাকা ছাড়া দেশের বেশিরভাগ জেলা শত্রু“মুক্ত হয়ে যায়।
ঢাকায় চূড়ান্ত হামলা চালিয়ে শত্রু“দের আত্মসমর্পণে বাধ্য করার লক্ষ্যে এগিয়ে যায় যৌথ বাহিনী।
ঢাকায় চলছে কারফিউ আর ব্ল্যাক আউট।

মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৪

জাগরণী- কাজী নজরুল ইসলাম

জাগো রে তরুণ জাগো রে ছাত্রদল
স্বতঃ উৎসারিত ঝর্ণাধারায় প্রায় জাগো প্রাণ-চঞ্চল
ভেদ-বিভেদের গ্লানির কারা-প্রাচীর
ধুলিসাৎ করি জাগো উন্নত শির
জবাকুসুম-সঙ্কাশ জাগে বীর,
বিধি নিষেধের ভাঙ্গো ভাঙ্গো অর্গল।
ধর্ম বর্ণ জাতির ঊর্ধ্বে জাগো রে নবীন প্রাণ
তোমার অভ্যুদয়ে হোক সব বিরোধের অবসান
সঙ্কীর্ণতা ক্ষুদ্রতা ভোলো ভোলো
সকল মানুষে ঊর্ধ্বে ধরিয়া তোলো
তোমাদের চাহে আজ নিখিল জনসমাজ
আনো জ্ঞানদীপ এই তিমিরের মাঝ,
বিধাতার সম জাগো প্রেম প্রোজ্জ্বল।

লিচু চোর- কাজী নজরুল ইসলাম

বাবুদের তাল-পুকুরে
হাবুদের ডাল-কুকুরে
সে কি বাস করলে তাড়া,
বলি থাম একটু দাড়া।

ঈদ মোবারক- কাজী নজরুল ইসলাম

শত যোজনের কত মরুভূমি পারায়ে গো,
কত বালু চরে কত আঁখি-ধারা ঝরায়ে গো,
বরষের পরে আসিল ঈদ!
ভূখারীর দ্বারে সওগাত বয়ে রিজওয়ানের,
কন্টক-বনে আশ্বাস এনে গুল-বাগের,
সাকীরে ”জা’মের” দিলে তাগিদ!

৯ ডিসেম্বর ১৯৭১

মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর সামনে শুধু ঢাকা দখল লড়াই। সবদিকে দিয়ে মিত্রবাহিনী ঢাকার দিকে অগ্রসর হলো। বাইরে থেকে হানাদার বাহিনীর প্রবেশ রুদ্ধ হয়ে যায়।  মিত্রবাহিনী একে একে আশুগঞ্জ, দাউদকান্দি, চাঁদপুর ময়মনসিংহ দখলে নিয়ে নেয়।  

সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৪

৮ ডিসেম্বর ১৯৭১

একাত্তরের এদিনে পাকিস্তানি বাহিনী বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে সম্পূর্ণভাবে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। সম্মিলিত বাহিনী চারদিক থেকে এগিয়ে চলছে। রণপদ্ধতিতে ব্যাপক সুফল পেতে থাকে মিত্র বাহিনী। আর ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল মানেকশ বিভিন্ন ভাষায় হানাদার বাহিনীকে আত্তমর্পণের বাণী ও লিফলেট করে আকাশে ছড়িয়ে দেন।

রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৪

কোল মানের ভয় করেনা প্রেমিকরা

কোল মানের ভয় করেনা প্রেমিকরা
জাত গেলে তার কি আসে যায়
জাতের নাম ধুয়ে পানি খেলে প্রেম কি পাওয়া যায়?

৭ ডিসেম্বর ১৯৭১

এদিন মুক্তিযুদ্ধের অগ্রগতি নিয়ে বাংলাদেশের সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যরা উৎকর্ণ ছিলেন। প্রিন্সেপ স্ট্রিট থিয়েটার রোড, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র, বাংলাদেশ মিশনসহ শরণার্থী শিবির ও যুব অভ্যর্থনা কেন্দ্রের সব বাঙালি স্বাধীনতার সূর্যোদয়ের প্রত্যাশায় উদ্বিগ্ন ও উৎকর্ণ ছিল।

শনিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৪

৬ ডিসেম্বর ১৯৭১

ভারত এদিন স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেয় বাংলাদেশকে।সেদিন লোকসভায় দাঁড়িয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বলেন, ‘স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে বিশাল বাধার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণের সংগ্রাম এক নতুন অধ্যায় রচনা করেছে।

বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৪

তোর স্মৃত্বির মণি কোঠায়

আমি পারলাম নারে সুরঞ্জনা আমাকে বদলে নিতে।
অনেক চেষ্টা করেছিলাম,
অনেকটা বদলে ও গিয়েছিলাম।

৪ ডিসেম্বর ১৯৭১

বুধবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৪

যেখানে সুখ খেলা করে

খুঁজেছি অনেক, তোকে তোর শহরে
পত হারিয়েছি আমি কবেই,
তোর মনের অন্তপুড়ে।

৩ ডিসেম্বর ১৯৭১

বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রাম নতুন মাত্রা পায়। পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে শুরু হয় সম্মুখযুদ্ধ। মিত্রবাহিনীর সাথে সম্মিলিতভাবে সম্মুখযুদ্ধে এগিয়ে যায় বীর বাঙ্গালী। এদিনেই বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সার্থক হামলায় নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল ও চট্টগ্রামের ফুয়েল পাম্প মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধারা এ সময় একের পর এক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন ও ক্ষতিগ্রস্ত করে পাকিস্তানি সেনাদের ফাঁদে পড়া ইঁদুরের মতো কোণঠাসা করে তোলে।

মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৪

২ ডিসেম্বর, ১৯৭১

একাত্তরের এই সময়ে বাংলার দামাল সন্তানেরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। প্রতিদিন কোনঠাসা হতে থাকে পাক বাহিনী। নভেম্বরের শুরু থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সংঘাত তীব্র আকার ধারণ করে। সীমান্ত এলাকাগুলোতে সংঘাত তীব্র আকার ধারণ করলে মুক্তিবাহিনীর সাথে যোগ দেয় ভারতীয় বাহিনী। আর এদিকে দেশ জুড়ে চলছিল প্রতিরোধ। প্রতিদিন মুক্তিবাহিনীর কাছে নাস্তানাবুদ হচ্ছিল পাক বাহিনী।