নিজের বোনকে যখন তার স্বামী মেরে পিটিয়ে তাড়িয়ে ভাইয়ের বাড়ি পাটিয়ে দেয় তখন পিচাশের বাচ্চারা বোনের স্বামীকে জানোয়ারের বাচ্চা বলে গালি দেয়। কিন্তু পিশাসের বাচ্চারা যখন নিজের বউকে পিটায় তখন নিজের প্রকাশ্য জানোয়ার রুপটা দেখেনা। ভাবেনা তার বউ অন্য কারো বোন। ভাবেনা তার বোনের জানোয়ারের বাচ্চা স্বামী যে ভাবে তার বোনকে পিটিয়েছে ঠিক সেভাবে সেও কোন ভাইর বোনের জানোয়ারের বাচ্চা স্বামী হয়ে আপন বউকে পিটাচ্ছে। কেন ভাবেনা জানেন? কারন সে শুধু জানোয়ারের বাচ্চা নয়, একটা পিশাচ। সেই পিশাচের ঘরের সন্তানদের বাবা নামক পিশাচের প্রতি ভালবাসা তো দূরের কথা সামান্য সম্মানবোধ ও থাকেনা। এবং কি বাবা হিসেবে পরিচয় দিতেও লজ্জা পায়। বাবা বলে ডাকতে ঘৃনা করে। যদিও পিশাচের ঘরের সব সন্তানরা পিচাশ হয়না। পিশাচের মতোও হয়।
সোমবার, ১৮ মে, ২০২০
যাকাত না দেয়ার ফন্দি হিসেবে সম্পদের হিসেব না কষে করোনা কালে গরিব অসহায়দের মাঝে সল্প সংখ্যক খাদ্যদ্রব্য বিতরনে ব্যস্ত অধিকাংশ যাকাত দেওয়ার উপযুক্ত ধনীরা। অথচ তা যাকাত নয়, গরিবের মাঝে অনুদান দান/করুনা/ভালবাসা মাত্র। কিন্তু যাকাত কোন দান/অনুদান/করুনা/ভালবাসা নয়,যাকাত গরিবের হক। তাই গরিবের হক না দিয়ে বড়লোকের এখন দান/অনুদান/করুনা নামের ভালবাসা বিলাতে ব্যস্ত।
যদিও আমি দান/অনুদান/করুনা/ভালবাসা এবং যাকাত দেওয়ার উপযুক্ত নয়। তবে ঐসব পাওয়ার উপযুক্ত নয় যে তা অনুভব করতে পারি।
শনিবার, ১৬ মে, ২০২০
বৃষ্টির সাথে আমার সখ্যতা দেখে
ঈর্ষানিত হয় রাতের তাঁরা
টিপটিপ বৃষ্টির ঝড়াঝড়া দেখে
রাতের তাঁরাগুলি ঈর্ষায় জ্বলেপুড়ে
মেঘের আড়ালে মুখ ঢাকে।
শ্রাবণের রাতে ভাসাডুবা প্লাবনে
আমার দুখের স্নান দেখে
তাঁরারা মিটিমিটি হাসে।
বৃষ্টির কানে কানে বলে আড়ালে
আমায় কেন এতো ভালবাসে?
একফালি মেঘ এসে ঢেকে দেয় তাঁরাদের
বৃষ্টি ঝড়িয়ে আমায় ভিজিয়ে দেয় ভালবেসে।
বুধবার, ১৩ মে, ২০২০
ভয়ে থেমে যাক, প্রতিবাদী কাব্য সৃজন
থমকে যাক, প্রতিবাদী ভাষার উচ্চারণ।
পথ ভুলা হোক সাহসী, বীরপুরুষের দল
উজ্জীবিত হোক, মাথানত কাপুরুষের বল।
কারার ভয়ে কলম, লিখনি কাপেঁ থরতর
জেল জুলুম হুলিয়া, ভড়িয়া উঠিল জড়সড়।
মুক্তি পাক, শান্তি পাক শতশত অপরাধির দল
অপরাধ মুক্তি পাক, নিপাক যাক প্রতিবাদীর দল।
কালা কানুন কলমের নয়, চোরের পক্ষে কথা কয়
চোরেরা যেন চোর নয়, সাধু বেসে সাধু সেজে রয়।
লিখনির জোরে চোরের সাজা যদি রুপকথার গল্প হয়
কবিও কলিকালের রুপকথার কাব্য রচনায় পাবে ভয়।
কালা কানুনের ভয়ে, গড়েছে কবির মনে বিস্বাদ সিন্ধু
কলম কবির শত্রু, প্রতিবাদী ভুলা নিরবতা বিশাল বন্ধু।
গনমানুষের কবি আজ, অমানুষের কবিতে হোক পরিণয়
ভয়ে ভয়ে শুধু ভয়ে, হোকনা তবু ঐ কালাকানুনের জয়।
মঙ্গলবার, ১২ মে, ২০২০
আরেকটা কবিতা লিখবো তোমায় নিয়ে, না সে কবিতায় তুমি থাকবেনা
থাকবে তোমার বদলে তোমার নামের, তোমার শূন্যস্থান পূরণে অন্য কেউ।
আরেকবার তোমার প্রেমে পড়বো আমি, না সে প্রেমের নাইকা তুমি নও
তোমার মতো দেখতে হয়তো, তবে তোমার মতো প্রতারক কেউ নয়।
আরেকবার জীবন গড়বো আমি, না তোমার ভালবাসার মায়ায় নয়
তোমার মতো অন্য কেউ হয়তো, তবে তোমার অতো অমানুষ নয়।
আরেকবার করবো তোমায় সুরঞ্জনা সোনায় খাচায় বন্দি, তবে তুমি নও
আরেকবার ভাঙ্গবে তুমি আমার সেই ভাঙ্গা নীড়, না সেও তুমি নও।
আরেকবার আমি স্বপ্নের পিঠে বয়ে নিয়ে আসা দুঃস্বপ্নের ফাদে পড়বো
আরেকবার আমি ঘুরেফিরে আবার নতুন করে তোমার প্রেমেই পড়বো।
কল্পনায় এমন দিন গুনেগুনে কেটে গেছে পনেরটি বছর, একযুগের উপর
যাকনা জীবন এভাবেই কেটে তুমি বিহীন একলা দহনে, পরজনমের পর।
ভালবাসি সুরঞ্জনা আজো ভালবাসি যতোদিন হয়না, তোমার জানা
আমি অন্ধের মতো ভালবেসে যাবো ভয় না করে, পরজনমের দহনেহানা।
স্বর্গের মায়া ছাড়া প্রেমিক মাতাল আমি, নরকের কি ডর ভয় পাই
তোমার মায়ায় কাটবে জীবন মরণ, পাবেনা নতুন করে কেউ ঠাই।
রবিবার, ১০ মে, ২০২০
একদিন আমিও মানুষ ছিলাম, ছিল মানুষের মতো জীবন স্বপ্নময়
একদিন আমিও প্রেমিক ছিলাম, ছিল প্রেমিকাকে হারাবার ভয়।
একদিন আমিও পথিক ছিলাম, স্বপ্নের মতো জীবন গড়ার পথে
একদিন আমিও বৃষ্টিকে ভালবেসে ছিলাম, কোন এক মেঘ কালো রাতে।
একদিন আমিও মায়ের লক্ষি ছেলে ছিলাম, টাকার নেষায় মেতে
একদিন আমিও সমাজের ছিলাম, সমাজের দ্বায়বদ্ধতা থেকে।
আজ আমি অন্য মানুষ, অন্য কোন পথের, অন্য কোন নদীর ঘাটে
অন্য ভাবেই কাটছে জীবন, জীবনের শেষ হিসেব নিকেশ কষে।
বেচে আছি মরবো বলে, মরার তরে, জীবনের শেষ মোহনায়
অমানুষের কবি'র মৃত্যুতে কে আছে কাদার ছলে করে হায়হায়।
ঐ পথশিশু তোদের চোখে কান্নার জল দেখে আমার পৌষাশিক আনন্দ জাগে
আমি যে অমানুষের কবি।
হে প্রিয়া তোমার চোখের জন আমার কাছে হেয়ালি লাগে
আমি যে অমানুষের কবি।
পথের শিশু দুইটা টাকা দেন যখন খুজে, আমার মাঝে তখনি পশুত্ব জাগে
আমি যে অমানুষের কবি।
কান দুইটা মলে দিয়ে কাজ করে খা বলে আমার হৃদয় মহামানবী সাজে
আমি যে অমানুষের কবি।
খাদ্য বস্ত শিক্ষা চিকিৎসার দাবীতে যখন গণমানুষ জাগে, আমার কাছে ওদেরকে বেকুবের দল লাগে
আমি যে অমানুষের কবি।
অধিকার চাই অধিকার চাই আর্থনাদ করা ওরা আমার মনে হয় যেন এই ফরলো ফাদে
আমি যে অমানুষের কবি।
মায়ের চিল্লান আর কতো কাল খাবি আমার ঘারের উপড় পরে, এ যেন মিষ্টি কাব্যের সুন্দর কথা মালা ঝরে
আমি যে অমানুষের কবি।
ভাবি দুইটা টাকা কামাই করে দিতে পারলে যেন মায়ের পরাণ যাবে ভরে
আমি যে অমানুষের কবি।
আমি অমানুষের কবি
মায়ের ডাকে ঘুম ভেঙ্গে দুপুর দুইটা বাজে শুনি।
আমি অমানুষের কবি
রাত জেগে ফুটপাথে ঘুমিয়ে থাকা অমানুষদের গুনি।
আমি অমানুষের কবি
মানুষের মাঝে অমানুষ খুঁজে তাদের নিয়ে নতুন কাব্য বুনি
আমি অমানুষের কবি
পশুর মাঝে মানুষের মহানগুণ মনুষ্যত্বই আমার কাব্য লেখার পুজি।
আমি অমানুষের কবি
অমানুষের নিয়ে লিখবোনা আর, পণ করেও লিখে ফেলে দুই কলম রোজই।
আমি অমানুষের কবি
গণমানুষের মানুষের কথা না ভেবে, অমানুষের কথা ভাবি।
আমি যে অমানুষের কবি......
শনিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২০
কতো দুপুর না খেয়ে কাটিয়েছি টাকার অভাবে।সেই অভাবের মাঝেই কতো দুপুরে খুদার্থ অসহায় কিংবা পথশিশুদেরকে নিজের দুপুরের খাবার খাওয়ার টাকা বিলিয়ে দিয়েছি হাসি মুখে শুধুমাত্র #মানুষ_হওয়ার_বিশাল_আকাংখায়। পেয়ে কতো শত স্বর্গীয় হাসি উপহার। যা অনায়াসে স্বর্গের স্বাদ মিঠায়।
হাহাহাহা আজ আমার টাকার অভাব নেই। খাবারের অভাব নেই।সব অভাব কেটে গেছে। অথচ আজ আমার অভাব পরেছে আমার মধ্যে থাকা সেদিনের আবেগ বিবেক ভালবাসার। না এখন আর আমার চোখ পথশিশুর দেখা পায়না। দেখেনা কোন খুদার্থ অসহায়ের।
না আমি মানুষ হতে পারিনি অল্প কিছু কাগজের নোটের নেষায়। টাকার নেষা আমার মানুষ হওয়ার নেষাটাকে মেরে ফেলেছে।মেরে ফেলেছে আমার আবেগ বিবেক ভালবাসাকে।
এক সময় আমি বলতাম যার মাঝে আবেগ নেই, বিবেক নেই, ভালবাসা নেই সে মানুষ হতে পারেনা। অথচ আজ আমি মানুষ নই। টাকার নেষা আমাকে অমানুষ করে দিয়েছে। পৃথিবীতে টাকার নেষার চেয়ে খারাপ নেষা কি আর থাকতে পারে।
Labels:
অপ্রিয় সত্য,
পাগলের প্রলাপ,
প্রেমিক মাতল,
সুরঞ্জনা