সোমবার, ৬ মার্চ, ২০১৭

যিনি চলে গেছেন, তবু রয়ে গেছেন অন্তরে

২০১২ সালের ঠিক এই দিনটিতে তিনি চলে গেছেন আমাদের ছেড়ে চিরতরে না ফেরার দেশে। কিন্তু আজও তিনি চলে যেতে পারেননি আমাদের অন্তর থেকে। জি আমি প্রিয় অভিনয়শৈলি খ্যাতিমান অভিনেতা হুমায়ুন ফরিদি'র কথা বলছি।

আজ সেই খ্যাতিমান অভিনেতার পঞ্চম মৃত্যু বার্ষিকী। খ্যাতিমান অভিনেতা হুমায়ুন ফরিদি তার অভিনয় দিয়ে "ভন্ড" ছবির মধ্য দিয়ে যেমন আমাদের হাঁসিয়েছেন। তেমন কাঁদিয়েছেন "জয়যাত্রা"য়। আবার দেখিয়েছেন ভংকর রুপ "সন্ত্রাস" নামক সিনেমা সহ অসংখ্য নাটক সিনেমায়।



তিনি মঞ্চ নাটক, টিভি নাটক সহ বাংলা সিনেমায় রেখেছেন অভিনয়ে বেপক অবদান। যে অবদান কখনো ভুলার নয়।
তিনি তার অভিনিত মাতৃত্ব সিনেমা দিয়ে অর্জন করেছেন ২০০৪ সালে বাংলাদেশের অস্কার খ্যাত জাতীয় চলচিত্র পুরস্কার।

খ্যাতিমান এই অভিনেতার জন্ম ১৯৫২ সালের ২৯শে মে'র ভোর ৫.৩০ মিনিটে। তার জন্মস্থান ঢাকার নারিন্দা এলাকায়।

তিনি অভিনয়ে এসেছিলেন ছাত্র জীবনের মঞ্চ নাটকের মাধ্যমে। তার প্রথম মঞ্চ নাটক ছিল কিশোরগঞ্জের মহল্লার নাটক ১৯৬৪ সালে।
তিনি টিভি নাটকে প্রথম অভিনয় করেন "নিখোঁজ সংবাদ" নামক নাটকে।
তিনি প্রথম বাণিজ্যিক সিনেমায় অভিনয় করেন "সন্ত্রাস" নামক সিনেমায়।

তিনি প্রথম বিয়ে করেছিলেন ফরিদপুরের মিনুকে। এ ঘরে তাদের একজন কন্যা সন্তান রয়েছে। পরে তিনি ২য় বিয়ে করেন আরেক খ্যাতিমান অভিনেতা গোলাম মোস্তফা'র সুযোগ্য কন্যা অভিনেত্রী সুবর্ণা মোস্তফাকে। তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে ২০০৮ সালের দিকে।

কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন "এমন জীবন তুমি করিবে গঠন, মরিতে হাসিবে তুমি কাদিয়ে ভুবন"। ২০১২ সালের ঠিক এই দিনটিতে প্রিয় এই অভিনেতা হাসতে হাসলে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। আর কাদিয়ে গেলেন অগণিত ভক্ত, শুভানুধ্যায়ী, আত্বীয় স্বজনদের।

মরহুম এই অভিনেতাকে দাফন করা হয়েছে শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদ মিনার গোরস্থানে আরেক খ্যাতিমান অভিনেতা ও প্রিয় অভিনেতার শ্বশুর মরহুম গোলাম মোস্তফার কবরের পাশে।
আজকের এই দিনে প্রিয় অভিনেতা হুমায়ুন ফরিদি সহ অভিনেতা গোলাম মোস্তফার আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনা করছি।

কোন মন্তব্য নেই: