বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৫

ভাঙ্গা নীড়

সুড়ঞ্জনা তোমার প্রতি আমার অতিরিক্ত বিশ্বাস ছিল বলেই
আমার বিশ্বাসের দুর্বলতা কে কাজে লাগিয়ে করেছিলে আমার সাথে তুমি অবিশ্বাসী আচরণ।
আমি তোমার সেই অবিশ্বাসী আচরণ মেনে নিতে পারিনি।
মেনে নিতে পারিনি তোমার প্রতারণা।
তোমার সেই অবিশ্বাসী আচরণে তোমার প্রতি আমার ভালবাসা রুপ নিয়ে ছিল তিক্ত ঘৃনায়।
আর সেই ঘৃনা থেকেই আজ দুজন, দুজনার মতো বেচে থাকা।

রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৫

"মেয়ে হয়ে জন্মানো অভিশাপ"

(১) "মেয়ে হয়ে জন্মানো অভিশাপ"
     মনে করেন এমন আপুদের বলছি
     মেয়ে নয় নিজেকে মানুষ ভাবতে শিখুন।
     মানুষের কল্যাণে নিজেকে মানুষ হিসেবে গড়ে তুলুন।
     পুরুষ হয়ে জন্মানো আমার মতো অহংকারী ভাইদের বলছি
     নিজেকে পুরুষ নয় মানুষ ভাবতে শিখুন।

শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৫

আমাদের দেশ প্রেম, ইতিহাস, সভ্যতা, সংস্কৃতি


আমাদের উচিত প্রতিটি শিশুকে দেশ প্রেমিক হিসেবে গড়ে তুলা।
অর্থাৎ এই প্রজন্মের উচিত আগামী প্রজন্মকে দেশে প্রেমিক হিসেবে গড়ে তুলা।
না হয় যে হারে আমাদের দেশ প্রেম, ইতিহাস, সভ্যতা, সংস্কৃতি ইত্যাদি হারিয়ে বা বিলিন হয়ে যাচ্ছে সে হারে চলতে থাকলে আগামী প্রজন্ম বা তার পরের প্রজন্ম এসে আমাদের দেশ প্রেম, ইতিহাস, সভ্যতা, সংস্কৃতি ইত্যাদির কানাকরিও খুজে পাবেনা। 

বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৫

আমাদের বিজয় দিবস' ২০১৫

বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৫

এর চেয়ে নরখই ভাল নয় কি?

মৃত্যুর দ্বার প্রান্ত থেকে ফিরে আসা মানেই আরো এক নতুন জীবনের জন্ম।
আমি বহুবার ফিরে এসেছি, বহুবার পেয়েছি নতুন জীবন
কিন্তু পাইনি নতুন করে তাকে, ভুলিওনি পুরনো তাকে।
হে আমি সুরুঞ্জনার কথাই বলছি।
যে জীবন ও মরণ সুরঞ্জনাবিহীন, সে জীবন ও মরণে স্বর্গের কি প্রয়োজন?
এর চেয়ে নরখই ভাল নয়কি?

বল কোন কালে কি হবে, তোমার আমার মিলন


তোমার বিলাসি জীবন,
আমার ভিখারীর ভুজন
কোন কালে কি হবে
তোমার আমার মিলন?

আমি ছন্যছাড়া, বন্য বেসে
তুমি চোখ সাজাও মাসকারাতে।
আমার ভুখা পেট, অন্ন বিহীন
তোমার এক পোশাকে, এক দিন।

মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৫

আজ সময়ের সাথে জীবনের গল্পটাও অনেক পাল্টে গেছে


আমরা এক সময় এতোটাই গরিব ছিলাম যে,
ছয় টাকা দামের জুতা ১৫ টাকা দামের পেন্ট আর ২০ টাকা দামের
সার্ট দিয়েই ঈদের আনন্দ ভোগ করতাম।
আর মা ঈদের সালামি দিতেন মাত্র দুই টাকা।
একবার ঈদের দিন নামাজ পরে আসার সময়ই আমার কম দামি
জুতাখানা ছিড়ে গেছিল।

শনিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৫

যে অন্তরে প্রেমও খিদা, সেই অন্তরে আবার দ্বিধা


যে অন্তরে প্রেমও খিদা, সেই অন্তরে আবার দ্বিধা
খিদাতো মিঠেনা, দ্বিধাতো কাটেনা
কি করি বলো দয়াল, কি করি খুদা?

শনিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৫

তোর হৃদয় জুড়ে প্রেমের ক্ষুদা


তোর ছলচাতুরী প্রেম লিলায় আজ আমি ক্লান্ত
দু-চোখ ভরা জল ছলছল তবুও আমি শান্ত।
তোর হৃদয় জুড়ে প্রেমের ক্ষুদা, এক মনে নয় তৃপ্ত
হাজার জনে মন বিলায়েও তুই তবুও অতৃপ্ত।

মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৫

আজ তুমি কোথায় আমি কোথায়,কোথায় আমার বাবা মা বোন


দুই বোন আর মা বাবার সংসারে আমি ছিলাম একা
আমার একমাত্র আয়েই চলতো ছোট্ট সংসারটা
অভাব অনটনের মাঝেও সুখ ছিল কানায় কানায়
সেই সুখের মাঝেই আগমন হল তোমার এই হৃদয় সীমায়।
তোমার রুপ আর তোমার বাবার টাকার নেশায়
মাতোয়ারা হয়ে পালিয়ে গেলাম কোন এক অজানায়।
মা বাবা দুই লক্ষি বোনকে করে অন্নহারা।
আজ তুমি কোথায় আমি কোথায়,কোথায় আমার বাবা মা বোন?

শনিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৫

পাগলের প্রলাপ


সত্য বলবেন না, কারণ সত্য আপনাকে বিপদগামী করবে।
মিথ্যে বলবেন না, কারন মিথ্যে আপনাকে পথভ্রষ্ট করবে।
এবার ভেবে দেখুন কোন সিদ্ধান্তটা আপনার জন্য শ্রেয়।

মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৫

"একটি শিশুও পথে থাকবে না" বলেছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী


"একটি শিশুও পথে থাকবে না" বলেছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী
প্রতিটি পথশিশুর পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে মহিলা ও শিশু এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি

শনিবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৫

বিবেক ছাড়া কেউ কিরে এক চিমটি শান্তি পায়


আমার যখন খিদার জ্বালায় বুক আর পেট জ্বলে
বুঝতে পারি পথ শিশুটা কেন কাদে মায়ের কোলে।

আমার যখন খিদার জ্বালায় খুব বেশি কান্না পায়
তখন দেখি পথ শিশুটা কাদতে কাদতে মায়ের কোলে ঘুমিয়ে যায়।

আমি যখন রোজ দুপুরে পেট পুরে খেতে বসি
বুঝতে পারি পথশিশুটা কেন করে উকাউকি।

বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৫

একটু খানি বাউলামি


ভাবের মানুষ হিংস্র বেজায়
বনের বাঘ ততো নয়
ভাবের মানুষ কাছে এলে
থাকে না যে বাঘের ভয়।

বুধবার, ৭ অক্টোবর, ২০১৫

সামনে শীত আসছে......


সামনে শীত আসছে......
আপনার গত বছর বা তারো আগের শীতের কাপড় গুলি
যত্রতত্র ফেলে না দিয়ে আপনার সংগ্রহে রাখুন।
যদি সামর্থ থাকে তবে এর সাথে আরো কিছু নতুন বা পুরাতন
শীতের কাপড় মিলিয়ে গরিব অসহায় ও পথশিশুদের মাঝে উদার মনে বিলিয়ে দেবেন।
আদিপত্য ভোগ ও বিলাসিতার মধ্যে সুখ নয়,
প্রকৃত সুখ মনের সুখ।
আসুন আমরা সবাই মিতে আমাদের মনকে সুখি করে তুলি
এবং এই সুখ বিলিয়ে দেই সবার মাঝে।
একদিন আমরা হবো পৃথীবির সর্ব সুখী জাতি।

বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর, ২০১৫

উনারা ধরা খেলে দুর্নীতিবাজ আর আমি খেলে চুর


আমি না হয় মূর্খ মানুষ শিক্ষা জ্ঞানের নাই বুলি
পেটের দায়ে মাঝে মাঝে করি মসজিদেরি জোতা চুরি।
উনারা তো  আমার মতো অজ্ঞ আর মূর্খ নয়
শিক্ষা জ্ঞান বেজায় বহুত তবু কেন করেন চুরি?

মঙ্গলবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

হোন সুখ নামের নাঠকের প্রধান অভিনেতা


কাউকে ভুলে থাকা চাটটি খানি কথা নয়।
কাউকে ভুলে থাকা এ এক বিরাট ক্ষমতা বা পাওয়ার।
যদিও এই ক্ষমতা অধিকাংশ লোকের মাঝে বিরাজমান
কিন্তু অল্প কিছু মানুষের মাঝে এই ক্ষমতা একেবারেই শূণ্যের কোঠায়।
স্বাভাবিকতায় সব ক্ষমতাই অহংকারের উৎস কিন্তু এই ক্ষমতাটা মোটেও অহংকারের নয়
বরং লজ্জা অপমান আর অপবাদের।

শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

খুব আনন্দ উল্লাসারের সাথে ঈদ উৎযাপন করছিস


জানিরে স্বামী সন্তান নিয়ে অনেক সুখেই আছিস
খুব আনন্দ উল্লাসারের সাথে ঈদ উৎযাপন করছিস।
জানিরে তোর এতো আনন্দ উল্লাসের ভিতরে
একবারো আমায় তোর  মনে পরবেনা
পুড়বে না তোর পাশান হৃদয় আমার শূণ্যতায়।

ঠিক আজ থেকে ছয় বছর আগের ঈদ গুলির  মতো
আজ রাতে তোকে দেখতে যাওয়া হবেনারে তোর শহরে।
তুই ও আমার অপেক্ষায় সারা রাত জেগে থেকে আমার অবস্থান
জানতে বারবার ফোন কল দিবিনারে আর বলবি না সাবধানে থেক।

ঈদ গত ছয় বছর যাবত আমার জন্য কোন আনন্দের বার্তা নিয়ে আসেনি
তাই গতো এগারোটি ঈদ ধরে জানিনা ঈদের কি আনন্দ কি উল্লাস?
আজও তার ব্যতিক্রম হবেনারে বধলাবেনা আমার জীবনের গতি।

প্রতিবারের মতো আজোরে তোর স্মৃত্বির পাইচারি করে আমাকে কাদতে হবে
বাসতে হবে চোখের শ্রাবণ জলে
আর স্মৃত্বির পেছনের পথ ধরে চলে যেতে হবে আমাকে
আমার জীবনের ফেলে আসা সেই দিন গুলিতে খুব গুপনে
কেউ তা জানতেও পারবেনা।

সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

অন্যের বাসর ঘরে


আজ নতুন আরেকটা জীবনে দিচ্ছ পা
বধলে নিচ্ছ তোমার জীবন রেখা।

লাল শাড়ি পরে বধু বেসে তুমি
নিয়ন আলো জ্বলছে তোমার বাড়িতে।

বধলে গেলে কি করে তুমি
কি করে চলে যাচ্ছ দূরে
অভাগা আমি কাদছি কতো দুঃখে
আর তুমি অন্যের বাসর ঘরে।

বুধবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

প্রশ্নটা খুব ভাবায় জানি আমার মতো আপনাদেরকেও


গান গেয়ে তারকা খ্যাতি শিল্পিরা লক্ষ লক্ষ টাকা কামাই করেন।
কিন্তু জীবনের শেষ বেলা এসে অসুস্থ্য হয়ে পরে কেন উনাদের চিকিৎসার
করানোর মতো আর্থিক অবস্থান থাকে না।
প্রশ্নটা খুব ভাবায় জানি আমার মতো আপনাদেরকেও।

খালিদ হাসান মিলু, আজম খান, সাবিনা ইয়াসমিন, কাঙ্গালিনী সুফিয়া'র মতো খ্যাতিমান সঙ্গীত শিল্পীরা চিকিৎসা খরচ এর জন্য সরকার ও ভক্ত অনুরাগী দিকে তাকিয়ে ছিলেন।
সরকার ও ভক্ত অনুরাগীরা সহ বিভিন্য সংস্থা ও হানিফ সংকেতের ইত্যাদি এগিয়ে এসে উনাদের চিকিৎসার খরচ বহন করেছেন।

বৃহস্পতিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

কথায় আছে কারো পৌষ মাস কারো সর্বনাশ


কথায় আছে কারো পৌষ মাস কারো সর্বনাশ । এই নতুন বেতন কাঠামোতে যারা সরকারী চাকুরীতে অধ্যায়নরত তাদের পৌষ মাস আর যারা সরকারী চাকুরীর অপেক্ষায় বা পদপ্রার্থী তাদের সর্বনাশ ।

নিশ্চয়ই মনে প্রশ্ন জাগছে সরকারী চাকুরির অপেক্ষায় থাকাদের কি ভাবে সর্বনাশ হলো?
উত্তর একদম সোজা । নরমালি আমাদের দেশে ঘোষ বিহীন কোন সরকারী চাকুরি হয়না (যদিও এখন কিছু কিছু বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে ও নতুন চাকুরীর ক্ষেত্রে ঘোষের প্রচলন চালু হয়ে গেছে) । আগে যে পোষ্টের চাকুরীর জন্য যে পরিমান ঘোষ লাগতো এখন বেতন দিগুণ হওয়ায় নিশ্চয়ই নতুন চাকুরী প্রত্যাশীদের ঘোষ ও দিগুণ গুনতে হবে ।
এখন বর্তমান সরকারকে সবাই বাহ বাহ দিয়ে বড়িয়ে দেবে । নিশ্চয়ই সরকার বাহ বাহ পাওয়ার মতোই একটা কাজ করেছে সরকারী বেতন দিগুণ করে । এখানে আমিও সবার মতো খারাপ কিছু দেখিনা । সরকারের এই নিদ্ধান্তকে আমিও সবার মতো অভিনন্দন জানাই ।

সোমবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

হয়তো নরকে পুড়ে আংগার হয়ে যেতাম


সুরঞ্জনা আমার জীবন থেকে যখন চলে গেলে
তখন মন থেকে ও কেন চলে গেলেনা।
তবে তো আর এই মনটা পুড়তো না আজো
তোমার নিঃসঙ্গতায়।
সুরঞ্জনা আমার জীবন থেকে যখন চলে গেলে
তখন আমার জীবনটাকে কেন শেষ করে দিয়ে গেলেনা।
তবে তো আর আমি তোমার ফেরার আসায়
বৃথা অপেক্ষায় থাকতাম না।
হয়তো নরকে পুড়ে আংগার হয়ে যেতাম।

তবুও তুমি সুখে আছ তো সুরঞ্জনা​ ?


অংকে খুব ভালো ছাত্র ছিলাম বলেই জীবনের অংকে মস্ত বড় ভুল করেছি।
সারা জীবন ক্ষয়ে ও এই ভুলের মাসুল হবেনা।
বদলাবে না আর ভাগ্য রেখা
বরং উল্ট ফুরিয়ে যাচ্ছে আয়ু রেখা ।
হয়তো হবেনা আর শেষ দেখা।
দু-কালেই হারালাম তোমায়
হারালাম নিজেকেও।
তবুও তুমি সুখে আছ তো সুরঞ্জনা​ ?

রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

আমাদের দেশে তেলবাজীটা খুব জনপ্রিয়


আমাদের শ্রদ্ধেয় যোগাযোগ মন্ত্রী মহুদয় ওবায়দুল কাদের বলেছেন একমাত্র প্রধানমন্ত্রী ছাড়া কোন মন্ত্রী সফল নয় । আমি নিজেও সফল নই ।
মাননীয় মন্ত্রী মহুদয় আমরা মানলাম, ঠিক মানলাম না, মানতে বাধ্য হলাম যে আমাদের কোন মন্ত্রী সফল নয় । এবং কি আপনি নিজেও না ।
আপনার এই কথার সাথে দেশের  ৯০ ভাগ মানুষ সহমত পোশন করবেন আমার ধারনা । এই রকম সত্য কথা বলতে অনেক সাহসের দরকার হয় । যা সম্ভবত আমাদের আর কোন শ্রদ্ধেয় মন্ত্রীর পক্ষে এমন সত্য বলার সাহসিকতা নেই । জি আমি আপনার সাহসের তারীফ বা প্রশংসা করছি । নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য  কথাই বলেছেন।
কিন্তু মানতে পারলাম না প্রধানমন্ত্রীর সফলতাটা ।

শনিবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৫

কি চায় এই মন


কেন বুঝনা কি চায় এই মন
চোখে আঁকা কতো স্বপ্নরাশি
ঠোটে না বলা গোপন কথা
গলা শুকানো ত্বিষনারতা
চোখের চাওয়ায় না পাওয়ার বিষন্যতা।

পৌষের রাতে

পৌষের রাতে কনকন শীতে
আকাশের নীচে বসে কাদে এক প্রেমিক মাতাল
কুয়াশা ডাকা, চাঁদ যায়না দেখা
রাত দিয়েছে গায়ে আঁধারের কাঁথা
থরথর কাপে,জল ঝরে চোখে
কি ব্যথা শীতে?
তার চেয়ে ব্যাথা প্রেমিক মাতালের অন্তরেতে।

রবিবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৫

আমি তো প্রেমিক মাতাল


আপনারে যে চিনিতে পারেনি
সে কি করে চিনিবে অন্যরে?
আপনারে যে বুজিতে পারেনি
সে কি করে বুঝিবে অন্যরে?
আপনারে যে জানিতে পারেনি

রবিবার, ৯ আগস্ট, ২০১৫

কলম মানে অস্ত্র নেওয়া, পারবো না ভাই পারবোনা

কলম হাতে নিলেই নাকী কলমদারীর মৃত্যু হয়
কাপুরুষ এই আমার কলম নিতে তাইতো ভয়।
এই কলম হাতে নিয়েই নাকী শহীদ হয়েছেন কতো শতজন
আমি আমার ভালই আছি, শহীদ হওয়ার কি প্রয়োজন?

কলম নাকী মাঝে মাঝে অস্ত্রের চেয়েও ধারালো হয়
কাপুরুষ এই আমার কলম নিতে তাইতো ভয়।
এই কলমের কালিতে নাকী দুঃশাসন অবশান হয়?
শত্রুপক্ষ কলমের ভয়ে মাঝ পথেই থমকে রয়।

একি ব্লগার হত্যা, নাকী নাস্তিক হত্যা, নাকী হিন্দু হত্যা, নাকী অন্য কিছু?

একি ব্লগার হত্যা, নাকী নাস্তিক হত্যা, নাকী হিন্দু হত্যা, নাকী অন্য কিছু?
যে তিন জনকে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়েছে
উনারা তিন জনই ব্লগার,
উনারা তিন জনই নাস্তিক আখ্যায়িত (কে বা কারা আখ্যায়িত করেছেন জানিনা)।
উনারা তিন জনই হিন্দু।

আমার নগণ্য বোধ শক্তি থেকে এই প্রশ্ন গুলির জন্ম।
জানি এই লেখা পড়ে অনেক আমাকে মূর্খ গর্দব বলে গালি দেবেন।
আমি গর্দব কিনা জানিনা, তবে আমি যে মূর্খ তা আমার অজানা নয়।

মঙ্গলবার, ৪ আগস্ট, ২০১৫

পথের শিশু পথেই থাক

পথের শিশু পথেই থাক
              আমি আমার অট্টালিকায়
পথের শিশু না খেলে
              আমার তাতে কি আসে যায়?
আমার শিশু পরম সুখে আমার কোলে ঘুমায়
              পথের শিশুর কান্না শুনে ভাঙ্গে না হৃদয় যন্ত্রনায়।

রবিবার, ২৬ জুলাই, ২০১৫

কাল পুরোটা দিন অনেক খুজেছি তোকে তোর শহরে (আমার স্মৃতির শহর)


কাল পুরোটা দিন অনেক খুজেছি তোকে তোর শহরে (আমার স্মৃতির শহর)।
স্মৃত্বি ঘেরা দুলি কণা ছাড়া কিছুই পেলামনা।
সুরঞ্জনা তোমার মনে আছে আমি এক সময় লম্বা চুল হাতে ব্রেস লাইট,
কানে রিং, গলায় চেইন ও চোখে রঙ্গিন চশমা পড়তাম।
আমার সেই উগ্র চলাফেরা তুমি মোটেও পছন্দ করতে না বলে
আমায় দিনে দিনে পরিবর্তন করে চলছিলে।
মানে তোমার মতো আমাকে তৈরি করছিলে।

প্রেম হয়ে যাবে


তুই তাকাস নে এই চোখে
প্রেম হয়ে যাবে এক নিমিষে।
কিরে তবুও কেন তাকিয়ে আছিস
তোর কি ভয় হয়নারে ?
তাকাস নেরে পাগলি আর তাকাস নে
প্রেম হয়ে যাবে।
সত্যি বলছি আজই তুই প্রেমে পরে যাবিরে
আর তাকাস নে,তাকাস নেরে এই দু-চোখে।

বুধবার, ১৫ জুলাই, ২০১৫

অসহায় শিশুদের কল্যানে এগিয়ে আসেন

আজ আমি খুব আনন্দিত।
দুইটা অসহায় শিশুকে আজ ঈদের জন্য
দুইটা গেঞ্জি কিনে দিতে পারলাম।
এবং ওদের মায়ের হাতে কিছু টাকা (আমার সাধ্য অনুযায়ী)
দিতে পারলাম।
যাতে ওরা ঈদের দিন নুন্যতম ভালো কিছু খেতে পারে।

বুধবার, ৮ জুলাই, ২০১৫

খারাপ মানুষকে অনুসরণ করে ভাল মানুষ হওয়া যায়না

সত্যি কথা বলতে কি এখন ভাল মানুষের চেয়ে খারাপ মানুষ গুলি
অনেক অনেক সুন্দর ও ভাল ভাল নির্ভুল মিষ্টি মধুর কথা বলতে জানেন।
যা আমাদের কে অনেক পেরনার যোগান দেয়।
আর উনারা শুধু বলেই যান, কাজের কাজ কিচ্ছুই করেননা।
আসলে এরা ভন্ড। এরা ভাল মানুষের মুখোশধারী।

মঙ্গলবার, ৯ জুন, ২০১৫

নব্য জীবনের আয়োজন

সময়ের অভাবে কতো পাখি ফিরে না নীড়ে
পথহারা পাখি তাই নতুন নীড় গড়ে
হয়তো হারায় স্বজন প্রিয়জন
তবুও নতুন নীড়ে নব্য জীবনের আয়োজন।

বৃহস্পতিবার, ৪ জুন, ২০১৫

পাশান পুরের পাশাণি


আজ তোমাদের এক পাশাণ পুরের পাশাণ পুরির গল্প শোনাবো।
দাদু পাশাণ পুর কোথায়?
বুকের ভিতর একটা হৃদয় থাকে,আর সেই হৃদয়ের ভিতরেই থাকে পাশাণ পুর।
দাদু তাহলে পাশাণ পুরি কে?
পাশাণ পুরি হচ্ছে পাশাণ পুরের রাণী।
দাদু রাণীর নাম কি?
জানতো দাদুরা রাণিরা এমনিতেই সুন্দরী হয়।
পাষাণ পুরের রাণী তার চেয়েও অনেক সুন্দরী ছিল।
তার নামটা তার মতোই সুন্দর।
ছন্দা বিরক্ত বোধ নিয়ে আবার বলল দাদু রাণীর নামটা তো বলবে?
ছন্দার সাথে তাল মিলিয়ে নিলিমা, জান্নাত, শাওন, রকি, ফাহিম, রাব্বি, রাফি, রায়হান সহ সব গুলি চিৎকার দিয়ে বলল
দাদু তারাতারী রাণীর নামটা বলোনা?
কয়েক মুহূর্ত নিরব থেকে দীর্ঘ একটা নিঃশ্বাস ফেলে বললাম "সুরঞ্জনা"।
বাচ্চাগুলি জানিনা কি বোঝে চিল্লাচেচামেচি করে একসাথে বলে
উঠলো সুরঞ্জনা সুরঞ্জনা সুরঞ্জানা।
আমিও কেনো জানি নিরব নিথর হয়েই বসে আছি।
একটুও বিরক্ত হচ্ছিনা ওদের চিল্লাচেচামেচিতে।
অজানা কোন এক শক্তি যেনো আমার বাকশক্তি রুদ করেছে।
আমি কোন কথা বলতে পারছিনা।
ধমকের শুরে বলতে পারছিনা এই তোরা থামবি এবার।
ছাদের সিঁড়ি ঘরের দরজা খুলে বড় বউমা ছাদে এসেই চিৎকার দিয়ে বললো
ঐ তোরা থামলি নাকী আমি......
এবার ছাদটা নিরব হয়ে গেল।
নিরব হয়ে গেল আমার দাদু গুলি আর আমার ভাঙ্গল নিরবতা।
আমার বড় বউ মাকে আমার নাতি নাতনিরা খুব ভয় পায়।
যদিও কখনো বাচ্চাদের গায়ে হাত তুলেনা।
আমিও কিন্তু বড় বউমাকে একটু একটু ভয় পাই।
যদিও কাউকে বোঝতে দেইনা।
পর পর করে আরো তিন ছেলের বউ ও চার ছেলে ছাদে চলে এলো।
মেঝ বউমা বাচ্চাদের ধমকের সুরে বললো এই তোরা এতো চিল্লাচেচামাচি করছিস কেন?
জান্নাত কোন সময় ব্যয় না করেই বলে উঠলো জানো মেঝমা দাদুনা আমাদেরকে
পাশাণ পুরের পাশান পুরির গল্প শোনাচ্ছে।
কি যেনো পাশান পুরের পাশাণি রাণীর নাম ভুলে গেছি?
বলতে না বলতেই আমি জান্নাতের মুখে টিপ দিয়ে ধরলাম।
কিন্তু কাজ হলোনা।
সব গুলি সেই আগের মতোই চিৎকার দিয়ে বললো সুরঞ্জনা সুরঞ্জনা সুরঞ্জনা।
(২)
আমি খানিকটা লজ্জা পেয়ে মাথা নুয়ে বসে রইলাম।
বড় বউমা বললো এই তোরা কিন্তু আর চিল্লাচেচামেচি করবিনা।
দাদুর সাথে গল্প শোনবি শুধু।
ছোট বউমা বললো চলেন ভাইয়া, ভাবি আমরা নিচে যাই।
ছেলে,ছেলের বউরা চলো চলো বলে সবাই সিডির দরজা লাগিয়ে দিয়ে নিচে চলে গেল।
আমিও হাপ ছেড়ে বাচলাম।
এবার রাব্বি বলতো দাদু পাশাণ পুরির গল্পটা বলো এখন।
সব গুলি আবার এক সাথে চিৎকার দিতে গেল।
আমি দুই ঠোঁটের মাঝে তর্জনী আঙ্গুল রেখে বললাম বড় মা আবার চলে আসবে।
সব গুলি চুপসে গেল।
রকি কানে কানে বললো দাদু বলনা এখন।
হ্যা বলছি বলে আবার শুরু করলাম।
পাশাণ পুরির রাণীর প্রেমিকের নাম ছিল প্রেমিক মাতাল।
সব গুলি একসাথে হে হে করে হেসে উঠলো।
আমি বললাম এই তোরা হাসলি কেন?
রাফি বলল দাদু প্রেমিক মাতাল আবার নাম হয় নাকী।
রায়হান বলল দাদু এটা আবার কেমন নাম।
ছন্দা কিছু বলতে যাচ্ছিল,আমি থামিয়ে দিয়ে বললাম প্রেমিক মাতাল
হচ্ছে পাশাণ পুরের পাশাণী রাণীর দেওয়া নাম।
তবে প্রেমিক মাতালের ভাল একটা নামও কিন্তু আছে।
জান্নাত বললো ভালো নামটা কি দাদু বলনা?
আমি বললাম এখন যেহেতু পাশাণ পুরির পাশাণীর গল্প বলছি,
সেহেতু প্রেমিক মাতাল নামেই আমি গল্পটা শেষ করবো
গল্পের শেষে তোমাদের প্রেমিক মাতালের নাম বলবো।
প্রেমিক মাতালের ভাল নাম আমার বলা লাগবে না,
তোমরাই তখন বুদ্ধি খাটিয়ে জেনে নিতে পারবে।
সবগুলি এক সাথে হাত তালি দিয়ে উঠলো।
আমি আবার দুই ঠোঁটের মাঝে তর্জনী আঙ্গুল রেখে বড় বউমার ভয় দেখালাম।
তাই হাততালি বন্ধ হয়ে গেলো।
জান্নাত ফিস ফিস করে বললো দাদু তুমি তারাতারী গল্পটা বলো
আমি প্রেমিক মাতালের ভাল নাম সবার আগে বলতে পারবো।
ছন্দা ও একী কথা বললো আমি প্রেমিক মাতালের ভাল নাম সবার আগে বলতে পারবো।
সব গুলি আবার এক সাথে চিৎকার দিয়ে বলতে যাচ্ছিল, আমি আগের মতোই থামিয়ে দিলাম।
(৩)
আমি আবার গল্প বলতে লাগলাম।
সুরঞ্জনা ছিল ঢাকার মেয়ে আর প্রেমিক মাতাল সিলেটের।
সুরঞ্জনা তার ভাবির চাকরির সুবাদেই সিলেটে বেড়াতে এসেছিল।
আর প্রেমিক মাতাল ছিল সুরঞ্জনার ভাবির আফিস এলাকার ছেলে।
খুব চঞ্চল আর ফাজিল ও ছিল।
সেই অফিসের সবার সাথে প্রেমিক মাতালের খুব সু-সম্পর্ক ছিল।
প্রতিদিন অসংখ্য বার প্রেমিক মাতাল সেই অফিসে যাওয়া আসা করতো।
সুরঞ্জনার ভাবি থাকতেন অফিসের পাশেই মহিলা হোস্টেলের একটি রুমে।
সুরঞ্জনা সিলেটে বেড়াতে এসে তার ভাবির সাথেই থাকতো।
প্রেমিক মাতাল সেই মহিলা হোস্টেলেও বিনা পারমিশনে যাওয়া আসা করতে পারতো।
আর এই যাওয়া আসা করেই সুরঞ্জনার সাথে প্রেমিক মাতালের পরিচয়।
এক সময় পরিচয় থেকে হালকা প্রেম ভালবাসা জন্মায় দুজনার মনে।
কদিন আগেই দুজন দুজনার সাথে স্বাভাবিক কথা বলতো।
কিন্তু কয়েক দিন ধরে দু-জন, দু-জনকে দেখলে কেমন যেন লজ্জা বোধ করতো।
আর সেই লজ্জা বোধটাই তাদেরকে তাদের ভালবাসার জানান দিল।
হয়ে গেল দুজন প্রেমিক যোগল।
প্রেমিক মাতাল সুরঞ্জনার কাছ থেকে তার ভাবির মোবাইল নাম্বারটা খুজে নিতে লজ্জা পাচ্ছিল।
তাই শত কৌশলে ভাবির মোবাইল নাম্বারটা সংগ্রহ করে নিলো।
শুরু হলো প্রেমিক মাতালের আর সুরঞ্জনার প্রেম কাহিনি।
একদিন সুরঞ্জনা মোবাইলে প্রেমিক মাতালকে বললো, আমি হটাত একদিন তোমাকে না বলে ঢাকা চলে যাবো।
তখন তুমি আমাকে কোথায় খুজে পাবে?
প্রেমিক মাতাল বললো আমার মনের জোরেই তোমাকে খুজে নেবে।
সুরঞ্জনা বললো দেখবনে কি ভাবে আপনি আপনার মনের জোরে আমাকে খুজে নেয়।
প্রেমিক মাতাল ও বললো দেখ ঠিকি খুজে নিব।
সকালে চা নাস্তা সেরে প্রেমিক মাতাল সুরঞ্জনার ভাবির অফিসের দিকে রওয়ানা দিলো।
হাসান অর্থাৎ প্রেমিক মাতাল আর সুরঞ্জনা পিয়ন দৌড়ে এসে হাপাতে হাপাতে বললো ভাই ভাই
সুরঞ্জনা আপু তো চলে গেছেন।
প্রেমিক মাতাল পুরোপুরি ঠিক না বুঝতে পেরে আবার জিজ্ঞেস করলো, কে কোথায় গেছে?
হাসান আবার বললো সুরঞ্জনা আপু ঢাকা চলে গেছেন
প্রেমিক মাতালের মাথা চক্কর দিয়ে উঠলো।
বুকের ভিতর কেমন যেন একটা ব্যথা মুচড় দিল।
নিজেকে স্বাভাবিক রেখে প্রেমিক মাতাল অফিসের দিকে না গিয়ে অনেক গুলি সিগারেট সাথে নিয়ে
পাহাড়ের অর্থাৎ চা বাগানের দিকে চলে গেল।
কয়েক দিনে প্রেমিক মাতাল অনেক পাল্টে গেলো।
সেই চঞ্জল ছেলেটা নম্র ভদ্র হয়ে গেল।
ভুলে গেল ফাজলামি, আর মেয়েদের কে টিচ করা।
অকারনে কোন কথা বলে না কারো সাথে।
অধিকাংশ্য সময় একা একা কাটায়। হয়তো পাহাড়ের উপর নয়তো বনে জঙ্গলে।
পাচ ওয়াক্ত নামাজ পরে।
প্রেমিক মাতালের মা বোন বন্ধু বান্ধব কেই-ই নিজেদেরকে বিশ্বাস করাতে পারছেন না
যে এই প্রেমিক মাতাল সেই প্রেমিক মাতাল।
সবাই খুজ নিয়ে জানতে পারলেন প্রেমিক মাতালের বধলে যাওয়ার আসল কারণ।
তাতে কেউ-ই অখুশিনা।বরং সবাই খুসি-ই।শুধু কয়েক জন বন্ধু বাদে।
চলতে থাকলো দিন এই ভাবেই।
হটাত একদিন আছরের নামাজ পড়ে প্রেমিক মাতাল মসজিদের বাহিরে আসতেই
পকেটের মোবাইলটা বেজে উঠলো।
অচেনা একটা মোবাইল নাম্বার থেকে কল এসেছে।
প্রেমিক মাতাল কলটা রিসিভড করতে গিয়ে কেন জানি তার শরিরটা কাপছে।
কাপতে কাপতে কাপতে কল রিসিভড করে বললো হ্যালো।
ওপাশ থেকে হ্যালো বলা মাত্রই লাইনটা কেটে গেল।
প্রেমিক মাতাল শুধু কোন রকম হ্যালো শুনেই বুঝে গেল কে কল করেছিল?
ছন্দা সাথে সাথে বলে উঠলো আমিও বুঝে গেছি কে কল করেছিল?
জান্নাত ও বলতে যাবে এমন সময় সব গুলি একসাথে চিৎকার দিয়ে বললো, সুরঞ্জনা সুরঞ্জনা সুরঞ্জনা।
আমি আবার আঙ্গুলের ইশারায় সবগুলিকে থামিয়ে দিলাম বড় বউ মার ইঙ্গিত দিয়ে।
আমার দাদু গুলি আবারো চুপসে গেলো।
বাব্বি বলবো তারপর কি হলো দাদু।
তারপর প্রেমিক মাতাল খুশিতে আত্বহারা হয়ে তার বুদ্ধি লোপ পেয়ে গেল।
সে বুঝতে পারলো না এখন কি করবে?
তার শরিরটা খুব কাপছিল।
আবার মোবাইলটা বেজে উঠলো।সেই আগের নাম্বারেই কল আসলো আবার।
প্রেমিক মাতাল কাপতে কাপতে মোবাইলটা রিসিভড করে ভাঙ্গা গলায় বললো হ্যালো,কেমন আছো খুকি।
এই প্রথম প্রেমিক মাতাল সুরঞ্জনাকে তুমি করে বললো।
ওপাশ থেকে সুরঞ্জনা বললো হ্যা ভালো। কই আপনার মনের জোর।আমায় খুজে নিতে তো পারলেন না।
প্রেমিক মাতাল বললো এই যে আমার মনের জোরই আজ তোমাকে আমার কাছে নিয়ে আসলো।
বাচ্ছা গুলি এক সাথে হাততালি দিয়ে উঠলো।
আমি আবার ও ইশারায় থামিয়ে দিলাম।
রাফি বললো তারপর কি হলো দাদু?
আমি বললাম তারপর এভাবে চলতে থাকলো প্রেমিক মাতাল আর সুরঞ্জনার প্রেম কাহিনি।
প্রেমিক মাতাল জীবনের প্রথমবার ঢাকা গেলো সুরঞ্জনার সাথে দেখা করতে প্রথম রোজাতেই।
সেহেরি খেয়ে,ফজরের নামাজ আদায় করেই মা’কে ভূলবাল বুঝিয়ে চলে গেল ঢাকার উদ্দ্যেশ্যে।
দুজন দেখা করলো সায়দাবাদ অয়ান্ডা লেন্ড পার্কে।
ছন্দা বলো দাদু পার্কটা বুঝি অনেক সুন্দর।
আমিও বললাম না দাদু ছোট একটা পার্ক।অল্প জায়গায় অল্প কিছু রাইডার।
রাফি আবার বললো তারপর দাদু।
আমি বললাম তারপর প্রতি মাসে দু একবার ঢাকা যেত
প্রেমিক মাতাল সুরঞ্জনার সাথে দেখা করতে।
ওরা ৬ বছরের অনেক জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছে ।
ছন্দা জানতে চাইলো দাদু ওরা কোথায় কোথায় বেড়াতো?
আমি বললাম, রমনা পার্ক, জাদুগর, চারুকলা, টি.এস.সি মোড়, জিয়া উদ্যান,
সংসদ ভবন, বোটানিকেল উদ্যান, চিরিয়াখানা, স্মৃতিসৌধ, লালবাগ কেল্লা, আহসান মঞ্জিল,
সদর ঘাট, পোস্তগোলা ব্রিজ, শ্যামপুর ঘাট, পাগলা বাজার মেরি এন্ডারসন ভাসমান রেস্তোরা ও পার্ক,
বসুন্ধরা রিভার ভিউ প্রজেক্ট, সোনারগাঁ জাদুগর সহ অনেক জায়গায়।
ছন্দা মাথায় হাত দিয়ে বললো দাদু এতো জায়গায় ঘুরে বেড়াতো।
আমি বললাম হ্যা দাদু।
(৪)
নীলিমা জিজ্ঞেস করলো দাদু ৬ বছর কেনো দাদু।
আর কি ওরা ঘুরে বেড়ায়নি?
আমি বললাম ওদের সম্পর্কটা ৬ বছর-ই স্থায়ী ছিলো যে।
৫জুন সুরঞ্জনার জন্মদিনের দিন ওদের সম্পর্কের ইতি ঘটে।
জান্নাত প্রশ্ন করলো ওদের সম্পর্কটা ভাংলো কি করে দাদু?
আমি আবার বলতে লাগলাম,তোমরা ছোট মানুষ সেটা তোমরা নাইবা জানলে আজ।
জান্নাত আবার বললো কিন্তু দাদু.....................
আমি থামিয়ে দিয়ে বললাম কোন কিন্তু নয় দাদু।
আর যদি জানার খুব ইচ্ছা থাকে তবে বড় হয়ে মা বার কাছ থেকে জেনে নিও।
রাফি বললো দাদু আব্বু আম্মুও কি “পাষাণ পুড়ের পাষাণীর গল্পটা জানেন।
আমি বললাম হ্যাঁ জানে।
রকি বললো তারপর কি অদের কি হলো দাদু?
আমি আবার বলতে লাগলাম,ওদের সম্পর্ক বিচ্ছেদের প্রায় দের বছর পর
প্রেমিক মাতাল ঢাকা গিয়ে জানতে পারে সুরঞ্জনা বিয়ে করেছে।
এখন সে প্রেগনেট।
জান্নাত কি বুঝে না বুঝে বলে উঠলো ইয়া মাবুদ।
আমি বিস্মিত চোখে ওর দিকে তাকালাম।
দেখলাম ওর চোখের কোনে আশ্রু জমে ছলছল করছে।
জান্নাত বললো তারপর কি হলো দাদু?
তারপর প্রেমিক মাতাল স্বপ্ন দেখতে ভুলে গেলো।
ভুলে গেলো আপন জীবন কে ভালবাসতে।
প্রেমিক মাতালের মা-ই ছিলেন প্রেমিক মাতালের একমাত্র পৃথিবী।
তিনিও একদিন চলে গেলেন তাকে ছেড়ে।
বাবা সেই শৈশবেই চলে গিয়ে ছিলেন।
রাফি বললো তাহলে তো দাদু প্রেমিক মাতাল একেবারেই একা হয়ে গেলো।
কেউ আর রইলোনা তার।
আমি বললাম, তা না ,ওর দুইটা বোন ছিলো।খুব ভালো ঘরেই বিয়ে হয়েছে।
কিন্তু প্রেমিক মাতালের মা যখন ওকে ছেড়ে পৃথিবী থেকে চলে যান,তখন সে ওর জন্য রেখে যাওয়া
মায়ের জায়গা জমি বিক্রি করে অন্যথায় চলে যায়।
তাই আর ভাই বোনের কোন দেখা শুনা হয়নি।
জান্নাত বললো দাদু প্রেমিক মাতাল কি আর বিয়ে করেনি?
আমি বললাম না দাদু সে আর বিয়ে করেনি।
নতুন জায়গায় যাওয়ার পর ৫ জুন তারিখে প্রেমিক মাতাল দেখলো
একটা ছোট্ট ছেলে শিশু রাস্থায় বসে কান্না কাটি করছে।
শিশুটাকে দেখে প্রেমিক মাতালের মায়া হলো
নিয়ে আসলো তার সাথে।
বছর খানিক লালন পালন করলো মা বাবার মতো আদর স্নেহ করে।
ঠিক এই ভাবে প্রতি বছর ৫জুন এতিমখানা বা রাস্থায় কুরিয়ে কুরিয়ে একজন একজন করে
সাত জন ছেলে মেয়ে নিয়ে আসলো।
তিন জন ছেলে আর চার জন মেয়ে।
তারপর বদলে গেলো আবার প্রেমিক মাতালের জীবনের গল্প।
এখন প্রেমিক মাতালের পরিবারের সদস্য অনেক।
সব ছেলে মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দিছে।
অনেক গুলি মিষ্টি নাতি নাতনি আছে প্রেমিক মাতালের।
(৫)
জান্নাত বললো দাদু আমি মনে হয় প্রেমিক মাতালকে চিনতে পেরেছি।
আমি মুচকি হাঁসি দিয়ে বললাম কি ভাবে চিনলে দাদু?
জান্নাত খুব উৎসুক হয়ে বললো, সুরঞ্জনার জন্মদিন ৫জুন,মানে আজ রাত বারোটার পর।
আমি বললাম হ্যা।
জান্নাত বললো তার মানে আজ কেক কেটে সুরঞ্জনা ও প্রেমিক মাতালের ছেলে মেয়ের জন্মদিন পালন হবে।
কারণ কুড়িয়ে পাওয়া ছেলে মেয়েদের সঠিক জন্ম তারিখ জানা থাকে না।
যেহেতু ৫জুন কুড়িয়ে আনা হয়েছে, সেহেতু ৫জুন ই ওদের জন্মদিন পালন হয়।
আমি বিস্মিত চোখে ছোট্ট জান্নাতের চোখের দিকে তাকিয়ে বললাম হ্যা দাদু।
জান্নাত রাফিকে কানে কানে কি বলে যেন নিচে পাটিয়ে দিল।
আমি সেদিকে তেমন একটা খেয়াল করলাম না।
জান্নাত বললো, নিশ্চয়ই প্রেমিক মাতাল এখন নাতি নাতনির সাথে ছাদে বসে গল্প করছে।
আর ছেলে মেয়েদের জন্মদিনের কেক নিয়ে ছাদে আসার অপেক্ষা করছে।
আমি হ্যা সূচক উত্তর দিলাম।
জান্নাত তার হাতের ঘরির দিকে তাকিয়ে,তারপর আমার সব গুলি নাতি নাতনির মুখের দিকে থাকিয়ে
ঘোসনা স্বরূপ বললো আমার প্রিয় ভাই বোনেরা আর দুই মিনিট পরেই আমরা আমাদের প্রেমিক মাতালকে
চিনতে পারবো।
নানি নাতনি গুলি একেক জন একেক জনের মুখের দিকে তাকিয়ে ফিসফিস করে বলতে লাগলো কে কে প্রেমিক মাতাল।
কে প্রেমিক মাতাল।
আমি অবাক চোখে তাকিয়ে আছি জান্নাতের দিকে।
জান্নাতের চোখ জোরা যেন পূর্ণিমার চাঁদের মতো আলো ছড়াচ্ছে।
ঠোট জোরাতে বিজয়ের হাঁসি।
সবাই ফিসফাস করলেও জান্নাত নিরবে আমার দিকেই তাকিয়ে আছে।
আমি তার দিকে তাকিয়ে।
হটাত ছাদের গেইট খোলার শব্দে সব গুলি নাতি নাতনি চুপ হয়ে গেলো।
দ্যান ভাংলো আমার আর জান্নাতের।
আমার ছেলে মেয়ে ও ছেলের বউ,মেয়ের জামাইরা জন্মদিনের কেক হাতে নিয়ে আমার কাছে আসলো।
ছোট মেয়ের জামাই আমার সামনে টি টেবিল খানা রেখে,তার উপর কেকটা রাখলো।
আমি টেবিলের একপাশে আর আমার নাতি নাতনি ছেলে, মেয়ে, মেয়ের জামাই, ছেলের বউরা অন্য পাশে।
আমি সবার দিকে থাকিয়ে দেখি জান্নাত সবার কানে কানে কি বলছে।
আমি জান্নাত কে ডেকে আমার পাশে আনলাম।
বললাম দাদু তুমি এতক্ষন সবার কানে কানে কি বলছিলে?
জান্নাত বললো তাতো দাদু তোমাকে বলা যাবেনা।
আমি ওহ বলে কেকের দিকে থাকিয়ে দেখি কেকের উপর শুধু
“HAPPY BARTHDAY TO YOU SURONJONA”লিখা।
যেখানে প্রতিবার আমার সাত ছেলে মেয়ের নাম লিখা থাকে।
আমার বুঝতে বাকী রইলোনা এটা জান্নাতের প্লান।
রাফিকে তাই নিচে পাঠিয়েছিল বড় বউ মাকে বলার জন্য।
কারণ কেকটা বড় বউ মা নিজের হাতে বানাচ্ছিল তখন।
আমি আর কিছু বললামনা লজ্জা বোধ করে।
আমি জান্নাত কে-ই কেক কাটার জন্য বললাম। সবাই ও আমার সাথে তাল মিলিয়ে
একী কথা বললো।
আমি আরেকটি কথা সবাইকে আবার জানিয়ে দিলাম,
আজ কিন্তু শুধু সুরঞ্জনার জন্মদিন নয়, আমার থেকে চলে যাওয়ার দিনও।
তাই আমি আজ রাতে এখানেই অর্থাৎ ছাদে একা থাকতে চাই।
আশা করি কেউ আমাকে বাধা বা ডিস্টাব করবেনা।
জান্নাত ও রাজী হলো।
জান্নাত ঘোসনা দেওয়ার মতো করে বললো, প্রিয় ভাই বোন প্রেমিক মাতাল কে কে চিনতে পেরেছো?
সব গুলি নাতি নাতনি একসাথে বলে উঠলো আমি আমি আমি।
জান্নাত এবার সবার কাছে জানতে চাইলো কে?
বলা মাত্রই সবাই চিৎকার নিয়ে বলতে লাগলো দাদু দাদু দাদু।
আমি ছেলে মেয়েদের সামনে লজ্জায় কিছুটা মাথা নিছু করে ফেললাম।
জান্নাত আবার বললো, আজ সুরঞ্জনার জন্মদিন। কিন্তু সুরঞ্জনা আমাদের মাঝে উপস্থিত নেই।
তাই আজকের জন্য আমি সুরঞ্জনা হয়ে, সুরঞ্জনার জন্মদিনের কেক কাটতে চাই,যদি দাদু অনুমতি দেন।
আমি মাথা নাড়িয়ে হ্যা সূচক উত্তর দিয়ে জান্নাত কে কোলে নিয়ে ওর হাত ধরে কেক কাটতেই
সবাই চিৎকার দিয়ে বলে উঠলো :HAPPY BARTHDAY TO YOU SURONJONA”.
.........................................................সমাপ্তি..................................................................

মঙ্গলবার, ২ জুন, ২০১৫

প্রেমিক মাতাল সর্বদাই নিখুত ভালবাসার কাঙ্গাল


যে আমাকে ভালবাসে নিশ্চয়ই সে, আমার কথার প্রাধান্য দেবে।
আর যদি না দেয় তবে, নিশ্চয়ই সে আমাকে ভালবাসে না।
আমাকে প্রতারিত করাই তার একমাত্র লক্ষ।
তাই আমি কোন প্রতারককে প্রশ্রয় দিতে চাইনা।
আমি কোন প্রতারককে ভালবাসি না।
দূরে চলে যাও, অনেক দূরে চলে যাও।
আমি তোমার কাছ থেকে প্রতারিত হতে চাইনা।

যে আমার খারাপ কাজে আমার উপর রাগ করেনা
সে কখনোই আমাকে ভালবাসতে পারেনা।
সে একটা মিছকা শয়তান।

যে আমার ভালো কাজে পেরনা দিতে জানেনা
সে কখনোই আমাকে ভালবাসতে পারেনা।
সে একটা সুযোগ সন্ধানী বেত্যমিজ।

যাকে আমি বকাঝকা করলে ও একটুও কষ্ট পায়না
বরং হেয়ালি করে উড়িয়ে দেয়
সে কখনোই আমায় ভালবাসতে পারেনা।
সে একটা ভদ্রবেশী প্রতারক, ছলনাময়ী।

যে আমার অযোগ্যতাকে অতি সহজে মেনে নেয়
সে কখনোই আমাকে ভালবাসতে পারেনা।
কারণ সে একটা ভালবাসা নামের নাটকের দক্ষ অভিনেত্রী।

হ্যা আমি তোমাকে বিতারিত করছি।
আমার দ্বারা কখনোই তোমাকে ভালবাসা সম্ভবনা।
কারণ প্রেমিক ডাকাল নই, প্রেমিক মাতাল।
আর প্রেমিক মাতাল সর্বদাই নিখুত ভালবাসার কাঙ্গাল।

বুধবার, ২৭ মে, ২০১৫

আমি কোন যাত্রাপালার নটরাজ নই

আমি তো সুইপারের বাচ্চা আমাকে ভালবাসা কি তোমার শোভা পায়।
জানী তো জানী আমি কোন দিক দিয়েই তোমার ভালবাসার যোগ্য নই,
আমি তো ছোট লোক,আমাকে কেন তুমি ভালবাসবে?
আমার সাথে তো ভালবাসার নাটক-ই করবে।
ছোট লোকরা তো আর কখনো কারো ভালবাসার যোগ্য হতে পারেনা।
তবে ভালবাসার যোগ্যতা রাখে।

অবাক হওয়ার কিছু নেই, হ্যা আমি তোমাকেই বলছি।

জানী তো জানী কোন পয়সা ওয়ালা কাউকে পেলেই
আমার সাথে ভালবাসা নামের নাটকের অবসান গঠাবে।
আমি হবো প্রতারিত। কিন্তু তুমি নিজেকে কখনোই প্রতারক ভাববে না।
বরং আমার বিরুদ্ধে তুলে ধরবে বিশাল অভিযোগের গদ্যমালা।
তাই বলে ভেবনা প্রেমিক মাতাল মরে রসু খা' হয়ে জন্ম নেবে।

মঙ্গলবার, ১২ মে, ২০১৫

আমার মাঝে পশু পাই

মানুষ খুজতে গিয়া আমি আমার মাঝে পশু পাই
ভবপাড়ের শেষ সীমানায় মানুষ হতে পারিনি তাই
মানুষ হওয়া বড় দায়, মানুষ হতে পারিনি তাই।

চার পায়ে পশু হয়রে, দুই পায়ে মানুষ তাই
আমার মাঝে আঠারো পা, মানুষের কোন লক্ষন নাই।

দেখতে হুবুহু মানুষের মতোই, আচরনে পশু তাই
মানুষ খুজতে গিয়া আমি আমার মাঝে পশু পাই।

আমিও প্রাচির বন্দী

তুমি ফাগুন ভাবিয়া আগুন কুড়াইয়া আমায় দিয়াচুনু উড়ায়া
আমি পুড়িয়া আংগার হই, আর তুমি সুখে মাতোয়ারা।

পুড়িতেছি আমি, বুঝিতেছি তার কি জ্বালা?
জাচিয়া নিতেছো তুমি অপবাদের মালা।
সেতো মালা নয় দায় মুছিবার পালা,
মুক্তি চাও নিয়ে নাও,
আমি রাখিনি বন্দী করে।
এসেছো আপন মনে,আপন মনেই ফিরে যাও।
আমি কারাবন্দি, মুক্তির স্বাদ কি তা জানী।

তুমি দাস তবে দাসই থাকো, আমিও প্রাচির বন্দী।
আমাতেই আমার অভিষাপ, হয়না যেন কভু দুজনার সন্ধ্যি।

কবিতা
  1. অজানা ব্যথা
  2. অসম্পূর্ণ কাব্য
  3. আখি জুড়িয়া শ্রাবন আসিলো
  4. আজ এক পসলা বৃষ্টি এলে
  5. আজ বৃষ্টি এসে ছিল আমার শহর জুরে
  6. আপনার লাগিয়া যে আপনারেই করে পর
  7. আমাদের মৌলিক অধিকার
  8. আমার মাঝে পশু পাই
  9. আমি অগ্নির মতো উত্তপ্ত
  10. আমি ভালবাসার কাঙ্গাল
  11. আমি শান্ত বাস্তবতার আগাতে
  12. আমিও প্রাচির বন্দী
  13. আহারে অভাগার জীবন
  14. ও চোখের মায়ায় পড়ে যাবে
  15. ও নদী,নদীরে
  16. কপাটখানা
  17. কবিতা লেখার প্রহর শেষ
  18. কবির আত্মহত্যা
  19. কলম মানে অস্ত্র নেওয়া, পারবো না ভাই পারবোনা - New !!
  20. কারন আমি যে অতিই নগণ্য
  21. খুব ইচ্ছে করে
  22. জন্মই আমার অজন্ম পাপ
  23. জন্মই আমার জন্মান্তরের পাপ
  24. তুই ফিরে আসিস
  25. দেখা হবে আবার
  26. নব্য জীবনের আয়োজন - New !!
  27. নাম না জানা কেউ
  28. নীল পরী
  29. পথের শিশু পথেই থাক - New !!
  30. পালিয়ে বেড়াই
  31. পুরুষের সুখের দাফন
  32. পৌষের রাতে
  33. প্রেম দহন
  34. প্রেম হয়ে যাবে - New !!
  35. প্রেমিক মাতাল
  36. বড় নিষ্টুর পৃথিবীর মানুষ গুলি
  37. বদলে নিয়েছে কেউ এক জন
  38. বাস্তবতাই আমাকে করেছে পরাজিত
  39. ভেজা ঘাস
  40. মানুষ রুপি কোন এক অমানুষ
  41. মুক্ত করো আমারই প্রাণ
  42. মৃত্তিকা
  43. মৃত্তিকা
  44. মৃত্যুই আমার একমাত্র প্রয়োজন
  45. যদি বলি আমার শৈশব ফেরত দাও
  46. যেখানে সুখ খেলা করে
  47. যেন এক বরণ উৎসব
  48. লতাহীন বৃক্ষ
  49. সারে সাত বৎসর
  50. স্মৃতি ডায়েরি
  51. হয়তো সেই জনমে অভিশপ্ত ছিল জীবন

সোমবার, ৪ মে, ২০১৫

পুরুষের সুখের দাফন


এসে ছিলেম আমি এসে ছিলেম বহুবার
এই শান্ত নদীর মোহনায়
নদীও আমায় তোমার মতো তারিয়ে দিয়েছে অবলিলায় অবহেলায়
নদী সেও তো নারীর নাম বাচক
নারীর মতোই তার আচরণ
নারীতেই যে পুরুষের সুখের দাফন।

ও চোখের মায়ায় পড়ে যাবে


ও দিকে তাকিও নৌজোয়ান,
ও চোখের মায়ায় পড়ে যাবে।
দেখ ঐ দূর নীল আকাশের তাকিয়ে
আকাশের নীলিমা আজ ফ্যাকাশে
ঐ দুচোখের চাহনিতে।
আমি কতো ডুব সাঁতার কেটেছি ঐ দু- চোখে
সাগরের নীলিমা ভেবে।
আমি কতো বার মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে ছিলাম
ঐ দুটি চোখে পাহাড়ারি ঝর্ণা ভেবে।
এতো আকাশ নয়, সাগর নয়, নয় কোন পাহারি ঝর্ণা।
এ যে দুটি চোখ, তার নেই কোন উপমা
ও দিকে তাকিও নৌজোয়ান,
ও চোখের মায়ায় পড়ে যাবে।

বৃহস্পতিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৫

নিন্দুকের কাজই তো নিন্দা করা

নিন্দুকের কাজই তো নিন্দা করা।
তাই বলে কি আপনার ভালো কাজ গুলি
থামিয়ে দেবেন নিন্দুকের নিন্দার ভয়ে?
না কখনোই না।
তবে সমালোচনা কে গুরুত্ব্য দিন।
এটা আপনার ভালো কাজের মধ্যে লুকিয়ে থাকা
খারাপ দিকগুলিকে তুলে ধরতে সাহায্য করবে।
যার দ্বারা আপনি আপনাকে শুধরে নিতে পারবেন খুব সহজেই।
আসুন আমরা আমাদের দ্বায়ীত্বের বাহিরে
দিনে অন্তত একটি ভালো কাজ করি।
এবং অন্যজনকে ভালো কাজ করতে উৎসাহী করি।
ভালো থাকবেন।
সবার জন্য শুভ কামনা রইলো।

পালিয়ে বেড়াই

জীবনটা বড় তিক্ত লাগছে।
স্বপ্ন দেখা তো সেই কবেই ভুলে গেছি।
আর স্বপ্ন দেখতে তো সুন্দর একটা মন লাগে।
আমার এই ভাঙ্গা চুড়া মন দিয়ে তো আর স্বপ্ন দেখা যায় না।

মাঝে খুব কাঁদতে ইচ্ছে করে।
কাঁদলে নাকী দুখের লাগব হয়।
মনে নাকী সুখ সুখ ভাব লাগে।
কিন্তু তবুও যে মন খুলে কাঁদতে পারিনা।

সুখের পিছু আর দৌড়াই না।
আমার অসুখ কি করেই বা সে সারাবে?
সুখ তো নিজেই ছোঁয়াচে অসুখে ভুগছে।
ভয় লাগে কখন আমায় ঝাপটে ধরে।
তাই আমি নিজেই সুখ থেকে পালিয়ে বেড়াই।

  1. অজানা ব্যথা
  2. অসম্পূর্ণ কাব্য
  3. আখি জুড়িয়া শ্রাবন আসিলো
  4. আজ এক পসলা বৃষ্টি এলে
  5. আজ বৃষ্টি এসে ছিল আমার শহর জুরে
  6. আপনার লাগিয়া যে আপনারেই করে পর
  7. আমাদের মৌলিক অধিকার
  8. আমার মাঝে পশু পাই - New!
  9. আমি অগ্নির মতো উত্তপ্ত
  10. আমি ভালবাসার কাঙ্গাল
  11. আমি শান্ত বাস্তবতার আগাতে
  12. আমিও প্রাচির বন্দী - New!
  13. আহারে অভাগার জীবন
  14. ও চোখের মায়ায় পড়ে যাবে - New!
  15. ও নদী,নদীরে
  16. কপাটখানা
  17. কবিতা লেখার প্রহর শেষ
  18. কবির আত্মহত্যা
  19. কারন আমি যে অতিই নগণ্য
  20. খুব ইচ্ছে করে
  21. জন্মই আমার অজন্ম পাপ
  22. জন্মই আমার জন্মান্তরের পাপ
  23. তুই ফিরে আসিস
  24. দেখা হবে আবার
  25. নব্য জীবনের আয়োজন - New!
  26. নাম না জানা কেউ
  27. নীল পরী
  28. পালিয়ে বেড়াই - New!
  29. পুরুষের সুখের দাফন - New!
  30. পৌষের রাতে
  31. প্রেম দহন
  32. প্রেমিক মাতাল
  33. বড় নিষ্টুর পৃথিবীর মানুষ গুলি
  34. বদলে নিয়েছে কেউ এক জন
  35. বাস্তবতাই আমাকে করেছে পরাজিত
  36. ভেজা ঘাস
  37. মানুষ রুপি কোন এক অমানুষ
  38. মুক্ত করো আমারই প্রাণ
  39. মৃত্তিকা
  40. মৃত্তিকা
  41. মৃত্যুই আমার একমাত্র প্রয়োজন
  42. যদি বলি আমার শৈশব ফেরত দাও
  43. যেখানে সুখ খেলা করে
  44. যেন এক বরণ উৎসব
  45. লতাহীন বৃক্ষ
  46. সারে সাত বৎসর
  47. স্মৃতি ডায়েরি
  48. হয়তো সেই জনমে অভিশপ্ত ছিল জীবন

বুধবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৫

কোথায় দৌড়াচ্ছেন?

কোথায় দৌড়াচ্ছেন?
নিশ্চই সুখের পিছু।
জানেন না আজ সুখের ও অসুখ।
সুখই আজ রোগাক্রান্ত নিরাময়ের অভাবে।
তবে কেন মিছেমিছি সুখের পিছু দৌড়াচ্ছেন?
শুখটাকে ধরলেই আপনি ওতো রোগাক্রান্ত হবেন।
তার চেয়ে না ছোয়াই ভালো নয় কী?

এর চেয়ে চলুন সবাই মিলে সুখকে অসুখ মুক্ত করি।
সুখ অসুক মুক্ত হলে আমাদের আর সুখের পিছু দৌড়াতে হবেনা।
সুখই কৃতজ্ঞতায় আমাদের খুজে...

  1. এই পাগলের প্রলাপ
  2. "SURONJONA" I miss you all the time
  3. "SURONJONA" I miss you all the time.
  4. "প্রেমিক মাতাল"
  5. It’my real life story
  6. আনারি প্রেমিক
  7. আমাদের মৌলিক অধিকার
  8. আমার জীবনে আর কোন শুভদিন আসবে না
  9. আমারও একটা প্রেম কাহিনি আছে
  10. আমি কখনো সুখের পিছনে দৌড়াইনি
  11. আমি কোন যাত্রাপালার নটরাজ নই - New!
  12. আমি তাকেই হারিয়েছি / আমি তাকেই খুজে পেয়েছি
  13. আমি বাংরেজী ভাষার প্রণেতা হয়ে যেতে পারি
  14. উড়ু চিঠি
  15. এ শুধু সপ্ন
  16. এই পাগলের প্রলাপ (পর্ব ২)
  17. কেউ এক জন আমায় খুব মিস করছে
  18. কোথায় দৌড়াচ্ছেন?
  19. ঘৃণা হচ্ছিলো ঐ বন্দুর উপর
  20. জন্ম হোক যথা তথা কর্ম হোক ভালো
  21. তার চেয়ে এই ভালো দূরে দূরে থাকা
  22. তোর আর আমার ধর্মের বেড়িবাঁধ
  23. তোর স্মৃত্বির মণি কোঠায়
  24. দেশ প্রেমের নাটক
  25. নিজেরাই উদ্যেক্তা হয়ে ভালো কিছু করতে পারেন
  26. নিন্দুকের কাজই তো নিন্দা করা - New!
  27. পাগলের প্রলাপ
  28. পাশান পুরের পাশাণি - New!
  29. প্রেমিক মাতাল সর্বদাই নিখুত ভালবাসার কাঙ্গাল - New!
  30. মহিউদ্দিন পারলে ক্ষমা করে দিস আমায়
  31. যা শুধু বিস্বাদময়
  32. শুধু নেই সেই কবিতা প্রেমিক মাতাল আর সুরঞ্জনা
  33. সুরঞ্জনা
  34. সুরঞ্জনা
  35. সুরঞ্জনা
  36. সুরঞ্জনা
  37. সুরঞ্জনা আজ আর আমার কাছে তুই আসিস না