গল্প লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
গল্প লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২১

আমি কি বেচে আছি নাকি মরে গেছি, জানিনা

প্রেমিক মাতাল

একদিন একরাতের অন্ধকারে একএকা অচেনা এক পথে ধরে হাটতে হাটতে পথ পারিয়ে ঢুকে পরি এক গভীর অরণ্যে।  অরণ্য মানে গণজঙ্গল। না আমাদের সুন্দরবনের মতো সুন্দর জঙ্গল নয়, কিংবা সিলেট শ্রীমঙ্গল বা আমাদের পার্বত্য অঞ্চলের মতো মন জোরানো বনবাদার নয়। এ এক ভংকর বন জঙ্গল। বনে ছোট ছোট দুব্রা ঘাসগুলিকে দেখে মনে হয় মানুষ খেকো। আর ছোট ছোট গাছগুলিকে মনে হয় মানুষ খেকো দানব। এমন ক্ষনে, এমন জায়গায় আমি বুঝতে পারছিনা আমি বেচে আছি নাকি মরে গেছি। আমি বুঝতে পারছিনা এটা কি পৃথিবীর জঙ্গল, নাকি নরকের জঙ্গল? ভয়ে ভয়ে গায়ে চিমটি কাড়লাম। কিন্তু না ব্যথা পেলামনা। ব্যথা না পাওয়ায় আরো ভয় পেয়ে গেলাম। তবে কি আমি বেছে নেই। ভয়ে ভয়ে আবার চিমটি কাটলাম কিন্তু না এবারো ব্যথা পেলাম না...চলবে...

শুক্রবার, ৯ এপ্রিল, ২০২১

সুরঞ্জনা তোমার জন্য উড়োচিঠি - প্রেমিক মাতাল

সুরঞ্জনা তোমার জন্য উড়োচিঠি - প্রেমিক মাতাল


জানো সুরঞ্জনা সারাদেশে রটে গেছে প্রেমিক মাতাল সুরঞ্জনা প্রেম কাহিনী। অথচ কেউ জানেনা চিনেনা কে প্রেমিক মাতাল কে সুরঞ্জনা? সবার মধ্যে কতো আগ্রহ প্রেমিক মাতালকে দেখার জন্য। তাদের মধ্যে ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের হার বেশী। জানো সুরঞ্জনা এই দশ বছরে তোমার আমার প্রেমের গল্প জেনে কয়েক হাজার মেয়ে আমার প্রেমে পড়েছিল। অথচ কেউ মাকে কোনদিন দেখেনি। কেন দেখেনি জানো কারণ আমি ফেইসবুকে কোন ছবি শেয়ার করিনা এবং কাউকে ছবি দেইনা। আমার ইনবক্সে প্রতিদিন আপনার একটা ছবি দিন এই ম্যাসেজটা সব চেয়ে বেশি আসে। সবাই মনে করে প্রেমিক মাতাল একটি রহস্যের নাম। জানোই তো আমি রসহ্য করতে আগেও খুব ভালবাসতাম। যদিও তাতে তুমি প্রায় সময় রেগে গিয়ে আমাকে বকাজকা করতে। আসলে এখন আর সে রকম রহস্য করিনা। কারণ সেই তুমি তো আর এখন এই তুমি নও। 

জানো সুরঞ্জনা আজ তোমাকে হারানোর প্রায় ১১ বছরের কাছাকাছি। অথচ তোমার প্রেমিক মাতাল ঠিক ১১ বছরের আগের মতো আছে। এখন তোমার প্রেমের আরাধনা করে। তোমাকেই ভালবাসে।

সুরঞ্জনা আমি জানি তোমার ব্যস্ত জীবনে এখন আর আমাকে মনে পরেনা। মনে পরার কথা নয়। কারণ সাবেক প্রেমিককে মনা রাখার মতো বোকা তুমি নও। তারপর আবার তুমি অন্য কারো ঘরের ঘরণী। অন্য কারো সন্তানের জননী। তোমার আমাকে মনে পরা একেবারে উচিত নয়। আমিও চাইনা তুমি আর কোনদিন আমাকে মনে করো কষ্ট পাও। বলো কোন প্রেমিক কি তার প্রিয়তমা কষ্ট পাক এটা চায়?

জানো সুরঞ্জনা আমি না এখনো বিয়ে করিনি। কারণ জীবনে চলার পথে যদি কোনদিন তোমার সাথে দেখা হয়ে যায় তখন যদি তুমি প্রশ্ন করো প্রেমিক মাতাল তোমার বউ কেমন আছে। তখন যদি বলে দেই হ্যা অনেক ভাল আছে। তখন তুমি অনেক কষ্ট পাবে। তোমাকে তো আর আমি কষ্ট দিতে পারিনা। বলো ভালবাসার মানুষটাকে কি কষ্ট দেওয়া যায়? তাই আর বিয়ে করা হয়ে উঠেনা আমার? যদিও আমি তো আর তোমার মতো স্বার্থপর নই যে, তোমার সাথে সংসার গড়ার স্বপ্ন নিয়ে অন্য কোন মেয়েকে ঘরের বউ করে নিয়ে আসবো।

জানো সুরঞ্জনা মা বোন আত্মীয় স্বজন পাড়া প্রতিবেশিরা আমার বিয়ে নিয়ে মাথা ব্যথা উঠেছে। সবাই আমাকে বিয়ে নিয়ে চাপ দিচ্ছে। কিন্তু আমি এক চিমটিও পাত্তা দিচ্ছিনা। কারণ আমি মাকে বলে দিয়েছি আমি বিয়ে করবোনা। জানি মা জানে কেন আমি বিয়ে করবোনা। কারণ মায়ের তো
 আর অজানা নয়, তোমার আমার প্রেম কাহিনী।

বিয়ের চাপ মুক্ত থাকার জন্য আমি একটা বুদ্ধি খাটিয়েছি। কি বুদ্ধি সেটা জানলে তুমি হাসবে। কারণ তুমি কোন বিপদে পড়লে আমার থেকে বুদ্ধি নিতে। সেই বুদ্ধি ১০০ ভাগ কার্যকর হতো। তাই তুমি আমার বুদ্ধির প্রশংসা করতে। কিন্তু আমার এই বুদ্ধির কথা শুনতে তুমি আমাকে এখন আর বুদ্ধিমান নয় বোকা ভাববে। তাই বলতে লজ্জা হচ্ছে। তবুও বলে দেই। কারণ তোমাকে তো আমার কোন কিছু লুকিয়ে রাখিনা। বলতে গিয়ে আমার হাসি পাচ্ছে। আমি বিয়ের চাপ মুক্ত থাকার জন্য বেকার থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কি হাসছো?

না হেসে শুনো এই বুদ্ধি কিন্তু ১০০ ভাগ কার্যকর। কারণ মা তো আর বেকার ছেলেকে বিয়ে করাবেনা। আর বেকার ছেলেকে তো কেউ আর বউ দেবে। বিশ্বাস করো এই বুদ্ধি কাজে দিচ্ছে অনেক বছর যাবত। তবে মাঝে মাঝে জামেলা হয়। জানো আমি সরকারি চাকরিজীবী মায়ের একমাত্র ছেলে। তাই অনেক লোভী মেয়ের মায়েরা বেকার আমার কাছে মেয়ে বিয়ে দিতে লোক পাঠায়। খুব খিদা লাগছে এই বিশয়ে অন্য দিন না হয় বলবো। এখন একটু খেয়ে নেই কেমন।

জানী এই উড়োচিটি তোমার নজরে পড়বেনা কিন্তু হাজার হাজার পাঠক এই চিটি পড়ে কাদবে। আবার কেউ তোমাকে বকবে। আবার কেউ কেউ আমাকে বোকা ভেবে বকবে কিংবা উপদেশ দেবে।

যাই হোক সুরঞ্জনা ভাল থেকে। এবং পরের উড়োচিটির অপেক্ষায় থেকে। ভাল থেকে সুখে থেকে তুমি তোমার ভূবনে তোমার মতো করে-- ইতি তোমার প্রেমের কাঙ্গাল প্রেমিক মাতাল

মঙ্গলবার, ২ জুন, ২০২০

অশ্লীলতার সমতুল্য খারাপ কাজ মুখস্ত বিদ্যা

অশ্লীলতার সমতুল্য খারাপ কাজ মুখস্ত বিদ্যা

মুখুস্ত বিদ্যা আমাদের চিন্তা শক্তিকে অকেজ করে দেয়। মুখস্ত বিদ্যা আমাদের ভাবতে শেখাকে ভুলিয়ে দেয়। মুখস্ত বিদ্যা এতোটাই ভয়ানক যে এক সময় আমাদের চিন্তা শক্তি ও ভাবনা শক্তিকে গলা চেপে মেরে ফেলে। আমরা হয়ে যাই তখন গতানুগতিক গতির যান। ঠিক এরকম ঢাকা টু সিলেট / সিলেট টু ঢাকা অথবা ঢাকা টু চট্টগ্রাম / চট্টগ্রাম টু ঢাকা।

এবার বুঝোন মুখস্ত বিদ্যা কতোটা খারাপ।আমাদের একজন শিক্ষক, জনপ্রিয় লেখক, শিক্ষাবিদ মুখস্ত বিদ্যাকে অশ্লীলতার সাথে তুলনা করেছিলেন। কেন করছিলেন নিশ্চয়ই আমাদের বুঝতে সমস্যা হবার কথা নয়।উনি বুঝাতে চেয়েছেন অশ্লীলতা যতোটা খারাপ মুখস্ত বিদ্যা ঠিক ততোটাই খারাপ।

মুখস্ত বিদ্যা দিয়ে নিশ্চয়ই ভালো সার্টিফিকেট অর্জন করা যায় কিন্তু মেধাবী বা বুদ্ধিমান হওয়া যায়না। মুখস্ত বিদ্যা আমাদের অজান্তেই খুব গুপনে আমাদের মেধা ও বুদ্ধিমত্তাকে ধংষ করে দেয়। হয়তো এক সময় আমরা এই মুখস্ত বিদ্যায় অনেক ভালো ভালো সার্টিফিকেটদারী হই। যেই সার্টিফিকেট আমাদেরকে একটা ভাল চাকরী দিতে পারে। কিন্তু সেই সার্টিফিকেট আমাদেরকে উদ্যেগতা বা উদ্ভাবক হিসেবে গড়ে তুলতে পারেনা। কারণ আমাদের মুখস্ত বিদ্যা অতিতেই আমাদের চিন্তা শক্তি ভাবনা শক্তিকে গলা চেপে মেরে ফেলেছে। চিন্তা শক্তি ভাবনা শক্তি ছাড়া কোন দিন উদ্যেগতা বা উদ্ভাবক হওয়া সম্ভব নয়।

আমরা মুখস্ত বিদ্যায় ভালো সার্টিফিকেট অর্জন করে হয়ে পড়ি চাকরী নির্ভর। আমাদের দেশে কর্মসংস্থানের বড়ই অভাব। তাই চাকরী আমাদের দেশে সোনার হরিণ নামেই পরিচিত। সোনার হরিণ পাওয়া তো আর এতো সোজা নয়। সরকারী চাকরী নামের সোনার হরিণ ধরতে আমাদেরকে গুনতে হয় লক্ষ লক্ষ টাকা। কেন গুনতে হয় তা নিশ্চয়ই আমাদের কারো অজানা নয়। কারন ঘুষবিহীন সরকারী চাকরী পাওয়ার নজীর আমাদের দেশে নেই বললেই চলে।

আর প্রাইভেট ফার্মের চাকুরী নামের সোনার হরিণ ধরতে লাগে বাবা মামা চাচা ইত্যাদি।যাদের বাবা মামা চাচা ইত্যাদি নেই তাদের চাকরীও নেই প্রাইভেট ফার্ম গুলিতে।যদিও এখন নাকী প্রাইভেট ফার্ম গুলিতেও সরকারী চাকরীর মতো ঘুষের প্রচলন শুরু হয়ে গেছে।

আমরা যারা মুখস্ত বিদ্যায় শিক্ষিত হয়ে ভালো ভালো সার্টিফিকেট অর্জন করেছি বা করবো তারা কি চাকরী নামের সোনারা হরিণ ধরতে পারছি বা পারবো। অনেকেই বলবেন জানী হ্যা পেরেছি বা পারবো। তারা কারা যানেন? তারা হলেন সেই ব্যক্তিগণ যারা টাকার জোরে সরকারী আর বাবা মামা চাচার জোরে বেসরকারী চাকরী পেয়ে গিয়েছেন বা পাবেন। কিন্তু আমাদের মতো হত দরিদ্র অথবা বাবা চাচা মামা বিহীন অথবা ঘুষ দিয়ে চাকরী নিতে অনুচ্ছুকগণ কি চাকরী নামের সোনার হরিণ ধরতে পেরেছি বা পারবো। নিশ্চয়ই পারার কথা নয়। তখন আমরা হয়ে যাবো দেশের বোজা সমাজের বোজা পরিবারের বোজা। মূল্যহীন হয়ে যাবে আমাদের দীর্ঘ সময় আর পরিশ্রমের অর্জন শিক্ষা। মূল্যহীন হয়ে যাবে আমাদের সার্টিফিকেট। যা ইতি মধ্যে হয়ে গিয়েছেও বটে অনেকের জীবনে।

যেহেতু আমরা মুখস্ত বিদ্যায় শিক্ষিত সেহেতু আমাদের চিন্তা শক্তি ভাবনা শক্তি মৃত। তাই আমরা আর পারছিনা নিজের ইচ্ছেতে কিছু করতে। কারন চিন্তা শক্তি ভাবনা শক্তি বিহীন মানুষের ইচ্ছা শক্তিও থাকেনা।

আমরা যারা তরুন যুবক কিশোর বা শিশু আমাদের এখনো সময় আছে মুখস্ত বিদ্যা থেকে বেড়িয়ে আসার। এখনো সময় আছে আমাদের অশ্লীলতার সমতুল্য খারাপ মুখস্ত বিদ্যাকে ত্যাগ করার। এখনো সময় আছে আমাদের হাতে আমাদের চিন্তা শক্তি ভাবনা শক্তিকে বাচিয়ে রাখার। এখনো সময় আছে আমাদের শুধু চাকরী নির্ভর শিক্ষায় শিক্ষিত না হয়ে, মেধা ও বুদ্ধিমত্তাকে জাগ্রত করে নিজেদের ইচ্ছা শক্তিকে জন্ম দেওয়ার।

আসুন আমরা সবাই মুখস্ত বিদ্যা থেকে বের হয়ে এসে চিন্তা, ভাবনা, মেধা ও মুদ্ধুমত্তাকে কাজে লাগাই। চাকরী নির্ভর শিক্ষিত না হয়ে স্ব-শিক্ষিত হই চিন্তা, ভাবনা, মেধা ও মুদ্ধুমত্তার জোরে। যে শিক্ষা আমাদেরকে উদ্যেগতা বা উদ্ভাবক হতে শিখাবে। আমাদের অন্তরে সাহস জোগাবে। যেই উদ্যেগক বা উদ্ভাবনা আর সাহসিকতায় গড়ে তুলতে পারবো হাজার হাজার বেকারের কর্মক্ষেত্র। হ্রুদ করতে পারবো বেকারত্বের হার। দেশে সমাজ আর পরিবারের বোজা না হয়ে হবো দেশ সমাজ আর পরিবারের গর্বিত সন্তান। সবার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা।

মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৭

চ্যাটে মেয়ে বন্ধুটিকে বললাম - গল্প শুনবে?


চ্যাটে মেয়ে বন্ধুটিকে বললাম - গল্প শুনবে?


সে বললো - বলেন????
তারপর আমি শুরু করলাম গল্প বলা-
একটা মেয়ে ফেইসবুকে একজন ছেলের সাথে মন বিনিময় করতে লাগলো। মেয়েটি ছেলেটিকে পরীক্ষা করার জন্য অন্য নামের আরেকটা আইডি দিয়ে ছেলেটিকে পরীক্ষা করতে লাগলো।


পরে???
ছেলেটি মেয়েটির ফেইক আইডিতে মেয়েটির সাথেও প্রেম বিনিময় করতে লাগলো। মেয়েটি বুঝে গেল ছেলেটি নকল প্রেমিক।

বুধবার, ২৯ মার্চ, ২০১৭

আমি মানুষ নই, মানুষের রূপধারী ওরিজিনাল বাংলাদেশি কুকুর


আমরা প্রতিদিন নতুন কতো কিছু দেখছি আর নতুন কতো কিছু শিখছি। এইতো আজ দেখলাম ডাস্টবিনের মোড়ে চার পাঁচটা কুকুর খাবার নিয়ে কাড়াকাড়ি করছে। কুকুরগুলি কিছুক্ষণ পর নিজেরা নিজেরা খাবার নিয়ে ঝগড়া লেগে একটি কুকুর আরেকটিকে কুকুরকে তাড়িয়ে দিচ্ছে। এভাবে একটি কুকুর আরেকটা কুকুরকে তাড়াতে তাড়াতে সবগুলি কুকুর চলে গেল।
কিন্তু না এখানে দেখার বা শেখার শেষ নয়। এখানেই শুরু।

রবিবার, ২২ জানুয়ারী, ২০১৭

রিপা আজো জানতে পারলোনা

ভেবে ছিলাম সেদিন নতুন কার'টা কিনে রিপাকে চমকে দেব।
কিন্তু না আমি রিপাকে চমকাতে পারিনি।
তার আগেই রিপা আমাকে চমকে দিল নতুন গাড়িতে চড়ে হবু বরের সাথে এসে আমায় তার বিয়ের কার্ডটি দিয়ে।

আমি সেদিন শুধু চমকাইনি, চিরতরে স্থব্দও হয়ে গিয়ে ছিলাম।
হারিয়ে ফেলেছিম চিরতরে বাকশক্তি।
রিপা বিন্দুমাত্র সে দিকে খেয়াল করেনি।
সেদিনের পর থেকে আজ বার বছর পর্যন্ত রিপা জানতে পারেনি আমি চিরতরে বাকশক্তিহীন।
কারন এই বার বছর ধরে আমার আর তার কোন দিন দেখা হয়নি। এবং কি আমাকে সে কোন দিন মোবাইলে একটা কল পর্যন্ত দেয়নি। আমিও কোন দিন কল দেইনি আমি আগের মতো আর কথা বলতে পারিনি বলে।
এই বার বছর ধরে আমার সেই মোবাইল নাম্বার আজো সচল রেখেছি রিপার একটি মাত্র কলের অপেক্ষায়।

রিপা আজো জানতে পারলোনা


ভেবে ছিলাম সেদিন নতুন কার'টা কিনে রিপাকে চমকে দেব।
কিন্তু না আমি রিপাকে চমকাতে পারিনি।
তার আগেই রিপা আমাকে চমকে দিল নতুন গাড়িতে চড়ে হবু বরের সাথে এসে আমায় তার বিয়ের কার্ডটি দিয়ে।
আমি সেদিন শুধু চমকাইনি, চিরতরে স্থব্দও হয়ে গিয়ে ছিলাম।
হারিয়ে ফেলেছিম চিরতরে বাকশক্তি।
রিপা বিন্দুমাত্র সে দিকে খেয়াল করেনি।
সেদিনের পর থেকে আজ বার বছর পর্যন্ত রিপা জানতে পারেনি আমি চিরতরে বাকশক্তিহীন।
কারন এই বার বছর ধরে আমার আর তার কোন দিন দেখা হয়নি। এবং কি আমাকে সে কোন দিন মোবাইলে একটা কল পর্যন্ত দেয়নি। আমিও কোন দিন কল দেইনি আমি আগের মতো আর কথা বলতে পারিনি বলে।
এই বার বছর ধরে আমার সেই মোবাইল নাম্বার আজো সচল রেখেছি রিপার একটি মাত্র কলের অপেক্ষায়।

শনিবার, ১৬ জুলাই, ২০১৬

"ঘুরে এলেম তিলোত্তমা হাতিয়া" ঈদ ভ্রমন কাহিনী


প্রায় প্রতি ঈদের রাতেই বাসা পালিয়ে মায়ের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যাই বাংলার প্রকৃতি ইতিহাস সংস্কৃতির কাছে মায়ার টানে। ঘুরে বেড়ানো আমার সব চেয়ে প্রিয় ভাললাগা। ছয় বছর আগেও হারিয়ে যাওয়া সুখ পাখি সুরঞ্জনাকে নিয়ে ঘুরে বেড়াতাম ঢাকা ও তার আশে পাশের প্রকৃতি ইতিহাস আর সংস্কৃতির খোজে। এখনো বদলায়নি আমার সেই ভাললাগাটা। যদিও বদলে গেছে জীবনের পথ রেখা। সুযোগ পেলেই মায়ের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যাই  বাংলার প্রকৃতি ইতিহাস ঐতিহ্য সংস্কৃতির কাছে মায়ার টানে। এবারের ঈদেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বাসা থেকে বিকেলে বের হয়ে গেলাম মা’কে রথ মেলায় যাচ্ছি বলে। যদিও রথ মেলায় সত্যি যাচ্ছি। কিন্তু রথ মেলার পরে কোথায় যাবো তা তো আর মাকে বলে আসিনি। আর বলব বা কি করে আমি নিজেই তো জানিনা কোথায় যাবো আজ রাতে। তবে পালাবো যে সেটা আমি আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলাম।

সোমবার, ৩০ মে, ২০১৬

তুমি আমার মা-মনি হবে


রিপা আজ ফোন করে বললেন একটু আসতে পারবেন?
আমি বললাম কোথায়?
রিপা বললেন নদীর পারে।
আমি বললাম আসাটা কি খুব জরুরী?
রিপা বললেন অনেকটা জরুরী বটে।
আসলে সত্যি অনেক খুসি হবো।
আমি বললাম ওকে আসছি ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন।

রবিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৬

সুরঞ্জনা ফিরে এসেছে


(১)
আজ আমার মেয়ে কথা আমাকে বলেছে "পাপ্পা আজ আসার সময় আমার জন্য একটা মা-মনি নিয়ে আসবে কেমন"? সানজিদার মা-মনির মতো পচা মা-মনি আনবেনা কিন্তু। বর্ণ ভাইয়ার মা বৃষ্টি আন্টির মতো একটা সুন্দর ও লক্ষি মা-মনি আনবে। না না বৃষ্টি আন্টির চেয়ে অনেক অনেক বেশী বেশী সুন্দর ও ভাল মা-মনি আনবে কেমন?

আমার মেয়েটা হয়তো ভেবেছে মা-মনি বাজারের আইসক্রিম বা চকলেটের মতোই, টাকা থাকলেই কিনে নেওয়া যায়। তাই সে আজ আইসক্রিম চকোলেটের বধলে মা-মনির নিয়ে যেতে বায়না ধরেছে। যদিও সে প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের চকলেট, আইসক্রিম, আরো কতো কি বায়না ধরে। কিন্তু আজ শুধু একটাই বায়না ধরেছে বলেই আমি ধিদায় পরে গেছি। নিজেই নিজের কাছে এখন প্রশ্ন বিধ্য। আজ মেয়েটার জন্য কি নেব? চাইলেই তো আর তার জন্য আমি মা-মনি নিয়ে যেতে পারিনা। তবে কি আজ আর আমার ঘরে ফেরা হবেনা। তবে কি এই পিচঢালা পথে পথে হেটে রাতটা কাঠিয়ে দিতে হবে আমার।

রবিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১৬

প্রেমিক মাতাল আর বেঁচে নেই


সুরঞ্জনা তুমি কি ছিনতে পারছনা আমায়?
সুরঞ্জনা মুখের ইশারায় না উত্তর দিল।
তোমার মনে নেই আমাকে? আমি সেই যার হাত ধরে তুমি পালাতে চেয়েছিলে একদিন।
তোমার মনে নেই আমাকে? আমি সে যাকে তুমি ভালবেসে ছিলে তোমার চাইতে বেশী।
সে আবার মুখের ইশারায় না উত্তর করলো।
কি এখনো মনে পরছেনা? এখনো মনে পড়ছে না আমাকে তোমার?
অহ বুজেছি তুমি ইচ্ছে করেই আমাকে না চেনার ভান করছ।
সে আবারো ইশারায় না করলো।
কি ভান করছ না তুমি। তবে কি সত্যি আমাকে ভুলে গেছ?
একেবারেই ভুলে গেছ?

আজ ক্ষুধার্ত কুকুরের মতো খুজবে সুরঞ্জনাকে


(১)
সকালে রাতের ডিউটি সেরে বাসায় ফিরছেন সুফিয়া বেগম। উনি সরকারী হাসপাতে চাকুরী করেন বিগত ২৪ বছর ধরে। সাধারন তো সকল হাসপাতাল গুলিতে তিন সিফটে ডিউটি হয়। সকাল বিকাল আর রাত। তিনি আজ রাতের ডিউটি সেরে বাসায় ফিরে উনার ছোট মেয়েকে জিজ্ঞেস করলেন নীড় কোথায় রে?
লাকিঃ ভাইয়া তো তুমি ডিউটি তে যাবার পর আসছি বলে বাহিরে গেল আর রাতে ফিরলনা।
মাঃ বলিশ কি? আমায় রাতে ফোন করে জানালিনা কেন?
লাকীঃ ভাইয়া যাওয়ার পর থেকে মোবাইলটা ও খুজে পাচ্ছিনা। পাশের বাসার ভাবির মোবাইল থেকে কল দিয়েছিলাম কিন্তু বন্ধ পেলাম।
মাঃ আজ কয় তারিখরে লাকী?
লাকীঃ কেন মা আজ তো এপ্রিলের ১৪ তারিখ?

সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

বোকা খোকা






আমার মা'য় কয় আমি খুব বোকা।

আপনারাই কন তো আমি কি বোকা নাকি?
আমার মা'য় তো আর জানেনা আমি যে প্রায় মায়ের পকেট মারি।
জানলে ঠিকি আর আমায় বোকা কইতো না।
বুজতো আমি কত্ত চালাক।
এক দিন মা'য় আমারে আবার বোকা কইলো।
আমি রেগে গিয়ে মাকে কইলাম, আমাকে আর বোকা কইবানা মা।
আমি মোটেও বোকা না।

বৃহস্পতিবার, ৪ জুন, ২০১৫

পাশান পুরের পাশাণি


আজ তোমাদের এক পাশাণ পুরের পাশাণ পুরির গল্প শোনাবো।
দাদু পাশাণ পুর কোথায়?
বুকের ভিতর একটা হৃদয় থাকে,আর সেই হৃদয়ের ভিতরেই থাকে পাশাণ পুর।
দাদু তাহলে পাশাণ পুরি কে?
পাশাণ পুরি হচ্ছে পাশাণ পুরের রাণী।
দাদু রাণীর নাম কি?
জানতো দাদুরা রাণিরা এমনিতেই সুন্দরী হয়।
পাষাণ পুরের রাণী তার চেয়েও অনেক সুন্দরী ছিল।
তার নামটা তার মতোই সুন্দর।
ছন্দা বিরক্ত বোধ নিয়ে আবার বলল দাদু রাণীর নামটা তো বলবে?
ছন্দার সাথে তাল মিলিয়ে নিলিমা, জান্নাত, শাওন, রকি, ফাহিম, রাব্বি, রাফি, রায়হান সহ সব গুলি চিৎকার দিয়ে বলল
দাদু তারাতারী রাণীর নামটা বলোনা?
কয়েক মুহূর্ত নিরব থেকে দীর্ঘ একটা নিঃশ্বাস ফেলে বললাম "সুরঞ্জনা"।
বাচ্চাগুলি জানিনা কি বোঝে চিল্লাচেচামেচি করে একসাথে বলে
উঠলো সুরঞ্জনা সুরঞ্জনা সুরঞ্জানা।
আমিও কেনো জানি নিরব নিথর হয়েই বসে আছি।
একটুও বিরক্ত হচ্ছিনা ওদের চিল্লাচেচামেচিতে।
অজানা কোন এক শক্তি যেনো আমার বাকশক্তি রুদ করেছে।
আমি কোন কথা বলতে পারছিনা।
ধমকের শুরে বলতে পারছিনা এই তোরা থামবি এবার।
ছাদের সিঁড়ি ঘরের দরজা খুলে বড় বউমা ছাদে এসেই চিৎকার দিয়ে বললো
ঐ তোরা থামলি নাকী আমি......
এবার ছাদটা নিরব হয়ে গেল।
নিরব হয়ে গেল আমার দাদু গুলি আর আমার ভাঙ্গল নিরবতা।
আমার বড় বউ মাকে আমার নাতি নাতনিরা খুব ভয় পায়।
যদিও কখনো বাচ্চাদের গায়ে হাত তুলেনা।
আমিও কিন্তু বড় বউমাকে একটু একটু ভয় পাই।
যদিও কাউকে বোঝতে দেইনা।
পর পর করে আরো তিন ছেলের বউ ও চার ছেলে ছাদে চলে এলো।
মেঝ বউমা বাচ্চাদের ধমকের সুরে বললো এই তোরা এতো চিল্লাচেচামাচি করছিস কেন?
জান্নাত কোন সময় ব্যয় না করেই বলে উঠলো জানো মেঝমা দাদুনা আমাদেরকে
পাশাণ পুরের পাশান পুরির গল্প শোনাচ্ছে।
কি যেনো পাশান পুরের পাশাণি রাণীর নাম ভুলে গেছি?
বলতে না বলতেই আমি জান্নাতের মুখে টিপ দিয়ে ধরলাম।
কিন্তু কাজ হলোনা।
সব গুলি সেই আগের মতোই চিৎকার দিয়ে বললো সুরঞ্জনা সুরঞ্জনা সুরঞ্জনা।
(২)
আমি খানিকটা লজ্জা পেয়ে মাথা নুয়ে বসে রইলাম।
বড় বউমা বললো এই তোরা কিন্তু আর চিল্লাচেচামেচি করবিনা।
দাদুর সাথে গল্প শোনবি শুধু।
ছোট বউমা বললো চলেন ভাইয়া, ভাবি আমরা নিচে যাই।
ছেলে,ছেলের বউরা চলো চলো বলে সবাই সিডির দরজা লাগিয়ে দিয়ে নিচে চলে গেল।
আমিও হাপ ছেড়ে বাচলাম।
এবার রাব্বি বলতো দাদু পাশাণ পুরির গল্পটা বলো এখন।
সব গুলি আবার এক সাথে চিৎকার দিতে গেল।
আমি দুই ঠোঁটের মাঝে তর্জনী আঙ্গুল রেখে বললাম বড় মা আবার চলে আসবে।
সব গুলি চুপসে গেল।
রকি কানে কানে বললো দাদু বলনা এখন।
হ্যা বলছি বলে আবার শুরু করলাম।
পাশাণ পুরির রাণীর প্রেমিকের নাম ছিল প্রেমিক মাতাল।
সব গুলি একসাথে হে হে করে হেসে উঠলো।
আমি বললাম এই তোরা হাসলি কেন?
রাফি বলল দাদু প্রেমিক মাতাল আবার নাম হয় নাকী।
রায়হান বলল দাদু এটা আবার কেমন নাম।
ছন্দা কিছু বলতে যাচ্ছিল,আমি থামিয়ে দিয়ে বললাম প্রেমিক মাতাল
হচ্ছে পাশাণ পুরের পাশাণী রাণীর দেওয়া নাম।
তবে প্রেমিক মাতালের ভাল একটা নামও কিন্তু আছে।
জান্নাত বললো ভালো নামটা কি দাদু বলনা?
আমি বললাম এখন যেহেতু পাশাণ পুরির পাশাণীর গল্প বলছি,
সেহেতু প্রেমিক মাতাল নামেই আমি গল্পটা শেষ করবো
গল্পের শেষে তোমাদের প্রেমিক মাতালের নাম বলবো।
প্রেমিক মাতালের ভাল নাম আমার বলা লাগবে না,
তোমরাই তখন বুদ্ধি খাটিয়ে জেনে নিতে পারবে।
সবগুলি এক সাথে হাত তালি দিয়ে উঠলো।
আমি আবার দুই ঠোঁটের মাঝে তর্জনী আঙ্গুল রেখে বড় বউমার ভয় দেখালাম।
তাই হাততালি বন্ধ হয়ে গেলো।
জান্নাত ফিস ফিস করে বললো দাদু তুমি তারাতারী গল্পটা বলো
আমি প্রেমিক মাতালের ভাল নাম সবার আগে বলতে পারবো।
ছন্দা ও একী কথা বললো আমি প্রেমিক মাতালের ভাল নাম সবার আগে বলতে পারবো।
সব গুলি আবার এক সাথে চিৎকার দিয়ে বলতে যাচ্ছিল, আমি আগের মতোই থামিয়ে দিলাম।
(৩)
আমি আবার গল্প বলতে লাগলাম।
সুরঞ্জনা ছিল ঢাকার মেয়ে আর প্রেমিক মাতাল সিলেটের।
সুরঞ্জনা তার ভাবির চাকরির সুবাদেই সিলেটে বেড়াতে এসেছিল।
আর প্রেমিক মাতাল ছিল সুরঞ্জনার ভাবির আফিস এলাকার ছেলে।
খুব চঞ্চল আর ফাজিল ও ছিল।
সেই অফিসের সবার সাথে প্রেমিক মাতালের খুব সু-সম্পর্ক ছিল।
প্রতিদিন অসংখ্য বার প্রেমিক মাতাল সেই অফিসে যাওয়া আসা করতো।
সুরঞ্জনার ভাবি থাকতেন অফিসের পাশেই মহিলা হোস্টেলের একটি রুমে।
সুরঞ্জনা সিলেটে বেড়াতে এসে তার ভাবির সাথেই থাকতো।
প্রেমিক মাতাল সেই মহিলা হোস্টেলেও বিনা পারমিশনে যাওয়া আসা করতে পারতো।
আর এই যাওয়া আসা করেই সুরঞ্জনার সাথে প্রেমিক মাতালের পরিচয়।
এক সময় পরিচয় থেকে হালকা প্রেম ভালবাসা জন্মায় দুজনার মনে।
কদিন আগেই দুজন দুজনার সাথে স্বাভাবিক কথা বলতো।
কিন্তু কয়েক দিন ধরে দু-জন, দু-জনকে দেখলে কেমন যেন লজ্জা বোধ করতো।
আর সেই লজ্জা বোধটাই তাদেরকে তাদের ভালবাসার জানান দিল।
হয়ে গেল দুজন প্রেমিক যোগল।
প্রেমিক মাতাল সুরঞ্জনার কাছ থেকে তার ভাবির মোবাইল নাম্বারটা খুজে নিতে লজ্জা পাচ্ছিল।
তাই শত কৌশলে ভাবির মোবাইল নাম্বারটা সংগ্রহ করে নিলো।
শুরু হলো প্রেমিক মাতালের আর সুরঞ্জনার প্রেম কাহিনি।
একদিন সুরঞ্জনা মোবাইলে প্রেমিক মাতালকে বললো, আমি হটাত একদিন তোমাকে না বলে ঢাকা চলে যাবো।
তখন তুমি আমাকে কোথায় খুজে পাবে?
প্রেমিক মাতাল বললো আমার মনের জোরেই তোমাকে খুজে নেবে।
সুরঞ্জনা বললো দেখবনে কি ভাবে আপনি আপনার মনের জোরে আমাকে খুজে নেয়।
প্রেমিক মাতাল ও বললো দেখ ঠিকি খুজে নিব।
সকালে চা নাস্তা সেরে প্রেমিক মাতাল সুরঞ্জনার ভাবির অফিসের দিকে রওয়ানা দিলো।
হাসান অর্থাৎ প্রেমিক মাতাল আর সুরঞ্জনা পিয়ন দৌড়ে এসে হাপাতে হাপাতে বললো ভাই ভাই
সুরঞ্জনা আপু তো চলে গেছেন।
প্রেমিক মাতাল পুরোপুরি ঠিক না বুঝতে পেরে আবার জিজ্ঞেস করলো, কে কোথায় গেছে?
হাসান আবার বললো সুরঞ্জনা আপু ঢাকা চলে গেছেন
প্রেমিক মাতালের মাথা চক্কর দিয়ে উঠলো।
বুকের ভিতর কেমন যেন একটা ব্যথা মুচড় দিল।
নিজেকে স্বাভাবিক রেখে প্রেমিক মাতাল অফিসের দিকে না গিয়ে অনেক গুলি সিগারেট সাথে নিয়ে
পাহাড়ের অর্থাৎ চা বাগানের দিকে চলে গেল।
কয়েক দিনে প্রেমিক মাতাল অনেক পাল্টে গেলো।
সেই চঞ্জল ছেলেটা নম্র ভদ্র হয়ে গেল।
ভুলে গেল ফাজলামি, আর মেয়েদের কে টিচ করা।
অকারনে কোন কথা বলে না কারো সাথে।
অধিকাংশ্য সময় একা একা কাটায়। হয়তো পাহাড়ের উপর নয়তো বনে জঙ্গলে।
পাচ ওয়াক্ত নামাজ পরে।
প্রেমিক মাতালের মা বোন বন্ধু বান্ধব কেই-ই নিজেদেরকে বিশ্বাস করাতে পারছেন না
যে এই প্রেমিক মাতাল সেই প্রেমিক মাতাল।
সবাই খুজ নিয়ে জানতে পারলেন প্রেমিক মাতালের বধলে যাওয়ার আসল কারণ।
তাতে কেউ-ই অখুশিনা।বরং সবাই খুসি-ই।শুধু কয়েক জন বন্ধু বাদে।
চলতে থাকলো দিন এই ভাবেই।
হটাত একদিন আছরের নামাজ পড়ে প্রেমিক মাতাল মসজিদের বাহিরে আসতেই
পকেটের মোবাইলটা বেজে উঠলো।
অচেনা একটা মোবাইল নাম্বার থেকে কল এসেছে।
প্রেমিক মাতাল কলটা রিসিভড করতে গিয়ে কেন জানি তার শরিরটা কাপছে।
কাপতে কাপতে কাপতে কল রিসিভড করে বললো হ্যালো।
ওপাশ থেকে হ্যালো বলা মাত্রই লাইনটা কেটে গেল।
প্রেমিক মাতাল শুধু কোন রকম হ্যালো শুনেই বুঝে গেল কে কল করেছিল?
ছন্দা সাথে সাথে বলে উঠলো আমিও বুঝে গেছি কে কল করেছিল?
জান্নাত ও বলতে যাবে এমন সময় সব গুলি একসাথে চিৎকার দিয়ে বললো, সুরঞ্জনা সুরঞ্জনা সুরঞ্জনা।
আমি আবার আঙ্গুলের ইশারায় সবগুলিকে থামিয়ে দিলাম বড় বউ মার ইঙ্গিত দিয়ে।
আমার দাদু গুলি আবারো চুপসে গেলো।
বাব্বি বলবো তারপর কি হলো দাদু।
তারপর প্রেমিক মাতাল খুশিতে আত্বহারা হয়ে তার বুদ্ধি লোপ পেয়ে গেল।
সে বুঝতে পারলো না এখন কি করবে?
তার শরিরটা খুব কাপছিল।
আবার মোবাইলটা বেজে উঠলো।সেই আগের নাম্বারেই কল আসলো আবার।
প্রেমিক মাতাল কাপতে কাপতে মোবাইলটা রিসিভড করে ভাঙ্গা গলায় বললো হ্যালো,কেমন আছো খুকি।
এই প্রথম প্রেমিক মাতাল সুরঞ্জনাকে তুমি করে বললো।
ওপাশ থেকে সুরঞ্জনা বললো হ্যা ভালো। কই আপনার মনের জোর।আমায় খুজে নিতে তো পারলেন না।
প্রেমিক মাতাল বললো এই যে আমার মনের জোরই আজ তোমাকে আমার কাছে নিয়ে আসলো।
বাচ্ছা গুলি এক সাথে হাততালি দিয়ে উঠলো।
আমি আবার ও ইশারায় থামিয়ে দিলাম।
রাফি বললো তারপর কি হলো দাদু?
আমি বললাম তারপর এভাবে চলতে থাকলো প্রেমিক মাতাল আর সুরঞ্জনার প্রেম কাহিনি।
প্রেমিক মাতাল জীবনের প্রথমবার ঢাকা গেলো সুরঞ্জনার সাথে দেখা করতে প্রথম রোজাতেই।
সেহেরি খেয়ে,ফজরের নামাজ আদায় করেই মা’কে ভূলবাল বুঝিয়ে চলে গেল ঢাকার উদ্দ্যেশ্যে।
দুজন দেখা করলো সায়দাবাদ অয়ান্ডা লেন্ড পার্কে।
ছন্দা বলো দাদু পার্কটা বুঝি অনেক সুন্দর।
আমিও বললাম না দাদু ছোট একটা পার্ক।অল্প জায়গায় অল্প কিছু রাইডার।
রাফি আবার বললো তারপর দাদু।
আমি বললাম তারপর প্রতি মাসে দু একবার ঢাকা যেত
প্রেমিক মাতাল সুরঞ্জনার সাথে দেখা করতে।
ওরা ৬ বছরের অনেক জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছে ।
ছন্দা জানতে চাইলো দাদু ওরা কোথায় কোথায় বেড়াতো?
আমি বললাম, রমনা পার্ক, জাদুগর, চারুকলা, টি.এস.সি মোড়, জিয়া উদ্যান,
সংসদ ভবন, বোটানিকেল উদ্যান, চিরিয়াখানা, স্মৃতিসৌধ, লালবাগ কেল্লা, আহসান মঞ্জিল,
সদর ঘাট, পোস্তগোলা ব্রিজ, শ্যামপুর ঘাট, পাগলা বাজার মেরি এন্ডারসন ভাসমান রেস্তোরা ও পার্ক,
বসুন্ধরা রিভার ভিউ প্রজেক্ট, সোনারগাঁ জাদুগর সহ অনেক জায়গায়।
ছন্দা মাথায় হাত দিয়ে বললো দাদু এতো জায়গায় ঘুরে বেড়াতো।
আমি বললাম হ্যা দাদু।
(৪)
নীলিমা জিজ্ঞেস করলো দাদু ৬ বছর কেনো দাদু।
আর কি ওরা ঘুরে বেড়ায়নি?
আমি বললাম ওদের সম্পর্কটা ৬ বছর-ই স্থায়ী ছিলো যে।
৫জুন সুরঞ্জনার জন্মদিনের দিন ওদের সম্পর্কের ইতি ঘটে।
জান্নাত প্রশ্ন করলো ওদের সম্পর্কটা ভাংলো কি করে দাদু?
আমি আবার বলতে লাগলাম,তোমরা ছোট মানুষ সেটা তোমরা নাইবা জানলে আজ।
জান্নাত আবার বললো কিন্তু দাদু.....................
আমি থামিয়ে দিয়ে বললাম কোন কিন্তু নয় দাদু।
আর যদি জানার খুব ইচ্ছা থাকে তবে বড় হয়ে মা বার কাছ থেকে জেনে নিও।
রাফি বললো দাদু আব্বু আম্মুও কি “পাষাণ পুড়ের পাষাণীর গল্পটা জানেন।
আমি বললাম হ্যাঁ জানে।
রকি বললো তারপর কি অদের কি হলো দাদু?
আমি আবার বলতে লাগলাম,ওদের সম্পর্ক বিচ্ছেদের প্রায় দের বছর পর
প্রেমিক মাতাল ঢাকা গিয়ে জানতে পারে সুরঞ্জনা বিয়ে করেছে।
এখন সে প্রেগনেট।
জান্নাত কি বুঝে না বুঝে বলে উঠলো ইয়া মাবুদ।
আমি বিস্মিত চোখে ওর দিকে তাকালাম।
দেখলাম ওর চোখের কোনে আশ্রু জমে ছলছল করছে।
জান্নাত বললো তারপর কি হলো দাদু?
তারপর প্রেমিক মাতাল স্বপ্ন দেখতে ভুলে গেলো।
ভুলে গেলো আপন জীবন কে ভালবাসতে।
প্রেমিক মাতালের মা-ই ছিলেন প্রেমিক মাতালের একমাত্র পৃথিবী।
তিনিও একদিন চলে গেলেন তাকে ছেড়ে।
বাবা সেই শৈশবেই চলে গিয়ে ছিলেন।
রাফি বললো তাহলে তো দাদু প্রেমিক মাতাল একেবারেই একা হয়ে গেলো।
কেউ আর রইলোনা তার।
আমি বললাম, তা না ,ওর দুইটা বোন ছিলো।খুব ভালো ঘরেই বিয়ে হয়েছে।
কিন্তু প্রেমিক মাতালের মা যখন ওকে ছেড়ে পৃথিবী থেকে চলে যান,তখন সে ওর জন্য রেখে যাওয়া
মায়ের জায়গা জমি বিক্রি করে অন্যথায় চলে যায়।
তাই আর ভাই বোনের কোন দেখা শুনা হয়নি।
জান্নাত বললো দাদু প্রেমিক মাতাল কি আর বিয়ে করেনি?
আমি বললাম না দাদু সে আর বিয়ে করেনি।
নতুন জায়গায় যাওয়ার পর ৫ জুন তারিখে প্রেমিক মাতাল দেখলো
একটা ছোট্ট ছেলে শিশু রাস্থায় বসে কান্না কাটি করছে।
শিশুটাকে দেখে প্রেমিক মাতালের মায়া হলো
নিয়ে আসলো তার সাথে।
বছর খানিক লালন পালন করলো মা বাবার মতো আদর স্নেহ করে।
ঠিক এই ভাবে প্রতি বছর ৫জুন এতিমখানা বা রাস্থায় কুরিয়ে কুরিয়ে একজন একজন করে
সাত জন ছেলে মেয়ে নিয়ে আসলো।
তিন জন ছেলে আর চার জন মেয়ে।
তারপর বদলে গেলো আবার প্রেমিক মাতালের জীবনের গল্প।
এখন প্রেমিক মাতালের পরিবারের সদস্য অনেক।
সব ছেলে মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দিছে।
অনেক গুলি মিষ্টি নাতি নাতনি আছে প্রেমিক মাতালের।
(৫)
জান্নাত বললো দাদু আমি মনে হয় প্রেমিক মাতালকে চিনতে পেরেছি।
আমি মুচকি হাঁসি দিয়ে বললাম কি ভাবে চিনলে দাদু?
জান্নাত খুব উৎসুক হয়ে বললো, সুরঞ্জনার জন্মদিন ৫জুন,মানে আজ রাত বারোটার পর।
আমি বললাম হ্যা।
জান্নাত বললো তার মানে আজ কেক কেটে সুরঞ্জনা ও প্রেমিক মাতালের ছেলে মেয়ের জন্মদিন পালন হবে।
কারণ কুড়িয়ে পাওয়া ছেলে মেয়েদের সঠিক জন্ম তারিখ জানা থাকে না।
যেহেতু ৫জুন কুড়িয়ে আনা হয়েছে, সেহেতু ৫জুন ই ওদের জন্মদিন পালন হয়।
আমি বিস্মিত চোখে ছোট্ট জান্নাতের চোখের দিকে তাকিয়ে বললাম হ্যা দাদু।
জান্নাত রাফিকে কানে কানে কি বলে যেন নিচে পাটিয়ে দিল।
আমি সেদিকে তেমন একটা খেয়াল করলাম না।
জান্নাত বললো, নিশ্চয়ই প্রেমিক মাতাল এখন নাতি নাতনির সাথে ছাদে বসে গল্প করছে।
আর ছেলে মেয়েদের জন্মদিনের কেক নিয়ে ছাদে আসার অপেক্ষা করছে।
আমি হ্যা সূচক উত্তর দিলাম।
জান্নাত তার হাতের ঘরির দিকে তাকিয়ে,তারপর আমার সব গুলি নাতি নাতনির মুখের দিকে থাকিয়ে
ঘোসনা স্বরূপ বললো আমার প্রিয় ভাই বোনেরা আর দুই মিনিট পরেই আমরা আমাদের প্রেমিক মাতালকে
চিনতে পারবো।
নানি নাতনি গুলি একেক জন একেক জনের মুখের দিকে তাকিয়ে ফিসফিস করে বলতে লাগলো কে কে প্রেমিক মাতাল।
কে প্রেমিক মাতাল।
আমি অবাক চোখে তাকিয়ে আছি জান্নাতের দিকে।
জান্নাতের চোখ জোরা যেন পূর্ণিমার চাঁদের মতো আলো ছড়াচ্ছে।
ঠোট জোরাতে বিজয়ের হাঁসি।
সবাই ফিসফাস করলেও জান্নাত নিরবে আমার দিকেই তাকিয়ে আছে।
আমি তার দিকে তাকিয়ে।
হটাত ছাদের গেইট খোলার শব্দে সব গুলি নাতি নাতনি চুপ হয়ে গেলো।
দ্যান ভাংলো আমার আর জান্নাতের।
আমার ছেলে মেয়ে ও ছেলের বউ,মেয়ের জামাইরা জন্মদিনের কেক হাতে নিয়ে আমার কাছে আসলো।
ছোট মেয়ের জামাই আমার সামনে টি টেবিল খানা রেখে,তার উপর কেকটা রাখলো।
আমি টেবিলের একপাশে আর আমার নাতি নাতনি ছেলে, মেয়ে, মেয়ের জামাই, ছেলের বউরা অন্য পাশে।
আমি সবার দিকে থাকিয়ে দেখি জান্নাত সবার কানে কানে কি বলছে।
আমি জান্নাত কে ডেকে আমার পাশে আনলাম।
বললাম দাদু তুমি এতক্ষন সবার কানে কানে কি বলছিলে?
জান্নাত বললো তাতো দাদু তোমাকে বলা যাবেনা।
আমি ওহ বলে কেকের দিকে থাকিয়ে দেখি কেকের উপর শুধু
“HAPPY BARTHDAY TO YOU SURONJONA”লিখা।
যেখানে প্রতিবার আমার সাত ছেলে মেয়ের নাম লিখা থাকে।
আমার বুঝতে বাকী রইলোনা এটা জান্নাতের প্লান।
রাফিকে তাই নিচে পাঠিয়েছিল বড় বউ মাকে বলার জন্য।
কারণ কেকটা বড় বউ মা নিজের হাতে বানাচ্ছিল তখন।
আমি আর কিছু বললামনা লজ্জা বোধ করে।
আমি জান্নাত কে-ই কেক কাটার জন্য বললাম। সবাই ও আমার সাথে তাল মিলিয়ে
একী কথা বললো।
আমি আরেকটি কথা সবাইকে আবার জানিয়ে দিলাম,
আজ কিন্তু শুধু সুরঞ্জনার জন্মদিন নয়, আমার থেকে চলে যাওয়ার দিনও।
তাই আমি আজ রাতে এখানেই অর্থাৎ ছাদে একা থাকতে চাই।
আশা করি কেউ আমাকে বাধা বা ডিস্টাব করবেনা।
জান্নাত ও রাজী হলো।
জান্নাত ঘোসনা দেওয়ার মতো করে বললো, প্রিয় ভাই বোন প্রেমিক মাতাল কে কে চিনতে পেরেছো?
সব গুলি নাতি নাতনি একসাথে বলে উঠলো আমি আমি আমি।
জান্নাত এবার সবার কাছে জানতে চাইলো কে?
বলা মাত্রই সবাই চিৎকার নিয়ে বলতে লাগলো দাদু দাদু দাদু।
আমি ছেলে মেয়েদের সামনে লজ্জায় কিছুটা মাথা নিছু করে ফেললাম।
জান্নাত আবার বললো, আজ সুরঞ্জনার জন্মদিন। কিন্তু সুরঞ্জনা আমাদের মাঝে উপস্থিত নেই।
তাই আজকের জন্য আমি সুরঞ্জনা হয়ে, সুরঞ্জনার জন্মদিনের কেক কাটতে চাই,যদি দাদু অনুমতি দেন।
আমি মাথা নাড়িয়ে হ্যা সূচক উত্তর দিয়ে জান্নাত কে কোলে নিয়ে ওর হাত ধরে কেক কাটতেই
সবাই চিৎকার দিয়ে বলে উঠলো :HAPPY BARTHDAY TO YOU SURONJONA”.
.........................................................সমাপ্তি..................................................................

সোমবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৫

কেউ এক জন আমায় খুব মিস করছে

সেবার ছিল ২০০৯ সাল।
ঠিক এই দিন রাতেই আমি আমার পাশের বাসার বন্ধু সুলভ বড় ভাইর সাথে ঘুমাতে যাই।
বড় ভাইটা জানতো আমি কাল সকালে ঢাকা যাব তাই দুই হাজার টাকা
আমার হাতে দিয়ে বললো এগুলি আমার কাছে থাকলে খরচ করে ফেলবো।
বরং তোর কাছে রেখেদে।
লাগলে খরচ করিস।
আমি আমার মানিব্যাগে টাকা গুলি রেখে দিলাম।
বড় ভাইটা ঘুমিয়ে পরলো।

এই রাতেই সুরঞ্জনার সাথে মোবাইলে অনেক ক্ষণ কথা হল।
তখন আমি একটা প্রাইভেট ফার্মে কাজ করতাম।
আগামি কাল অফিসে অনেক জরুরি কাজ আছে তাই সুরঞ্জনা আর আমি
সিদ্ধান্ত নিলাম আগামি কাল অর্থাৎ ১লা বৈশাখে সুরঞ্জনার সাথে দেখা
করতে ঢাকা যাবনা।
ঐ রাতেই অনেক ঝড় তোফান শুরু হলো।
তাই মোবাইল ফোনে কথা বলতে শুনতে সমস্যা হওয়ায়
আমরা লাইন কেটে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।

সকাল ৬টায় ঘুম থেকে উঠে তৈরি হয়ে অফিসের উদ্দ্যেশ্যে ছুটলাম।
বাসা থেকে অফিসে হেটে যেতে ১৫ মিনিট লাগতো।
তাই হেটেই যেতাম।
ঘর থেকে বের হতেই সুরঞ্জনাকে খুব মিস করতে শুরু করলাম।
কারণ প্রতিবারই ১লা বৈশাখের আগের রাতেই রওয়ানা দেই ঢাকার উদ্দ্যেশ্যে।
অর্থাৎ সুরঞ্জনার সাথে দেখা করার জন্য।
এই সকাল বেলাতেই দাঁড়িয়ে থাকতাম
সুরঞ্জনার আশে পাশের এলাকায় ওর অপেক্ষায়।
কিন্তু আজ ছুটছি অফিসে।
খুব মিস করছিলাম তাই ওকে কল দিলাম।
ওর সাথে কথা বললাম অফিসের গেইটে পৌছা পর্যন্ত।
অফিসে ঢুকতেই কয়েক জন  কলিগ এসে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন।
জাহিদ সাহেব ও রবিউল সাহেব বলে উঠলেন আপনি আজ কিভাবে অফিসে আসলেন?
আজ তো আপনার অফিসে আসার কথা আমরা চিন্তাই করিনি।
আমি মনমরা হয়ে বললাম না এসে পারলাম না ভাই।
রবিউল সাহেব বললেন কিন্তু কেউ এক জন যে খুব মিস করছেন আপনাকে।
আমি উত্তর দিতে যাবো এমন সময় জাহিদ সাহেব হাজিরা খাতা হাতে নিয়ে এসে বললেন
এসে যখন পরেছেন তাহলে সাইনটা করে নেন।
আমি হাজিরা খাতাটা হাতে নিতেই রবিউল সাহেব মজা করে খাতাটা আমার হাত থেকে কেড়ে নিয়ে বললেন,
আপনার সাইন করা লাগবেনা।
আপনি এখনি ঢাকা চলে যান।
এই মাত্র ঢাকা শব্দটা শুনে আমার বুকের মাঝে মুচড় দিয়ে উঠল।
আমি এক মিনিটের জন্য কোথায় হারিয়ে গেলাম।
জাহিদ সাহেব আমার ঘাড়ে হাত রেখে ঝাঁকি দিয়ে বললেন কি কোথায় হারিয়ে গেলেন।
আমি বর্তমানে ফিরে এলাম।
জাহিদ সাহেব আবার বললেন সাইন করে নিন।
আমি সাইন করবোনা,বলেই জোরে জোরে হাটতে শুরু করলাম।
রবিউল সাহেব পিছন থেকে বললেন কোথায় যাচ্ছেন?
আমি পিছনে তাকিয়ে চিৎকার দিয়ে বললাম
কেউ এক জন আমায় খুব মিস করছে তো তাই চলে যাচ্ছি তার কাছে।
গেইট থেকে বের হতে গিয়ে কিসে লেগে আমার শার্টের হাতের উপরের অংশ অনেকটা ছিড়ে গেল।

রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৪

পথশিশু

(১)
আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে
কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে ?
সেই বাল্যকালের "আদর্শ ছেলে" কবিতা খানা কিছুদিন যাবত
আমাকে বিবেকের কাঠগড়ায় দাড় করিয়ে রেখেছে।
আমি কিছুতেই মুক্তি পাচ্ছিনা নিজ বিবেকের কাঠগড়া থেকে।
কি করে পাবো আমি মুক্তি। আমি যে  কাজে বড় না হয়ে কথায় বড় হয়ে গেছি।

বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৪

মনে পড়ে মন পুড়ে (২য় পর্ব )

সোহানের সাথে এনির পরিচয় মাত্র ছয় মাস আগে।
সোহানের বাবা সরকারী চাকুরীজীবী।
সাত আট মাস আগে বধলি হয়ে এখানে এসেছেন।
উনি এখানে আসার ১০ দিন পর পুরো পরিবার নিয়ে
সরকারী কোয়ার্টারে উঠেন।
আর সোহানকে এনিদের কলেজে ডিগ্রি কলেজে ভর্তি করে দেন।
সেই থেকেই এনির সাথে সোহানের পরিচয়।

বুধবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৪

মনে পড়ে মন পুড়ে (১ম পর্ব )


(১)
এনি দাড়িয়ে আছে কলেজের গেইটে।
কলেজের গেইটটা একেবারেই মেইন রোডের পাশে।
শ্রাবনের দিন। রিমঝিম বৃষ্টি ঝরছে।
এনির বৃষ্টিতে বিজতে খুব ভাল লাগে। বৃষ্টি তার অনেক প্রিয়।

রবিবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৪

রাতের আঁধারের নন্দিনী (৩য় পর্ব)


       আমরা দু জন রওয়ানা দিলাম।
       গাড়ি দুই ঘন্ডা চলার পড়ে আমার ঘুম চইল্লা আইলো। আমি ঘুমাইয়া গেলাম।
       বলেই মনিরা দীর্ঘশ্বাস ফেললো।
       মনির চার ফ্লাক্সে কনুই ঠেকিয়ে দিয়ে থুতনিতে হাত রেখে মনিরার মুখের দিকে তাকিয়ে

রাতের আঁধারের নন্দিনী (২য় পর্ব)

       
        পরথম মাসের বেতনডা লইয়াই আফার লগে আফার বাসায় উডলাম।
        আমরা দুই জন এক লগেই খাইতাম। আফায় ই রান্দা বান্দা করতো।
        আমি হের লগে সাদ দিতাম। আফার রান্দন ভালাই আছিলো।
        খায়া মজা পাইতাম। ভয়ও পাইতাম। আফায় খালি দামি খাওন রান্ত।