বুধবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০১৫

নিজেরাই উদ্যেক্তা হয়ে ভালো কিছু করতে পারেন

সচ্ছল পরিবারের মেয়েরা কিন্তু সখের বসে অথবা
পড়া শুনার যোগ্যতাটাকে কাজে লাগানোর জন্যই চাকুরি করেন।
পেটের দায়ে কিংবা পরিবারের সচ্চলতার জন্য নহে।

আর যারা চাকুরির জন্য পাগলের মতো হনহন করে ঘুরছেন
তারা কিন্তু পেটের দায়েই চাকুরির পিছু ছুটছেন।
তবুও চাকুরি জোটা তো দূরের কথা, শুন্য পোষ্ট খুজেও পাচ্ছেন না।
পাবেনিবা কি করে কারন পোষ্ট গুলি দখল করে বসে আসেন
আমাদের সচ্ছল পরিবারের কিছু সৌখীন আপুরা।
যাদের চাকুরি পাওয়া কোন বেপারিনা।
শুধু মুখ দিয়ে একবার বললেই হয় চাকুরির কথা।
কারন বাপ চাচা ভাই মামা অথবা স্বামী সবাই
বড় বড় প্রতিষ্ঠানের বড় বড় কর্মকর্তা অথবা মালিক পক্ষ।
যাদের কথা চাকুরি দাতা ফেলতে পারেননা উনাদের সম্মানের দিক চিন্তা করে।

আপুরা একবার কি ভেবে দেখেছেন আপনি যে চাকুরিটা
করছেন সখের বসে অথবা যোগ্যতাটাকে কাজে লাগানোর জন্য
সেই, চাকুরির জন্য মধ্যবিত্ত কিংবা নিন্মবিত্ত পরিবারের
একটা ছেলে বা মেয়ে কেন পাগল পাড়া?
নিশ্চয়ই ভেবে দেখেননি।
যদি ভেবে দেখতেন তবে নিশ্চয়ই সখের বসে চাকুরিটা আপনি নিতেননা।
আপনার বিবেক আপনাকে থমকে দিত।
কারন আমি বিশ্বাস করি প্রতিটি মানুষই বিবেকবান।
তবে হয়তো কেউ কেউ বিবেকটাকে বিসর্জন দেন আপন স্বার্থে।
আবার কেউ কেউ বিসর্জন দেন নিঃস্বার্থে।


আমাদের দেশে জনসংখ্যার তুলনায় কর্মসংস্থান খুব কম।
যার কারনেই বেকারত্বের হার খুব বেশী।
আর এই বেকারত্বটাই অধিকাংশ বিরাজ করছে
মধ্যবিত্ত ও নিন্মবিত্ত পরিবারের ছেলে মেয়েদের উপর।
কারন উনাদের বাপ চাচা ভাই মামা অথবা স্বামী কেউই
বড় বড় প্রতিষ্ঠানের বড় বড় কর্মকর্তা অথবা মালিক পক্ষ নন।
তাই তাদের পক্ষে কেউ বিশেষ সুপারিশ করতে পারেননা।
একটা চাকুরি পাওয়া যে তাদের কাছে কতোটা জরুরী তা শুধু ভুক্তভোগীই বুঝতে পারেন।

সচ্ছল পরিবারের আপুরা কিন্তু চাকুরি না করে
নিজেরাই উদ্যেক্তা হয়ে ভালো কিছু করতে পারেন।
যেটা দ্বারা নতুন কিছু কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
আমার মতো নগণ্যরা পাবে নতুন কর্মক্ষেত্র।
কমবে দেশের বেকারত্বের হার।
সচ্ছল পরিবারের আপুরাও চাকুরির চেয়েও ভালো ফলাফল পাবেন।
মূলধন নিয়ে আশা করি কিছু বলার প্রয়োজন নেই।
হ্যা কিছুটা তো যুকি থাকতেই পারে।
আজ পর্যন্ত যুকিমুক্ত কোন উদ্যেক্তার জন্ম হয়নি।
ইংরেজিতে একটা প্রবাদ আছে no risk no gain।

কোন মন্তব্য নেই: