মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৪

আমাদের মৌলিক অধিকার


যে সকল অধিকার মানুষের জন্মগত অর্থাৎ মানুষ জন্মের পর
যে সব অধিকার পাবে তাকে বলে মৌলিক অধিকার।
আমাদের  প্রধান মৌলিক অধিকারের ৫টির।

১) খাদ্য
২) বস্ত্র
৩) বাসস্থান
৪) শিক্ষা ও
৫) চিকিৎসা
কিন্তু আমরা কতোটুকু পাচ্ছি আমাদের মৌলিক অধিকার?
আমাদের কতো টুকু মৌলিক অধিকার রাষ্ট বা সরকার পূরণ করতে পেরেছে?
অতচ  প্রায় দিনই আমার মোবাইলে govd inf থেকে একটা এস এম এস আসে
তথ্য জানা আপনার মৌলিক অধিকার।
আপনাদের ও নিশ্চই এই একি এস এম এস টি আসে?

এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে প্রধান মৌলিক অধিকারের ৫টির থেকে
তথ্য জানাটা কি খুব বেশি গুরুত্যপূর্ণ অধিকার?
জানি সবাই আমার সাথে এক মত প্রকাশ করে বলবেন, নিশ্চই না।

তাই বলে ভাববেন না যে আমি তথ্য অধিকার কে হেয় করে দেখছি।
তথ্য জানাও আমাদের জন্য গুরুত্যপূর্ণ।
শুধু আপসোস কোন দিন আমার বা আমাদের মোবাইলে
govd inf থকে এমন একটা তথ্য আসেনি যে,
খাদ্য,বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও  চিকিৎসা  আমাদের প্রধান মৌলিক অধিকার।

যাই হোক আমার এই লেখাটার মূল বিষয় হচ্ছে...
আমাদের মৌলিক অধিকার
--------------------------------------
আমি স্বীকার করি আজ আমাদের রাষ্ট বা সরকার শিক্ষা ও চিকিৎসা
ব্যবস্থাকে অনেক এগিয়ে এনেছেন।
আজ আমাদের সন্তানরা আমাদের মতো এতোটা শিক্ষা ও চিকিৎসা বঞ্চিত না।
যদিও এটা একা আমাদের রাষ্ট বা সরকারের দ্বারা সম্ভব হয়নি।
সম্ভব হয়েছে দেশি বিদেশী বিভিন্ন সংস্থা/এনজিও ও অনেক শিক্ষানুরাগীর দ্বারা।
তাই বলে এমন কিছু হয়নি যে আজ আমরা উন্নত বিশ্বের সাথে প্রতিযোগিতা করছি।

এখনো আমাদের দেশের কয়েক লক্ষ শিশু শিক্ষা চিকিৎসা বঞ্চিত।
আর এর প্রধান কারন হচ্ছে খাদ্য বস্ত্র বাসস্তানের অভাব।
আর এই ৩টি প্রধান মৌলিক অধিকারের অভাবেই বাবা মা বাধ্য হয়ে
শিশুকে শিক্ষা বঞ্চিত করে শিশু শ্রমে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।

শুধু কি তাই।
আমাদের আছে কয়েক লক্ষ পথ শিশু।
যাদের বাবা মা আছে কি নাই তারা নিজেও জানে না।

যে নিজেই জানে না তার বাবা মার কথা
সে, কি ভাবে জানবে তার মৌলিক অধিকারের কথা?
যে শিশুর নেই কোন বাসস্থান। রাজ পথই তার স্থায়ী অস্থায়ী ঠিকানা।
বস্ত্রহীন,অথবা জীর্ণ শীর্ণ ছেড়া ফাড়া নোংরা পচা জামা পড়ে।
লাজ লজ্জা কি তার কখনো জানার কথা।
কুকুরের সাথে খাদ্য খায় ডাষ্টবিনে।
কখনো আবার কুকুরের মুখ থেকে খাবার কেড়ে নেয় ক্ষিদার জ্বালায়।
সেই শিশু কি কখনো স্কুলে যাবে পড়া লেখা শিখতে?
উত্তর আমাদের সবারই জানা। তবুও আমরা নিঃষচুপ ।

আমাদের দেশের আনাছে কানাচে, পাড়া মহল্লায়
গড়ে উঠেছে অসংখ্য পথশিশুদের স্কুল।
শিক্ষার্থীর উপস্থিতি দেখলে যে, সাড়া জীবন হাসেনি সেও হেসে দেবে।
তার কারণ উপস্থিতির সংখ্যা এতো কম যে, গুনা লাগেনা চোখই বলে দিতে পাড়ে।
আর এর প্রধান কারণ হচ্ছে খাদ্য বস্ত্র বাসস্তানের অভাব।

যে শিশু খাদ্য পায়নি সে, কি বস্ত্রের পিছনে দৌড়াবে?
যে শিশু বস্ত্র পায়নি সে, কি বাসস্থানের পিছনে দৌড়াবে?
আর যে শিশু বাসস্থান পায়নি সে, কি শিক্ষার পিছনে দৌড়াবে?
আর যে শিশু শিক্ষার আলো পায়নি সে, কি চিকিৎসার গুরুত্যরুপ বুজার ক্ষমতা রাখে?
জানি সবাই আমার সাথে এক মত প্রকাশ করে বলবেন, নিশ্চই না।

তাহলে সবার আগে খাদ্যের অধিকার নিশ্চিত করা উচিৎ।
তার পর ধারাবাহিকতায় বস্ত্র বাসস্থান শিক্ষা চিকিৎসা সহ অন্যান্য সব।
আমি নিশ্চিত হয়ে বলে দিতে পাড়ি
যে, দিন থেকে আমাদের খাদ্য বস্ত্র বাসস্থান এর অভাব দূর হবে
সে, দিনের পর থেকে আমাদের শিক্ষার হার হবে একশ ভাগ।
আর তারই ধারাবাহিকতায় এগিয়ে যাবে আমাদের চিকিৎসা সহ অন্যান্য সব মৌলিক অধিকার।
আমরাও হবো উন্নত বিশ্বের উন্নত রাষ্ট।

কোন মন্তব্য নেই: