শনিবার, ২৫ জুন, ২০১৬

মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী, জানি তখন আপনার একটুও লজ্জাবোধ হবেনা


মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী আপনি এসে দেখে যান আপনার সোনার ছেলে মেয়েরা
সায়েন্সে এ-প্লাস পেয়েও কোন ভাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেনা।  অবশেষে বাধ্য হয়ে জবাই হচ্ছে কসাইদের হাতে অর্থার শিক্ষাকে বাণিজ্য রুপ দেওয়া প্রাইভেট কলেজ গুলিতে। আর যারা গরিব তাদের আর হয়তো টাকার অভাবে কসাইদের হাতে জবাই অর্থার শিক্ষাকে বাণিজ্য রুপ দেওয়া প্রাইভেট কলেজ গুলিতে এ বছর আর সায়েন্স নিয়ে ভর্তি হওয়া হবেনা টাকার অভাবে। আগামী বছর হয়তো তারা তাদের প্রিয় বিষয় সায়েন্স ত্যাগ করে অন্য কোন বিষয় নিয়ে আবার আবেদন করবে। আর না হয় বাবা মা (মেয়ে)  বিয়ে দিয়ে দেবে অথবা (ছেলে) কোন মেকানিক ওয়ার্কশপে। ইতি হবে আপনার সোনার ছেলে মেয়ের শিক্ষা জীবন।

মঙ্গলবার, ২১ জুন, ২০১৬

আমারে চুর বানায়া দিয়াছে চৌদ্দ শিখে বড়ি


বেকুব আমি বেকুব আমার মন
বেকুরির মাঝেই আমার জীবন
কিসের চিন্তা ভাবনা যত্বসব খেতা পুড়ি
আমি তো করিনি কভু কারো মাথা চুরি
ঐ শালা চুর দেখেননা তার কত্ব বড় বুড়ি
আমারে চুর বানায়া দিয়াছে চৌদ্দ শিখে বড়ি।

রবিবার, ১৯ জুন, ২০১৬

আমার বাবা নেই তাই আমার বাবা দিবসও নেই


আমার বাবা নেই তাই আমার বাবা দিবসও নেই।
আমি জানীনা আমার বাবাকে কি বলে ডাকতাম।
আব্বা আব্বু বাবা পাপ্পা নাকী অন্য কিছু কিচ্ছু জানীনা।
অথবা ডাকতে শিখেছিলাম কিনা তাও জানী।
আমি শুধু জানী রাতে আমার বাবা আমার জন্য নতুন এক জোরা জুতা কিনে নিয়ে এসেছেন।
আমি সেটা নিয়েই সকাল বেলা ঘরের বারান্দায় খেলছিলাম। অনেকে মিলে আমার বাবাকে বাসার উঠানে গোসল করাচ্ছিলেন। মা ঘরের ভিতরে কাদছিলেন। তারপর পাড়াপড়শি মিলে চার পায়ের একটা দোলনা এনে বাবাকে দোলনায় চড়িয়ে কোথায় নিয়ে গেলেন।
তারপর আর তারা আমার বাবাকে ফেরত আনেননি। বাবা নিজেও আর ফেরত আসেননি।
বড় হয়ে আমি বুঝতে পারলাম উনারা সেদিন আমার বাবাকে কোথায় নিয়ে গিয়েছিলেন?
কেন উনারা বাবাকে ফেরত আনেননি কেনই বা আর ফেরত আসেননি?
বাবাকে নিয়ে আমার আর কোন গল্প নেই। বাবার শেষ দিনটাই আমার কাছে বাবার জীবনের প্রথম এবং শেষ গল্প।
সবাই আমার সেই বাবাটার জন্য দো"আ করবেন যেই বাবাটাকে আমি কি বলে ডাকতাম জানীনা। বাবাটা যেন ভাল থাকে অনেক অনেক ভাল থাকে সেই দোয়াই সবাই করবেন প্রাণ খুলে। সব বাবাদের জন্য ভালবাসা রইলো রইলো সালাম ও সম্মান।

শনিবার, ১৮ জুন, ২০১৬

সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি- মানবতায় এগিয়ে যাক বাংলাদেশ


আসছে আনন্দের ঈদ। সবাই নতুন ঈদের জামা কিনবে। কেউ এক সেট, কেউ দুই সেট, কেউ বা তারও অধিক। ঈদের দিন আনন্দের সাথে ঈদের সকালে সবাই নতুন জামা পড়বে।

এর মধ্যে কিছু মানুষ ঈদের নতুন জামা পড়ার আনন্দ পাবেনা। তারা কারা নিশ্চয়ই আমাদের অজানা নয়। তবুও আমি বলছি তারা কারা। তারা হচ্ছে পথশিশু, গরিব অসহায় শিশু, এতিম শিশু। যারা পথের ধারে ধারে ঘুরে ডাস্টবিনের মোড়ে খাবার এর সন্ধান করে আমি তাদের কথাই বলছি। যাদের দেখতে আমাদের হৃদয় কেদে উঠে আর্থনাদ হয় হৃদয়ের মনি কোঠায় আমি তাদের কথা বলছি।  যাদের করুণা চাহনি দেখে আপন চোখে বেসে উঠে আমাদের ছেলে মেয়ে ছোট ছোট ভাই বোনের কথা আমি তাদের কথা বলছি। আমি তাদের কথা বলছি যাদের করুন দশা দেখে আমাদের সন্তান বা ছোট ছোট ভাই বোনের এই সুন্দর জীবনের জন্য সৃষ্টি কর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করি। জানী এই মুহূর্তে এই লেখা টুকু পড়ে আমার মতো আপনাদের চোখের নিচেও জল ছল ছল করছে। জি এখন সবার চক্ষু আড়ালে মুছে নিয়েছেন আমি জানী।

বুধবার, ১ জুন, ২০১৬

অশ্লীলতার সমতুল্য খারাপ কাজ মুখস্ত বিদ্যা


মুখুস্ত বিদ্যা আমাদের চিন্তা শক্তিকে অকেজ করে দেয়। মুখস্ত বিদ্যা আমাদের ভাবতে শেখাকে ভুলিয়ে দেয়। মুখস্ত বিদ্যা এতোটাই ভয়ানক যে এক সময় আমাদের চিন্তা শক্তি ও ভাবনা শক্তিকে গলা চেপে মেরে ফেলে।  আমরা হয়ে যাই তখন গতানুগতিক গতির যান। ঠিক এরকম ঢাকা টু সিলেট / সিলেট টু ঢাকা অথবা ঢাকা টু চট্টগ্রাম / চট্টগ্রাম টু ঢাকা।
এবার বুঝোন মুখস্ত বিদ্যা কতোটা খারাপ।

আমাদের একজন শিক্ষক, জনপ্রিয় লেখক, শিক্ষাবিদ মুখস্ত বিদ্যাকে অশ্লীলতার সাথে তুলনা করেছিলেন। কেন করছিলেন নিশ্চয়ই আমাদের বুঝতে সমস্যা হবার কথা নয়।
উনি বুঝাতে চেয়েছেন অশ্লীলতা যতোটা খারাপ মুখস্ত বিদ্যা ঠিক ততোটাই খারাপ।