সোমবার, ৩০ মে, ২০১৬
বুধবার, ১৮ মে, ২০১৬
আমি দেখেছি সমাজের সু-সন্তান শিক্ষকদের বেতনের দাবীর শান্তসৃষ্ট আন্দোলনে টিয়ার সেল রাবার বুলেট জল কামানে পুলিশী হামলা হয়।
আমি আজো দেখিনি শত বছরের ঐতিহ্য এমসি কলেজ হোস্টেল আর রাজশাহী কলেজে হোস্টেল আগুনে পুড়ানো ছাত্রলীগের বিচার হয়।
আমি দেখেছি একজন এমপি আইন হাতে তুলে নিয়ে একজন শিক্ষককে কান ধরিয়ে রাখার স্পর্ধা হয়।
আমি আজো দেখিনি সেই এমপি নিজের ভুলের অনুশোচনা আর নিজের উপর ঘৃণা লজ্জায় কান ধরে দাঁড়িয়ে রয়।
আমি দেখেছি একজন শিক্ষকের কান ধরার লাঞ্চনার অনুভূতি আর প্রতিবাদে গোটা বাংলাদেশ কি ভাবে কান ধরে দাঁড়িয়ে রয়।
আমি আজো দেখিনি এত্ত এত্ত প্রতিবাদের কোন সুফল, ফল হয়।
বুঝেছি আমি আটার কিংবা ৩৬ বৎসরের শিক্ষতা স্যারদের ব্যর্থ আজ।
সার্টিফিকেটদারী শিক্ষিত গড়েছেন ঠিকি, করতে পারেনি মানুষ গড়ার কাজ।
মানুষ যদি গড়তেন তবে হতোনা স্যারদের উপর হামলা লাঞ্চনা আর অপবাদ
আজ বুঝেছি আমি ঠিকি "মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষক" শুধুই প্রবাদ।
সোমবার, ১৬ মে, ২০১৬
আমি নতুন বিয়ে করেছি।
আমি আর আমার নতুন বউ হানিমুনে কক্সবাজার গেলাম।
লাভনি বিচে গিয়ে দু-জন সমুদ্রতে আনন্দে সাতার কাটছি।
যদিও আমি সাতারের কচুও জানিনা।
সমুদ্রে অনেক ক্ষণ সাতার কেটে ঠান্ডা লাগাতে ঘুম ভেঙ্গে গেল।
আমি তো বেকুব হয়ে গেলাম।
আমি জেগে দেখি আমার ঘরে বন্যার পানি।
আমি আর আমার বালিশ তারি মাজে সাতার কাটছি।
হায়রে সালার কপাল আমার।
বাস্তবে বন্যার পানিতে চুবাচুবি খাই, আর স্বপ্নে দেখি হানিমুন।
সিলেট শহরের প্রাণ কেন্দ্র কোর্ট পয়েন্টে সদ্য নির্মিত ফুটওভার ব্রিজটি নির্মাণে কোটি টাকার উপরে ব্যায় হয়েছে। তার একটু সামনে সুরমা মার্কেট পয়েন্টে চলছে কোটি টাকা উপরে ব্যায় আরেকটি ফুটওভার ব্রিজের নির্মাণ কাজ। বর্তমান সরকারের প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যায়ের এই দুটি উন্নয়ন সত্যি চোখের পড়ার মতো কাজ। কিন্তু এক বিন্দুও নগরবাসীর জন্য উপকারের কাজ নয়। নিঃসন্ধেহে এই দুটি ফুটওভার ব্রিজ লোক দেখানো আর কমিশন কামানোর কাজ।
সাজানো গোছানো সুন্দর সমাজ অতিতে পুকা-মাকর করেছিল গ্রাস
আজ পুকা-মাকররা দিনে দিনে বড় হয়েছে, বেড়েছে তাদের ক্ষমতা।
নিয়েছে রুপ হায়নায়, সমাজকে আজো করছে গ্রাস সমাজ বদলের বায়না
সমাজ বদলে গেছে অনেক, নিছক দুর্বল অসহায় মানুষের দ্বায়ে
হায়নার দল ক্ষমতার জোরে নিচ্ছে সমাজ বদল তাদের দখলে।
হায়নার ভয়ে, যায়ানা পাড়ার বেওয়ারিশ কুকুরটাও হায়নার দুয়ারে।
সময় অত্যান্ত দ্রুত যায় কথাটা ১০০ ভাগ ভুল। সময় তার আপন গতিতেই চলে।
আমরা সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে চলতে না পেরে সময়ের চেয়ে পিছিয়ে গিয়ে
সময়কে অপবাদ দেই সময় দ্রুত চলে যায়।
আসলে দোষটা সময়ের নয় আমাদের।
তবুও বোকা মানুষ নিজের দোষ স্বীকার না করে বরং নির্দোষের উপর অপবাদ লেপটে দেয়।
বোকা মানুষ একরারও ভেবে দেখেনা নিজের দোষ স্বীকার করা যে একটা মহৎ গুন।
যেই গুনটা সচরাচর মানুষের মাঝে থাকেনা।
খুব সহজেই চাইলেই বোকা মানুষ পারে পারে নিজের দোষ স্বীকার করে নিয়ে
মহৎ গুনের এই স্থানটা সহজেই দখল করে নিতে।
সোমবার, ৯ মে, ২০১৬
এই প্লাটফর্মে সু-শিক্ষিত দক্ষ অভিজ্ঞ লেখকদের ভীড়ে আমাকে খুব বেমানান মনে হয়।
আমি শিক্ষিত নই। সু-শিক্ষা তো অনেক দূরের ব্যপার।
যার মাঝে শিক্ষাই নেই তার মাঝে কিভাবে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার জন্ম হয়।
এখানে প্রায় সবাই প্রবীণ লেখক। সবাই আমার শ্রদ্ধার সম্পূর্ণ উপযুক্ত।
তাই আমার ভয় হয় যদি আমার অনাভিজ্ঞ অদক্ষ লিখনিতে আপনাদের মর্যাদার হানি ঘটে।
তাই অনেক কিছু লিখার ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও লিখতে পারিনা।