বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৪

মনে পড়ে মন পুড়ে (২য় পর্ব )

সোহানের সাথে এনির পরিচয় মাত্র ছয় মাস আগে।
সোহানের বাবা সরকারী চাকুরীজীবী।
সাত আট মাস আগে বধলি হয়ে এখানে এসেছেন।
উনি এখানে আসার ১০ দিন পর পুরো পরিবার নিয়ে
সরকারী কোয়ার্টারে উঠেন।
আর সোহানকে এনিদের কলেজে ডিগ্রি কলেজে ভর্তি করে দেন।
সেই থেকেই এনির সাথে সোহানের পরিচয়।


সোহানরা তিন ভাই বোন। সোহান সবার বড়।
সেই তাদের পরিবারের একমাত্র ছেলে।তার ছোট বোন
এইচ.এস.সি ২য় বর্ষের ছাত্রী। আর সবার ছোটটা এস.এস.সি
পরীক্ষার্থী। মা গৃহিনী।
পাঁচ জনের মোটামুটি সুখের পরিবার।

সোহান দরজায় টুকা দিল।
খুব পুরাতন দু-তলা দালান।সরকারী তো তাই পরে আছে জরাজীর্ণ ভাবে।

ভিতর থেকে সোহানের সবচেয়ে ছোট বোন ফারিয়া বললো কে?
সোহানঃ হেরে আমি খুল দরজা।
ফারিয়াঃ ভাইয়া এতোদেরি কেন?
সোহান ফারিয়ার গালে টান দিয়ে বললো বাহিরে বৃষ্টি তো
তাই দেরী হয়ে গেল।
ভিতরের রুম থেকে দৌড়ে আসলো সোহানের আরেক বোন মিথিলা।
ভাইয়া তুই আসছিস।খিদায় আমার পেট চুচু করছে।
আয় তারাতারী আয় বলেই খাবার টেবিলের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
সোহানের মাও চলে আসেন তিন ভাই বোনের মাঝে।
এসেই বলেন কিরে তোর জামা কাপড় তো ভিজে গেছে।
তুই এই জামা কাপড় পরে দাড়িয়ে আছিস কেন?
যা তারাতারী পাল্টে আয়।
সোহান বললো আচ্ছা মা চেঞ্জ হয়ে আসি।
সোহানের মা বললেন যা তো মিথিলা তোর বাবাকে ডেকে নিয়ে আয় খাবার টেবিলে।
ফারিয়া তুই আমার সাথে আয়।

হাশিম সাহেব খুব নরম স্বভাবের মানুষ।
একা থাকতেই বেশী পচন্দ করেন।
অবসরে বই পড়তে ভালবাসেন।


মিথিলা দরজায় দাড়িয়ে বললো বাবা সময় দেখেছো কয়টা বাজে।
খেতে হবে না? খালি বই আর বই।
হেরে মা আসছি।সোহান এসেছে?
হে বাবা বলেই মিথিলা তার বাবার হাত ধরে টেনে উঠিয়ে নিল।
বাবাও লক্ষি ছলের মতো খাবার টেবিলে চলে আসলেন।

চলবে............

মনে পড়ে মন পুড়ে (১ম পর্ব )

খয়ারি পাঞ্জাবী

রাতের আঁধারের নন্দিনী (১ম পর্ব)

কোন মন্তব্য নেই: