আমার বাবা নেই তাই আমার বাবা দিবসও নেই।
আমি জানীনা আমার বাবাকে কি বলে ডাকতাম।
আব্বা আব্বু বাবা পাপ্পা নাকী অন্য কিছু কিচ্ছু জানীনা।
অথবা ডাকতে শিখেছিলাম কিনা তাও জানী।
আমি শুধু জানী রাতে আমার বাবা আমার জন্য নতুন এক জোরা জুতা কিনে নিয়ে এসেছেন।
আমি সেটা নিয়েই সকাল বেলা ঘরের বারান্দায় খেলছিলাম। অনেকে মিলে আমার বাবাকে বাসার উঠানে গোসল করাচ্ছিলেন। মা ঘরের ভিতরে কাদছিলেন। তারপর পাড়াপড়শি মিলে চার পায়ের একটা দোলনা এনে বাবাকে দোলনায় চড়িয়ে কোথায় নিয়ে গেলেন।
তারপর আর তারা আমার বাবাকে ফেরত আনেননি। বাবা নিজেও আর ফেরত আসেননি।
বড় হয়ে আমি বুঝতে পারলাম উনারা সেদিন আমার বাবাকে কোথায় নিয়ে গিয়েছিলেন?
কেন উনারা বাবাকে ফেরত আনেননি কেনই বা আর ফেরত আসেননি?
বাবাকে নিয়ে আমার আর কোন গল্প নেই। বাবার শেষ দিনটাই আমার কাছে বাবার জীবনের প্রথম এবং শেষ গল্প।
সবাই আমার সেই বাবাটার জন্য দো"আ করবেন যেই বাবাটাকে আমি কি বলে ডাকতাম জানীনা। বাবাটা যেন ভাল থাকে অনেক অনেক ভাল থাকে সেই দোয়াই সবাই করবেন প্রাণ খুলে। সব বাবাদের জন্য ভালবাসা রইলো রইলো সালাম ও সম্মান।
আসছে আনন্দের ঈদ। সবাই নতুন ঈদের জামা কিনবে। কেউ এক সেট, কেউ দুই সেট, কেউ বা তারও অধিক। ঈদের দিন আনন্দের সাথে ঈদের সকালে সবাই নতুন জামা পড়বে।
এর মধ্যে কিছু মানুষ ঈদের নতুন জামা পড়ার আনন্দ পাবেনা। তারা কারা নিশ্চয়ই আমাদের অজানা নয়। তবুও আমি বলছি তারা কারা। তারা হচ্ছে পথশিশু, গরিব অসহায় শিশু, এতিম শিশু। যারা পথের ধারে ধারে ঘুরে ডাস্টবিনের মোড়ে খাবার এর সন্ধান করে আমি তাদের কথাই বলছি। যাদের দেখতে আমাদের হৃদয় কেদে উঠে আর্থনাদ হয় হৃদয়ের মনি কোঠায় আমি তাদের কথা বলছি। যাদের করুণা চাহনি দেখে আপন চোখে বেসে উঠে আমাদের ছেলে মেয়ে ছোট ছোট ভাই বোনের কথা আমি তাদের কথা বলছি। আমি তাদের কথা বলছি যাদের করুন দশা দেখে আমাদের সন্তান বা ছোট ছোট ভাই বোনের এই সুন্দর জীবনের জন্য সৃষ্টি কর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করি। জানী এই মুহূর্তে এই লেখা টুকু পড়ে আমার মতো আপনাদের চোখের নিচেও জল ছল ছল করছে। জি এখন সবার চক্ষু আড়ালে মুছে নিয়েছেন আমি জানী।
মুখুস্ত বিদ্যা আমাদের চিন্তা শক্তিকে অকেজ করে দেয়। মুখস্ত বিদ্যা আমাদের ভাবতে শেখাকে ভুলিয়ে দেয়। মুখস্ত বিদ্যা এতোটাই ভয়ানক যে এক সময় আমাদের চিন্তা শক্তি ও ভাবনা শক্তিকে গলা চেপে মেরে ফেলে। আমরা হয়ে যাই তখন গতানুগতিক গতির যান। ঠিক এরকম ঢাকা টু সিলেট / সিলেট টু ঢাকা অথবা ঢাকা টু চট্টগ্রাম / চট্টগ্রাম টু ঢাকা।
এবার বুঝোন মুখস্ত বিদ্যা কতোটা খারাপ।
আমাদের একজন শিক্ষক, জনপ্রিয় লেখক, শিক্ষাবিদ মুখস্ত বিদ্যাকে অশ্লীলতার সাথে তুলনা করেছিলেন। কেন করছিলেন নিশ্চয়ই আমাদের বুঝতে সমস্যা হবার কথা নয়।
উনি বুঝাতে চেয়েছেন অশ্লীলতা যতোটা খারাপ মুখস্ত বিদ্যা ঠিক ততোটাই খারাপ।
রিপা আজ ফোন করে বললেন একটু আসতে পারবেন?
আমি বললাম কোথায়?
রিপা বললেন নদীর পারে।
আমি বললাম আসাটা কি খুব জরুরী?
রিপা বললেন অনেকটা জরুরী বটে।
আসলে সত্যি অনেক খুসি হবো।
আমি বললাম ওকে আসছি ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
আমি দেখেছি সমাজের সু-সন্তান শিক্ষকদের বেতনের দাবীর শান্তসৃষ্ট আন্দোলনে টিয়ার সেল রাবার বুলেট জল কামানে পুলিশী হামলা হয়।
আমি আজো দেখিনি শত বছরের ঐতিহ্য এমসি কলেজ হোস্টেল আর রাজশাহী কলেজে হোস্টেল আগুনে পুড়ানো ছাত্রলীগের বিচার হয়।
আমি দেখেছি একজন এমপি আইন হাতে তুলে নিয়ে একজন শিক্ষককে কান ধরিয়ে রাখার স্পর্ধা হয়।
আমি আজো দেখিনি সেই এমপি নিজের ভুলের অনুশোচনা আর নিজের উপর ঘৃণা লজ্জায় কান ধরে দাঁড়িয়ে রয়।
আমি দেখেছি একজন শিক্ষকের কান ধরার লাঞ্চনার অনুভূতি আর প্রতিবাদে গোটা বাংলাদেশ কি ভাবে কান ধরে দাঁড়িয়ে রয়।
আমি আজো দেখিনি এত্ত এত্ত প্রতিবাদের কোন সুফল, ফল হয়।
বুঝেছি আমি আটার কিংবা ৩৬ বৎসরের শিক্ষতা স্যারদের ব্যর্থ আজ।
সার্টিফিকেটদারী শিক্ষিত গড়েছেন ঠিকি, করতে পারেনি মানুষ গড়ার কাজ।
মানুষ যদি গড়তেন তবে হতোনা স্যারদের উপর হামলা লাঞ্চনা আর অপবাদ
আজ বুঝেছি আমি ঠিকি "মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষক" শুধুই প্রবাদ।
তনু হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ ধর্ষণের সন্দেহের কথা জানিয়েছিল। কিন্তু ১৫ দিন পর কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক দল ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে তনুকে ধর্ষণের কোন আলামত তারা পাননি জানিয়েছিলেন।
এরপর আদালতের আদেশে কবর থেকে লাশ তুলে তনুর দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত হয়। সেই পরীক্ষার প্রতিবেদন এখনও জানানো হয়নি।
আমি নতুন বিয়ে করেছি।
আমি আর আমার নতুন বউ হানিমুনে কক্সবাজার গেলাম।
লাভনি বিচে গিয়ে দু-জন সমুদ্রতে আনন্দে সাতার কাটছি।
যদিও আমি সাতারের কচুও জানিনা।
সমুদ্রে অনেক ক্ষণ সাতার কেটে ঠান্ডা লাগাতে ঘুম ভেঙ্গে গেল।
আমি তো বেকুব হয়ে গেলাম।
আমি জেগে দেখি আমার ঘরে বন্যার পানি।
আমি আর আমার বালিশ তারি মাজে সাতার কাটছি।
হায়রে সালার কপাল আমার।
বাস্তবে বন্যার পানিতে চুবাচুবি খাই, আর স্বপ্নে দেখি হানিমুন।
সিলেট শহরের প্রাণ কেন্দ্র কোর্ট পয়েন্টে সদ্য নির্মিত ফুটওভার ব্রিজটি নির্মাণে কোটি টাকার উপরে ব্যায় হয়েছে। তার একটু সামনে সুরমা মার্কেট পয়েন্টে চলছে কোটি টাকা উপরে ব্যায় আরেকটি ফুটওভার ব্রিজের নির্মাণ কাজ। বর্তমান সরকারের প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যায়ের এই দুটি উন্নয়ন সত্যি চোখের পড়ার মতো কাজ। কিন্তু এক বিন্দুও নগরবাসীর জন্য উপকারের কাজ নয়। নিঃসন্ধেহে এই দুটি ফুটওভার ব্রিজ লোক দেখানো আর কমিশন কামানোর কাজ।