রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৬

সৃজনে রক্ত চাও মাগো আমার


হে মাতৃভূমি মা পায়নি তোমার সন্তানরা
লাল রক্ত আর ত্বিক নোনা জলের দাম।
যারা দাম দেবে, তারা আজ অভিনেতা, মা সুনিপুণ অভিনেতা
ক্ষমতার বড়াই, আর ক্ষমতার লড়াই, আর দেশ প্রেমের অভিনয়ে ব্যস্ত ওরা।
দেখেনা মা তারা তোমার সন্তানদের খিদার জ্বালার আর্তনাদ
দেখেনা তারা বস্ত্রহীন পৌষের রাতের থরথর কাপন
দেখেনা তারা ফুটপাতে লুটোপুটো হয়ে ঘুমিয়ে থাকা তোমার শিশু সন্তানের কষ্টার্থ জীবন।
ওরা পাষাণ মা পাষাণ, অতিতের হিংস্রদের সমমান
সুযোগ পেলেই ছুরি চালাবে মা তোমার পেট, বুক কিংবা পিঠে
তবুও নিজেদেরকে দাবী করে মা তোমার শ্রেষ্ট সন্তান, ওরা অভিনেতা মা সুনিপুণ অভিনেতা

কোন দিকে যাবিরে তুই ও আমার প্রেমিক মাতাল মন


উত্তরে ঢোল তবলা আর বাঁশীর সুরে লালন ও হাসন
দক্ষিনেতে ভক্তগনের রাধাকৃষ্ণের গুণ কীর্তন
পশ্চিমেতে জিকির মাহফিল আর তবারকের আয়োজন
প্রেমিক মাতাল বুঝিতে পায়না কোন দিকে তার মন
পুবেতে ধোয়া ধোয়া কুয়াশা মাখা নিরব অচেতন
কোন দিকে যাবিরে তুই ও আমার প্রেমিক মাতাল মন?

সোমবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৬

এর চেয়ে বড় চাওয়া কি আর থাকতে পারে একজন মানুষের জীবনে?

আমি আমার বাচ্চাদের প্রায় সময় মুক্তিযুদ্ধে আমাদের  বিরত্ব গাথার গল্প শুনাই। শুনাই আমাদের বিসর্জনের গল্প। শুনাই দেশের গান। তাদেরকে নিয়ে আমি আমার উঠানে ভাষা দিবস, স্বাধিনতা, বিজয় দিবস উদযাপন করি। না এরা কেউ আমার সন্তান নয়। আমিও এদের আপন কেউ নই। আমি এখনো অবিবাহিত। এরা আমার পাড়া প্রতিবেশির সন্তান। এদের মধ্যে কেউ আমাকে চাচ্চু চাচা কাকা আংকেল বলে ডাকেনা। এরা আমাকে বাবা পাপ্পা বলে ডাকে। অল্প কয়েক জন মামা বলে ডাকে।কারন এরা আমার পাড়াতো বোনদের সন্তান।  যদিও এই মামা ডাকা বাচ্চাগুলি মাঝে মাঝে পাপ্পা ডাকা বাচ্চাদের সাথে ঝগড়া লাগিয়ে দেয় আমার পাপ্পা, আমার পাপ্পা বলে। একটু বড় বাচ্চারা হেসে উঠে। হেসে উঠে মামা ডাকা বাচ্চাগুলির মা বাবা সহ আমার মা বোন। ।

আসুন, বাংলাদেশের সবগুলো জেলখানা বন্ধ করে দেই

সিনেমা শুধু মাত্র বিনোদন নয়। একটি সিনেমা কথা বলে দেশ জাতি মাটি ও মানুষের। জাগ্রত করে বিবেক আবেগ দেশ প্রেম মহত্ববোধ মনুষত্ব। প্রতিহত করে সমাজের অনাচার, অত্যাচার, সন্ত্রাস, শুকুন শেয়াল এবং দেশ ও সমাজের ক্ষমতাধর বিষাক্ত সাপদের। আমি ঠিক এমনি একটি সিনেমার কথা বলছি। যার কাহিনী, চিত্রনাট্য, সংলাপ ও পরিচালক শহীদুল ইসলাম খোকন। এই সিনেমার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন খ্যাতিমান অভিনেতা মাহফুজ আহমেদ। রয়েছেন জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী শিমলা। খলনায়ক চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রখ্যাত নাট্য পরিচালক ও অভিনেতা সালাউদ্দিন লাভলু। নিশ্চয়ই অনেকেই এই মুহূর্তে বুঝে গেছেন আমি কোন সিনেমার কথা বলছি। জি আমি বাংলা লাল সবুজ সিনামার কথাই বলছি। আসুন, দেখি জাগ্রত হই। জাগ্রত করি বিবেক, আবেগ, দেশ প্রেম, মহত্ববোধ, মনুষত্বকে। এবং ঐক্যবদ্ধ হই। প্রতিহত করি সমাজের অনাচার, অত্যাচার, সন্ত্রাস, শুকুন শেয়াল এবং দেশে ও সমাজের ক্ষমতাধর বিষাক্ত সাপদের।

“শিক্ষা খরচ নিয়ন্ত্রণে আনা এবং নিয়ন্ত্রণে রাখা” সময়ের সবচেয়ে বড় দাবি


শিক্ষার হার যে হারে বাড়ছে, তার চেয়ে দ্রুত গতিতে বেড়ে যাচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফাউন্ড । হয়তো সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্টানে বাচ্চাদের পড়াশুনার খরচ খুব সীমিত । শুধু যে খরচ সীমিত তা কিন্তু নয় । খরচ যেমন সীমিত তেমনি আসন সংখ্যা ও তুলনা মূলক ভাবে খুব সীমিত । যার কারনে ভর্তির সময় আসলে সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্টান গুলিতে লেগে যায় ভর্তি যুদ্ধ । আর এই ভর্তি যুদ্ধে অল্প কিছু মেধাবী ছাত্রছাত্রী সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম খরছে ভালো মানের পড়াশুনার সুযোগ পায় । কিন্তু অধিকাংশ ভর্তি যুদ্ধা মেধাবী, অল্প মেধাবী ও মেধাহীন ছাত্রছাত্রীরা সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্টানে অল্প খরচে ভাল মানের শিক্ষার সুযোগ না পেয়ে ভর্তি হতে হয় এমপিও ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারী (বাণিজ্যিক) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে । আর এখান থেকেই শুরু হয় ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকের ভুগান্তি যাত্রা ।

দেশে এখন একজনও অভাবী / গরিব নেই

কোন একজন মন্ত্রীর কথার সুত্র ধরে আমার এক বড় ভাই বলেছেন- দেশে এখন একজনও   অভাবী / গরিব নেই।
আমি উত্তরে বললাম- আপনি নিশ্চই কুরবানির মাংস বিতরন, যাকাতের নিন্ম মানের কাপড় বিতরন, শীতের পোশাক বিতরন, বঙ্গবন্ধুর জিয়ার জন্ম  মৃত্যু বার্ষিকী সহ অনেকের মৃত্যু জন্ম বার্ষিকীর উপলক্ষে কাঙ্গালি ভোজ বা খাবার বিতরন সহ ইত্যাদি ধরনের বিতরণী ও ভোজ অনুষ্টান দেখেছেন?


আদিপত্য ভোগ ও বিলাসিতার মধ্যে সুখ নেই, প্রকৃত সুখ মনের সুখ

সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি- শীত এসে গেছে
আসুন প্রতি শীতের মতো এবার শীতেও গরিব, অসহায়, বস্ত্রহীন,পথশিশুদের পাশে দাড়াই।
গরিব, অসহায়, বস্ত্রহীন,পথশিশুদের শীত নিবারণে সঙ্গী হই।
জাগিয়ে তুলি বিবেক ও মানবতাকে।

একটা কমন প্রশ্ন ছিল- বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক কে?


আমাদের শৈশব-কৈশোরের সময় আমাদের পরীক্ষা আর ইন্টারভিউতে একটা কমন প্রশ্ন ছিল-বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক কে? তখন কিন্তু আমরা একেক সরকারের আমলে একেক রকম উত্তর করতাম।
যেমন বিএনপি সরকারের আমলে আমরা উত্তর করতাম মেজর জিয়াউর রহমান ঠিক তেমন আওয়ামী লীগ সরকার আমলে উত্তর করতাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

সোমবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৬

আজব এক দুনিয়া বাইনাছে


এইটা মগো বাপের ভিটা 
করতে পারি মন চায় যেটা 
ইচ্ছে মতো মোয়া বানাই
জনে জনে তা-ই বিলাই।

মাটির এই পৃথিবীতে মাটির মানুষ নাইরে ভাই


মাটির এই পৃথিবীতে মাটির মানুষ নাইরে ভাই
মাটির মানুষের ভিতর পাথর খুজে পাই !!
অন্ন ভুখার কান্দনে আর গলে নারে মাটির মন
মনটা এখন মাটির নাইরে, হয়ে গেছে পাথর কখন !!