কবিতা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
কবিতা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সোমবার, ১৫ জুন, ২০২০

অসহায় সুখ নিল তাই অসুখির ঘরে ঠাই

অসহায় সুখ নিল তাই সুখের ঘরে ঠাই

সুখের যে আজ হয়েছে মহা অসুখ
গবেষণা বলে এ জটিল ছোয়াছে রোগ
সুখ কাঙ্গালের দল তাই গেছে পালায়।

অসুখি কি আর পায় অসুখের ভয়
সুখকে যতনে অসুখ ছাড়াতেই হয়
অসুখি বুঝে অসুখ কতো জ্বালাময়।

অসুখির যতনে আজ সুখ জঠিল রোগ মুক্ত
ধন্যবাদ ছাড়া কি আর অসুখী থাকে পাপ্প
সুখ ছুটেছে আবার সুখ কাঙ্গালের দলের পিছু।

সুখ কাঙ্গালের দল দেয়না আর সুখকে ঠাই
জটিল ছোয়াছে রোগ ওরা বড্ড ভয় পায়
অসহায় সুখ নিল তাই অসুখির ঘরে ঠাই।

ফ্রিতে ধর্মের বাণী বিলাই

ফ্রিতে ধর্মের বাণী বিলাই

জানিনা স্বরবর্ণ ব্যঞ্জনবর্ণ অ আ ইর পরে কি?
জানিনা পাচঁ কলিমা আর কি কি ইসলামের খুটি?
ভাবখানা মোর এমন যেন বিক্ষাত ইসলামিক পন্ডিত
নামাজ তো পড়তেই জানিনা, সুরা পাঠ যে বেঠিক।

পথে ঘাটে যেথায়ই থাকি, পাপ নাপাকে সব মানুষের তরে
কোরআন হাদিসের বর্ননায় দেই ফতুয়া একশো ভাগ সঠিক
আমি যেন খুব জান্তা বিশাল জ্ঞানী ইসলামিক পন্ডিত
মুফতি বেডা যাই বলুক মিয়া ভাই আমারটাই এক্কেবারে ঠিক।

হেই মিয়ারা ধর্ম শিইক্ষা ধর্ম দিয়া করে লাখ লাখ টাকা কামাই
আমি কিন্তু নিজের খাইয়া নিজের পইরা ফ্রিতে ধর্মের বাণী বিলাই।
আমি কিন্তু শিক্ষা বিহীন মুর্খ মানুষ ধন সম্পদও নাই
আমার আগে তাগো হিসাব দিয়া বেহেস্তে যাওয়া এতো সোজা নায়।

রবিবার, ১৪ জুন, ২০২০

পথের মাঝে হারিয়ে গেছে আমার ভালবাসা

পথের মাঝে  হারিয়ে গেছে  আমার ভালবাসা

আমি পথের মানুষ পথেই থাকি, পথেই ঘর বাড়ি
পথের মাঝে ফুটে আবার, পথের মাঝেই ঝরি।
পথের মাঝে স্বপ্ন আমার, পথেই মাঝেই আশা
পথের মাঝে হারিয়ে গেছে, আমার ভালবাসা।

আমি পথের মাঝে সুখ খুজে পাই, শত দুঃখ ভুলে
পথের মাঝে পথ ভুলে যাই, নতুন পথ খুজার ছলে।
পথের মাঝে সুখে হাসি আমি, পথের দুঃখে কাদি
পথের মাঝে আমার হারিয়ে যাওয়া, ভালবাসা খুজি।

আমি পথের মাঝে পিতা খুজি, পথের মাঝেই মাতা
পথের মাঝে বুনি আমি আমার, নতুন কাব্যকথা
পথের মাঝে আমি দূরে সরে যাই, পথেই ফিরে আসা
পথের মাঝে খুজে পাবো আমি, আমার ভালবাসা।

আমি পথের সাথে সখ্যতা গড়ে, জীবনের গ্লানি টানি
পথের মাঝে  আমাতে আমি, পথেই আমায় চিনি।
পথের মাঝে যুগ ধরে বাচি আমি, পথেই যাবো মরে
পথের মাঝে ভালবাসার আশায়, আছি বারোটি বছর ধরে।

মঙ্গলবার, ২ জুন, ২০২০

অশ্লীলতার সমতুল্য খারাপ কাজ মুখস্ত বিদ্যা

অশ্লীলতার সমতুল্য খারাপ কাজ মুখস্ত বিদ্যা

মুখুস্ত বিদ্যা আমাদের চিন্তা শক্তিকে অকেজ করে দেয়। মুখস্ত বিদ্যা আমাদের ভাবতে শেখাকে ভুলিয়ে দেয়। মুখস্ত বিদ্যা এতোটাই ভয়ানক যে এক সময় আমাদের চিন্তা শক্তি ও ভাবনা শক্তিকে গলা চেপে মেরে ফেলে। আমরা হয়ে যাই তখন গতানুগতিক গতির যান। ঠিক এরকম ঢাকা টু সিলেট / সিলেট টু ঢাকা অথবা ঢাকা টু চট্টগ্রাম / চট্টগ্রাম টু ঢাকা।

এবার বুঝোন মুখস্ত বিদ্যা কতোটা খারাপ।আমাদের একজন শিক্ষক, জনপ্রিয় লেখক, শিক্ষাবিদ মুখস্ত বিদ্যাকে অশ্লীলতার সাথে তুলনা করেছিলেন। কেন করছিলেন নিশ্চয়ই আমাদের বুঝতে সমস্যা হবার কথা নয়।উনি বুঝাতে চেয়েছেন অশ্লীলতা যতোটা খারাপ মুখস্ত বিদ্যা ঠিক ততোটাই খারাপ।

মুখস্ত বিদ্যা দিয়ে নিশ্চয়ই ভালো সার্টিফিকেট অর্জন করা যায় কিন্তু মেধাবী বা বুদ্ধিমান হওয়া যায়না। মুখস্ত বিদ্যা আমাদের অজান্তেই খুব গুপনে আমাদের মেধা ও বুদ্ধিমত্তাকে ধংষ করে দেয়। হয়তো এক সময় আমরা এই মুখস্ত বিদ্যায় অনেক ভালো ভালো সার্টিফিকেটদারী হই। যেই সার্টিফিকেট আমাদেরকে একটা ভাল চাকরী দিতে পারে। কিন্তু সেই সার্টিফিকেট আমাদেরকে উদ্যেগতা বা উদ্ভাবক হিসেবে গড়ে তুলতে পারেনা। কারণ আমাদের মুখস্ত বিদ্যা অতিতেই আমাদের চিন্তা শক্তি ভাবনা শক্তিকে গলা চেপে মেরে ফেলেছে। চিন্তা শক্তি ভাবনা শক্তি ছাড়া কোন দিন উদ্যেগতা বা উদ্ভাবক হওয়া সম্ভব নয়।

আমরা মুখস্ত বিদ্যায় ভালো সার্টিফিকেট অর্জন করে হয়ে পড়ি চাকরী নির্ভর। আমাদের দেশে কর্মসংস্থানের বড়ই অভাব। তাই চাকরী আমাদের দেশে সোনার হরিণ নামেই পরিচিত। সোনার হরিণ পাওয়া তো আর এতো সোজা নয়। সরকারী চাকরী নামের সোনার হরিণ ধরতে আমাদেরকে গুনতে হয় লক্ষ লক্ষ টাকা। কেন গুনতে হয় তা নিশ্চয়ই আমাদের কারো অজানা নয়। কারন ঘুষবিহীন সরকারী চাকরী পাওয়ার নজীর আমাদের দেশে নেই বললেই চলে।

আর প্রাইভেট ফার্মের চাকুরী নামের সোনার হরিণ ধরতে লাগে বাবা মামা চাচা ইত্যাদি।যাদের বাবা মামা চাচা ইত্যাদি নেই তাদের চাকরীও নেই প্রাইভেট ফার্ম গুলিতে।যদিও এখন নাকী প্রাইভেট ফার্ম গুলিতেও সরকারী চাকরীর মতো ঘুষের প্রচলন শুরু হয়ে গেছে।

আমরা যারা মুখস্ত বিদ্যায় শিক্ষিত হয়ে ভালো ভালো সার্টিফিকেট অর্জন করেছি বা করবো তারা কি চাকরী নামের সোনারা হরিণ ধরতে পারছি বা পারবো। অনেকেই বলবেন জানী হ্যা পেরেছি বা পারবো। তারা কারা যানেন? তারা হলেন সেই ব্যক্তিগণ যারা টাকার জোরে সরকারী আর বাবা মামা চাচার জোরে বেসরকারী চাকরী পেয়ে গিয়েছেন বা পাবেন। কিন্তু আমাদের মতো হত দরিদ্র অথবা বাবা চাচা মামা বিহীন অথবা ঘুষ দিয়ে চাকরী নিতে অনুচ্ছুকগণ কি চাকরী নামের সোনার হরিণ ধরতে পেরেছি বা পারবো। নিশ্চয়ই পারার কথা নয়। তখন আমরা হয়ে যাবো দেশের বোজা সমাজের বোজা পরিবারের বোজা। মূল্যহীন হয়ে যাবে আমাদের দীর্ঘ সময় আর পরিশ্রমের অর্জন শিক্ষা। মূল্যহীন হয়ে যাবে আমাদের সার্টিফিকেট। যা ইতি মধ্যে হয়ে গিয়েছেও বটে অনেকের জীবনে।

যেহেতু আমরা মুখস্ত বিদ্যায় শিক্ষিত সেহেতু আমাদের চিন্তা শক্তি ভাবনা শক্তি মৃত। তাই আমরা আর পারছিনা নিজের ইচ্ছেতে কিছু করতে। কারন চিন্তা শক্তি ভাবনা শক্তি বিহীন মানুষের ইচ্ছা শক্তিও থাকেনা।

আমরা যারা তরুন যুবক কিশোর বা শিশু আমাদের এখনো সময় আছে মুখস্ত বিদ্যা থেকে বেড়িয়ে আসার। এখনো সময় আছে আমাদের অশ্লীলতার সমতুল্য খারাপ মুখস্ত বিদ্যাকে ত্যাগ করার। এখনো সময় আছে আমাদের হাতে আমাদের চিন্তা শক্তি ভাবনা শক্তিকে বাচিয়ে রাখার। এখনো সময় আছে আমাদের শুধু চাকরী নির্ভর শিক্ষায় শিক্ষিত না হয়ে, মেধা ও বুদ্ধিমত্তাকে জাগ্রত করে নিজেদের ইচ্ছা শক্তিকে জন্ম দেওয়ার।

আসুন আমরা সবাই মুখস্ত বিদ্যা থেকে বের হয়ে এসে চিন্তা, ভাবনা, মেধা ও মুদ্ধুমত্তাকে কাজে লাগাই। চাকরী নির্ভর শিক্ষিত না হয়ে স্ব-শিক্ষিত হই চিন্তা, ভাবনা, মেধা ও মুদ্ধুমত্তার জোরে। যে শিক্ষা আমাদেরকে উদ্যেগতা বা উদ্ভাবক হতে শিখাবে। আমাদের অন্তরে সাহস জোগাবে। যেই উদ্যেগক বা উদ্ভাবনা আর সাহসিকতায় গড়ে তুলতে পারবো হাজার হাজার বেকারের কর্মক্ষেত্র। হ্রুদ করতে পারবো বেকারত্বের হার। দেশে সমাজ আর পরিবারের বোজা না হয়ে হবো দেশ সমাজ আর পরিবারের গর্বিত সন্তান। সবার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা।

শনিবার, ১৬ মে, ২০২০

মেঘের আড়ালে মুখ ঢাকে


বৃষ্টির সাথে আমার সখ্যতা দেখে
ঈর্ষানিত হয় রাতের তাঁরা
টিপটিপ বৃষ্টির ঝড়াঝড়া দেখে
রাতের তাঁরাগুলি ঈর্ষায় জ্বলেপুড়ে
মেঘের আড়ালে মুখ ঢাকে।

শ্রাবণের রাতে ভাসাডুবা প্লাবনে
আমার দুখের স্নান দেখে
তাঁরারা মিটিমিটি হাসে।

বৃষ্টির কানে কানে বলে আড়ালে
আমায় কেন এতো ভালবাসে?
একফালি মেঘ এসে ঢেকে দেয় তাঁরাদের
বৃষ্টি ঝড়িয়ে আমায় ভিজিয়ে দেয় ভালবেসে।