শনিবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৬

বাজানরে নিলি বসত নিলি নিলি মায়ের লাশ


মাদানে মায় কইলো খোকা আমার ভুর করে আয় ভাত নিতাছি থালে
মুখে তুলে খাইয়ে দিমু লক্ষি খোকা বলে।
কপালের ঐ কোনে নজর টিপ দিমু কেউর নজর পরেনা বলে
তোর বাপে তোরে কইছে আজ হাটে নিবো বৈকালে।
বান্দরের মতো নাইচ্ছা নাইচ্ছা নাইতে গেলাম পুসকুনিতে
আয়া দেখি মায় আমার পইরা আছে মাটিতে।

বাংলাদেশে সরকার বদলের সাথে সাথে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের বদলো


আমাদের শৈশব কৈশোরের সময় আমাদের পরিক্ষা আর ইন্টার্ভিউতে
একটা কমন প্রশ্ন ছিল- বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক কে ?
তখন কিন্তু আমরা একেক সরকারের আমলে একেক রকম উত্তর করতাম।
যেমন বিএনপি সরকারের আমলে আমরা উত্তর করতাম মেজর জিয়াউর রহমান
ঠিক তেমন আওয়ামীলীগ সরকার আমলে উত্তর করতাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

স্বপ্ন ভাঙ্গাতেই হারালাম


তোর হারানো পথের পথিক হবো, বল সঙ্গে নিবি?
তোর ভাঙ্গা স্বপনের বপন করবো, বল স্বপ্ন দিবি?
তোর পুড়া অন্তরে প্রেমের সৃজন করবো, বল করতে দিবি?

আরে জানী তো আমি পাগল উদ্ভুক সবাই বলে
তুই আর নতুন করে বলবি কি?
ভালবাসা দিবি, বল ভালবাসা দিবি আমায়?
না দিস, ভালবাসা নিবি আমার, বল নিবি?

সোমবার, ৮ আগস্ট, ২০১৬

বাজানরে নিলি বসত নিলি নিলি মায়ের লাশ


মাদানে মায় কইলো খোকা আমার ভুর করে আয় ভাত নিতাছি থালে
মুখে তুলে খাইয়ে দিমু লক্ষি খোকা বলে।
কপালের ঐ কোনে নজর টিপ দিমু কেউর নজর পরেনা বলে
তোর বাপে তোরে কইছে আজ হাটে নিবো বৈকালে।
বান্দরের মতো নাইচ্ছা নাইচ্ছা নাইতে গেলাম পুসকুনিতে
আয়া দেখি মায় আমার পইরা আছে মাটিতে।

বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই, ২০১৬

নিয়ে নাও তোমারদের আধুনিকতা, ফেরত দাও আমাদের সুখ শান্তি স্বাধীনতা


আজ থেকে ২০,২৫ বছর আগে আমরা আধুনিক ছিলামনা।
কিন্তু ছিল আমাদের মাঝে সুখ শান্তি স্বাধীনতা বিরাজমান।
কিন্তু যবে থেকে তোমরা আমাদের আধুনিক হতে শেখালে সেদিন থেকেই আমাদের সুখ শান্তি স্বাধীনতা ধীরে ধীরে কৌশলে কেড়ে নিলে।
আজ আমরা আধুনিকতার দ্বারপ্রান্তে, তাই আমরা সুখ শান্তি স্বাধীনতার শেষ প্রান্তে।
আর কয়দিন পরেই হয়তো আমাদেরকে তোমরা ভুলিয়ে দেবে সুখ শান্তি স্বাধীনতা নামক শব্দ গুলি। তখন আমাদের কি হবে ভাবতেই বুকের বাম পাশের ব্যথাটা উকি দেয়। খুব কষ্ট হয় যাতনা হয়। হয়তো তোমরা তা বোধ করনা।

বুধবার, ২০ জুলাই, ২০১৬

বৃষ্টি আমায় স্পর্শ করবে


দিন দিন আমার পৃথিবীটা ছোট হয়ে আসছে।
হচ্ছে কোলাহল মুক্ত, আর কমে আসছে লোকালয়।
কমে যাচ্ছে বন্ধু বান্ধব আত্মীয় স্বজন পরিচিত জন।

আর কিছুদিন পরেই নিঃসঙ্গতা আমাকে আকড়ে ধরবে
কুড়ে কুড়ে ছোট করে দেবে আমায় আয়ু রেখা।
আমি হবো মৃত্যু পথযাত্রী সেজন।

তারপর আর হবেনা নতুন কথামালার সৃজন
হবেনা আর কোন স্বপ্নের বিসর্জন কিংবা বাহ বাহ অর্জন।
বৃষ্টির স্পর্শ থেকে নিজেকে আড়াল করতে পালাতে হবেনা অট্টালিকার পরে
বৃষ্টি আমায় স্পর্শ করবে কাদা মাখা করবে ছোট্ট সারে তিন হাত মাঠির ঘরে।

রবিবার, ১৭ জুলাই, ২০১৬

যেই তরুণ প্রজন্মের হাতে আগামী বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ


কোন ধর্মপরায়ন, ন্যায়পরায়ন, বিবেকবান, দেশ প্রেমিক, সুশিক্ষিত ব্যক্তি জঙ্গি হতে পারেনা।
যারা জঙ্গি তারা নিশ্চই ধর্মপরায়ন, ন্যায়পরায়ন, বিবেকবান, দেশ প্রেমিক, সুশিক্ষিত ব্যক্তি নয়।

যেই তরুণ প্রজন্মের হাতে আগামী বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ,
সেই তরুণ প্রজন্মের গোটা কয়েকজন আজ জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পরেছে।
সত্যি এটা খুব বেদ্যনাবিদুর ও যন্ত্রনাদায়ক।

শনিবার, ১৬ জুলাই, ২০১৬

"ঘুরে এলেম তিলোত্তমা হাতিয়া" ঈদ ভ্রমন কাহিনী


প্রায় প্রতি ঈদের রাতেই বাসা পালিয়ে মায়ের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যাই বাংলার প্রকৃতি ইতিহাস সংস্কৃতির কাছে মায়ার টানে। ঘুরে বেড়ানো আমার সব চেয়ে প্রিয় ভাললাগা। ছয় বছর আগেও হারিয়ে যাওয়া সুখ পাখি সুরঞ্জনাকে নিয়ে ঘুরে বেড়াতাম ঢাকা ও তার আশে পাশের প্রকৃতি ইতিহাস আর সংস্কৃতির খোজে। এখনো বদলায়নি আমার সেই ভাললাগাটা। যদিও বদলে গেছে জীবনের পথ রেখা। সুযোগ পেলেই মায়ের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যাই  বাংলার প্রকৃতি ইতিহাস ঐতিহ্য সংস্কৃতির কাছে মায়ার টানে। এবারের ঈদেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বাসা থেকে বিকেলে বের হয়ে গেলাম মা’কে রথ মেলায় যাচ্ছি বলে। যদিও রথ মেলায় সত্যি যাচ্ছি। কিন্তু রথ মেলার পরে কোথায় যাবো তা তো আর মাকে বলে আসিনি। আর বলব বা কি করে আমি নিজেই তো জানিনা কোথায় যাবো আজ রাতে। তবে পালাবো যে সেটা আমি আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলাম।

রবিবার, ৩ জুলাই, ২০১৬

এ কেমন স্বাধীনতারে ভাই


এ কেমন স্বাধীনতারে ভাই ধরলেই কয় হারামজাদা
ভুগ করলেই দেয় আবার চৌদ্দ সিকের জেলের সাঁজা।
আমি অদম বোকা সোকা, আগুন লাগায় আমার লেখা
মা বলেছে বাল্য কালে করতাম আমি কলম চুরি
তাই মনে হয় আগুন মাখা আমার লেখা কথা গুলি।
চলবে------------

শনিবার, ২৫ জুন, ২০১৬

মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী, জানি তখন আপনার একটুও লজ্জাবোধ হবেনা


মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী আপনি এসে দেখে যান আপনার সোনার ছেলে মেয়েরা
সায়েন্সে এ-প্লাস পেয়েও কোন ভাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেনা।  অবশেষে বাধ্য হয়ে জবাই হচ্ছে কসাইদের হাতে অর্থার শিক্ষাকে বাণিজ্য রুপ দেওয়া প্রাইভেট কলেজ গুলিতে। আর যারা গরিব তাদের আর হয়তো টাকার অভাবে কসাইদের হাতে জবাই অর্থার শিক্ষাকে বাণিজ্য রুপ দেওয়া প্রাইভেট কলেজ গুলিতে এ বছর আর সায়েন্স নিয়ে ভর্তি হওয়া হবেনা টাকার অভাবে। আগামী বছর হয়তো তারা তাদের প্রিয় বিষয় সায়েন্স ত্যাগ করে অন্য কোন বিষয় নিয়ে আবার আবেদন করবে। আর না হয় বাবা মা (মেয়ে)  বিয়ে দিয়ে দেবে অথবা (ছেলে) কোন মেকানিক ওয়ার্কশপে। ইতি হবে আপনার সোনার ছেলে মেয়ের শিক্ষা জীবন।