রবিবার, ২২ জানুয়ারী, ২০১৭

রিপা আজো জানতে পারলোনা

ভেবে ছিলাম সেদিন নতুন কার'টা কিনে রিপাকে চমকে দেব।
কিন্তু না আমি রিপাকে চমকাতে পারিনি।
তার আগেই রিপা আমাকে চমকে দিল নতুন গাড়িতে চড়ে হবু বরের সাথে এসে আমায় তার বিয়ের কার্ডটি দিয়ে।

আমি সেদিন শুধু চমকাইনি, চিরতরে স্থব্দও হয়ে গিয়ে ছিলাম।
হারিয়ে ফেলেছিম চিরতরে বাকশক্তি।
রিপা বিন্দুমাত্র সে দিকে খেয়াল করেনি।
সেদিনের পর থেকে আজ বার বছর পর্যন্ত রিপা জানতে পারেনি আমি চিরতরে বাকশক্তিহীন।
কারন এই বার বছর ধরে আমার আর তার কোন দিন দেখা হয়নি। এবং কি আমাকে সে কোন দিন মোবাইলে একটা কল পর্যন্ত দেয়নি। আমিও কোন দিন কল দেইনি আমি আগের মতো আর কথা বলতে পারিনি বলে।
এই বার বছর ধরে আমার সেই মোবাইল নাম্বার আজো সচল রেখেছি রিপার একটি মাত্র কলের অপেক্ষায়।

সিগারেট টানতে টানটে তামাক বিরোধী র‍্যালিতে যাওয়া কি এক নয়?


গ্রামীণ ফোন যে হারামীর ফোন তা কারোরই অজানা নয়।
আমি হারামীর ফোন ব্যবহার বাধ দিয়ে দিছি বহু আগেই।
তাই আমি আর গ্রামিনফোনের হারামীগিরির ভূক্তভুগী নই।
আমার মতো অনেকেই এখন এসবের ভুক্তভুগী নন।
কারণ উনারা গ্রামিনফোন ফেলে দিয়েছেন ডাস্টবিনে।

ওড়না নিয়ে কেন এতো টানাটানি?


২০১৭ সালে সরকারের বিনামুল্যে বিতরণকৃত ১ম শ্রেণির পাঠ্য বইতে ও-তে ওড়না চাই দেওয়া নিয়ে কেন এতো আলোচনা সমালোচনা? ওড়না তো কোন ধর্মীয় পোশাক নয়। ওড়না মেয়েদের শালীন পোশাক। নিশ্চয়ই শালীনতা শিক্ষা খারাপ কিছু নয়। যারা এই শালীন শিক্ষা নিয়ে এতো তর্ক বিতর্ক সৃষ্টি করছেন উনাদের বিকৃত চিন্তা ও মানষিকতা কি উনাদেরকে অন্তত একবার উনাদের বিবেকের কাঠগড়ায় দাড় করায়নি? নাকি উনাদের বিবেক এখানে অকার্যকর?

মনান্ধ তুমি


আমি আধারী, আলেয়ায় বসবাস
আশার মৃত্যুতে, আশাহীন নিরাশ।
আধারের পাখির গান শুনা হয়
হয়না কভু দেখা, সে পাখি।
না আমি অন্ধ নই, ঠিক আছি, ঠিক আছে আমার আখি।

মহামানব হতে হলে অবশ্যই সবার আগে মানুষ হতে হবে


কিছু মানুষ অহরত হাজার লক্ষ টাকা অনায়াসে দান করে দেন প্রচার ও প্রসার মূলক কর্মকাণ্ডে। কিন্তু না খেয়ে থাকা নিকটাত্মীয় ভাই বোন পাড়া প্রতিবেশীদেরকে এক বেলা খাবারের ব্যবস্থা করে দেননা। তবুও সমাজ ঐ মানুষের মুল্যায়ন করে দাতা, সমাজ সেবক, ভাল মানুষ, মহামানব হিসেবে। সংবর্ধনা দেওয়া হয় মহা আয়োজনে মহামানবদের, মহামানবদের টাকায়। সেখান থেকে মোটা অংকের একটা অংশ ঢুকে যায় আয়োজকদের পকেটে।

দোয়া করবেন এমন গালি যেন দিন দিন আরো বৃদ্ধি পায়


প্রতিদিনের মতো রাতে পায়ে হেটে বাড়ি ফিরছি। ফুটপাতে ১০ -৩০ টাকার মধ্যে শীতের কাপড় বিক্রী হচ্ছে। প্রতিদিনই ঐ দিকে আমি উঁকি দিয়ে যাই। কেন প্রতিদিন উঁকি দেই সেটা না হয় পরে বলি।আগে গত কালের একটা ঘঠনা বলি। তো কাপড়ের দোকান গুলিতে দেখলাম কোন ক্রেতা নেই। কারন শীতটা খুব কম। তারপর আবার প্রতিদিন এই অল্পদামে শীতের কাপড় বিক্রী হয় বলে প্রায় সবাই শীতের কাপড় কিনে নিয়েছেন।

রিপা আজো জানতে পারলোনা


ভেবে ছিলাম সেদিন নতুন কার'টা কিনে রিপাকে চমকে দেব।
কিন্তু না আমি রিপাকে চমকাতে পারিনি।
তার আগেই রিপা আমাকে চমকে দিল নতুন গাড়িতে চড়ে হবু বরের সাথে এসে আমায় তার বিয়ের কার্ডটি দিয়ে।
আমি সেদিন শুধু চমকাইনি, চিরতরে স্থব্দও হয়ে গিয়ে ছিলাম।
হারিয়ে ফেলেছিম চিরতরে বাকশক্তি।
রিপা বিন্দুমাত্র সে দিকে খেয়াল করেনি।
সেদিনের পর থেকে আজ বার বছর পর্যন্ত রিপা জানতে পারেনি আমি চিরতরে বাকশক্তিহীন।
কারন এই বার বছর ধরে আমার আর তার কোন দিন দেখা হয়নি। এবং কি আমাকে সে কোন দিন মোবাইলে একটা কল পর্যন্ত দেয়নি। আমিও কোন দিন কল দেইনি আমি আগের মতো আর কথা বলতে পারিনি বলে।
এই বার বছর ধরে আমার সেই মোবাইল নাম্বার আজো সচল রেখেছি রিপার একটি মাত্র কলের অপেক্ষায়।

বুধবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১৭

আমারেও নিয়া যারে তুই দে তোর বুকে আমাদের নতুন আবাস

মাদানে মায় কইলো খোকা আমার ভুর করে আয় ভাত নিতাছি থালে
মুখে তুলে খাইয়ে দিমু লক্ষি খোকা বলে।
কপালের ঐ কোনে নজর টিপ দিমু কেউর নজর পরেনা বলে
তোর বাপে তোরে কইছে আজ হাটে নিবো বৈকালে।
বান্দরের মতো নাইচ্ছা নাইচ্ছা নাইতে গেলাম পুসকুনিতে
আয়া দেখি মায় আমার পইরা আছে মাটিতে।

বুধবার, ৪ জানুয়ারী, ২০১৭

একুশত পয়ত্রিশ দিন

তোর বুকের পাজরে যদি আগলে রাখতি আমায়
তবে আর আজ লোকে আমাকে পাগল বলতোনা।
আমাকে নিয়ে উপহাস করতোনা, করতোনা টিটকারী।

আজ যারা মুজিব আদর্শকে বিতর্কিত ও কলঙ্কিত করছেন


এখন দেশে নেতার অভাব নেই। পথে ঘাটে যথাযথা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন অহতর নেতা। সব নেতাদের একটাই দাবী তারা নিজেরা মুজিব আদর্শের লড়াকু সৈনিক। কিন্তু আজ পর্যন্ত অন্তত একজন নেতাকে "মুজিব আদর্শ কি" সেটা নিয়ে কোন আলোচনা করতে দেখা যায়নি। সম্ভব উনারা নিজেরাই জানেন না মুজিব আদর্শ আসলে কি?
না আমি এর উত্তর দিচ্ছিনা। যারা নিজেদেরকে মুজিব আদর্শের লড়াকু সৈনিক দাবী করেন তারাই যখন এর উত্তর আজ পর্যন্ত দিতে পারেননি আমার মতো অজ্ঞ মূর্খের পক্ষে এমন প্রশ্নের উত্তর দেওয়া কল্পনাহীন।