সোমবার, ২১ মার্চ, ২০১৬

আমাদের দেশীয় সংস্কৃতি ধংষ করার জন্য সবচেয়ে বেশী দ্বায়ী আমাদের স্ব-শিক্ষিত বন্ধু বান্ধবগন


আমাদের দেশীয় সংস্কৃতি ধংষ করার জন্য সবচেয়ে বেশী দ্বায়ী আমাদের স্ব-শিক্ষিত বন্ধু বান্ধবগন। আমার মতো মূর্খরা যার ধারে কাছে নেই। আর এই দেশীয় সংস্কৃতি রক্ষার জন্য প্রানপণ যারা কাজ করে যাচ্ছেন তারাও কিন্তু আমাদের স্ব-শিক্ষিত বন্ধু বান্ধবগণ। আমার মতো মূর্খরা যার ধারে কাছে নেই।
যারা দেশীয় সংস্কৃতি ধংষ করছেন তারাও স্ব-শিক্ষিত আবার যারা দেশীও সংস্কৃতি রক্ষার জন্য প্রাণপণ কাজ করে যাচ্ছেন তারাও কিন্তু স্ব-শিক্ষিত। যারা ধংষ করছেন তাদের সংখ্যা অনেক গুন বেশী যারা রক্ষা করার চেষ্টা করছেন তাদের তুলনায়। তাই স্ব-শিক্ষিত সমাজে দেশীয় সংস্কৃতি রক্ষা বা ঠিকিয়ে রাখা আজ হয়ে পড়েছে দ্বায়।



দেশের কোন মূর্খ মানুষ কিন্তু দেশীও সংস্কৃতি ধংষ করছেন না, বরং সর্বপরি দেশীয় সংস্কৃতির ব্যবহার করছেন। আর এই ব্যবহারের মাধ্যমেই ঠিকিয়ে রাখছেন আমাদের হাজার বছরের পুরনো দেশীয় সংস্কৃতিকে।
আর যে কয় জন মূর্খ মানুষ দেশীয় সংস্কৃতি ধংষে লিপ্ত হয়েছেন উনারা কিন্তু এক শ্রেনীর স্ব-শিক্ষিত মানুষকে অনুশরণ করেই এই ধংষের খেলায় মেতে উঠেছেন।
আমাদের দেশীয় একটা প্রবাদ বাক্য আছে "কাক হয়ে ময়ুরের বেস ধরা"।
আপসোস ঐ মূর্খ মানুষ গুলির জন্য যারা ময়ুর চিনতে ভুল করছেন।

আমাদের স্ব-শিক্ষিত বন্ধু বান্ধবগণকে অনুরোধ নয় বন্ধুত্বের অধীকার নিয়ে বলছি- আমাদের অর্থাৎ আপনাদের নিজস্ব সংস্কৃতিকে ধংষের হাত থেকে রক্ষা করার দ্বায়ীত্ব কিন্তু আপনাদেরই। কারন আমরা অজ্ঞ মূর্খ মানুষ। আমাদের জ্ঞান বুদ্ধিকম। আমরা আপনাদের মতো এতো গভির ভাবে ভাবতে শিখিনি বুঝতে ও শিখিনি। আমাদের মত একশ জন মানুষের দ্বারা যে কাজ করা সম্ভব নয় সেই কাজ আপনারা স্ব-শিক্ষিত একজন এর দ্বারা সম্ভব বলে আমি শিকার করি। আপনাদেরকে আবারো বন্ধুত্বের অধীকার নিয়ে বলছি আপনারা আমাদের হাজার বছরের পুরনো সংস্কৃতিকে ধংষ করবেননা। আপয়ানারা জানেন যে আপনাদের মতো স্ব-শিক্ষিতদের আমরা অজ্ঞ মূর্খরা সর্বদা অনুশরণ করে চলছি।
এখন আপনারা যদি বেঠিক পথে চলেন তবে কিন্তু আমরা অজ্ঞ মূর্খরাও আপনাদেরকে অনুশরণ করে বেঠিক পথের পথিক হয়ে পরবো। যা কভু সু-ফল নিয়ে আসবেনা আমাদের এ জাতীর জন্য।

এই সময়েও অনেক বন্ধু বান্ধব বলতে পারেননা যে আমাদের জাতীয় খেলা কি ?
যদিও বাচ্চা ছেলে মেয়েরা বলতে পারে। কারন তারা স্কুলে জাতীয় খেলা নিয়ে রচনা লিখে এখনো। যা আমরা ও অতিতে লিখেছিলাম।
এখন আর লিখতে হয়না বলে ভুলের মাজেই চাপা পড়ে গেছে আমাদের জাতীয় খেলার নামটা। এবার ভাবুন আমাদের পরবর্তী প্রজন্মদের অবস্থা ভবিষ্যতে কোথায় দাঁড়াবে ?
তাই চলুন আমরা সবাই মিলে আমাদের সংস্কৃতিকে রক্ষা করার লক্ষে দেশীয় সংস্কৃতির সদ-ব্যবহার করি। অপ-ব্যবহারকারীদেরকেও সদ-ব্যবহার করার জন্য উৎসাহী করে তুলি।
আমাদের সর্বদা মনে রাখা উচিত যে, যে জাতীর সংস্কৃতি ধংষ যে জাতীও ধংষ।
তাই চলুন আমাদের জাতীয়তা রক্ষার স্বার্থে আমাদের সংস্কৃতিকে রক্ষা করি।
আর আমাদের সংস্কৃতিকে তুলে ধরি বিশ্ব সংস্কৃতির উচ্চতর আসনে।
যাতে হবে আমাদের আরো একটি অহংকারের জন্ম।

কোন মন্তব্য নেই: